ঢাকা, ১৫ জুলাই- বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পঞ্চম আসর শুরু হতে এখনো প্রায় ৪ মাসেরও বেশি সময় বাকি। তবে তার আগেই দল গোছাতে ব্যস্ত ফ্রাঞ্জাইজি গুলো। বিপিএলে গেল (চতুর্থ) আসরে বরিশাল বুলসর নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। সতীর্থ হিসেবে পেয়েছিলেন শাহরিয়ার নাফিস, আল-আমিন, তাইজুলের মতো জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটাররা। তারপরও ভাল কিছু উপহার দিতে পারেনি তারা। তাই রীতিমত অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের ওপর চটেছেন বরিশাল বুলসের কর্ণধার এম এ আউয়াল চৌধুরী বুলু। মুশফিকুর রহীমের শৃঙ্খলাবোধ ও অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমরা মুশফিকের ব্যাপারে আগ্রহী নই। কারণ সে মোটেও শৃঙ্খল নয়। তাছাড়া, গেল আসরে ফ্রাঞ্চাইজি নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় আমরা তার ব্যাপারে বোর্ডকে চিঠিও দিয়েছিলাম। এর আগের বছর সিলেট রয়্যালসের হয়ে একই কাণ্ড করেছে। এবার আমাদের বরিশাল বুলসে এসে একই কাজ করেছে। তার কাছে থেকে আমরা এটা আশা করি না। এদিকে অন্যান্য দলের মতো বিদেশি প্লেয়ার ভিড়ানোতে চমক দেখাচ্ছে না বরিশাল বুলস। তারপরও বেশ কয়েকজন প্লেয়ারের সাথে কথা এগিয়ে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন এম এ আউয়াল। গত আসরে বরিশাল বুলসে খেলা বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে রেখে দিতে চান তারা। বরিশাল বুলসের কর্ণধারের ভাষ্যমতে, এখনও কাউকে দলে নেইনি কারণ এখনো অনেক সময় আছে। ক্রিকেটাররাও ব্যস্ত। আমরা কয়েকজনের সাথে কথা বলে রেখেছি। বিশেষ করে যারা আমাদের হয়ে গত মৌসুমে খেলেছে। তাদেরকে নিশ্চিত করেছি। এম এ আওয়াল বুলুর বিবৃতিতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন মুশফিক। পাশে পেলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও (বিসিবি)। সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক এতোটাই হতাশ ছিলেন যে কথা বলার সময় কেঁদেই ফেললেন! সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে নিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে চোখের পানি ফেলেন ২৯ বছর বয়সী উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান। এরপর আর মিডিয়া লাউঞ্জে দাঁড়াতে পারেননি তিনি, বের হয়ে গেছেন। এসময় কেঁদে কেঁদে মুশফিক বলেছেন, গত ১২ বছর ধরে আমি জাতীয় দলে খেলছি। আমার সম্পর্কে এমন অভিযোগ এর আগে কখনও ওঠেনি। তিনি আমাকে খারাপ খেলোয়াড় বলতে পারেন; কিন্তু আমাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলতে পারেন না। আমি আশা করব, মল্লিক ভাইয়েরা বিষয়টা দেখবেন। আমি তাদের জানিয়েছি। আজ আমার সাথে হয়েছে, সামনে যে অন্য কোনো খেলোয়াড়ের সাথে হবে না, তার গ্যারান্টি কি? এইটুকু সম্মান তো একজন খেলোয়াড় পেতেই পারেন। বুলুর এমন অভিযোগে স্বয়ং বিসিবিও অবাক। তাই মুশফিককে সমর্থন দিয়ে শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মিডিয়া লাউঞ্জে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, টেস্ট অধিনায়ককে অসম্মান করা হয়েছে। প্রয়োজনে মুশফিকের কাছে অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে আউয়াল চৌধুরীকে। তাকে এই অভিযোগের প্রমাণ দিতে হবে আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। জাতীয় দলের অধিনায়কের সঙ্গে এমন আচরণের ফলে নিশ্চিত লিজেন্ড ক্রিকেটাররা খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করবে না দলটির হয়ে । কারণ তারাও যে মুশফিকের মতো এমন ঘটনার সম্মুখীন হবে না তার গ্যারান্টি কি? তাই বলা যায়, নতুন বিপাকে পড়তে পারে জনপ্রিয় ফ্রাঞ্জাইজিটি। এদিকে বিপিএল গভর্নিং বোর্ড যেহেতু বিষয়টি আমলে নিয়েছেন ধারণা করা যায় শাস্তির মুখে পড়ছেন দলটির কর্ণধার। কারণ এর আগের তামিম ইকবালের সঙ্গে সিলেট মালিক পক্ষের ঝগড়ার বিষয়টি বহু দূর গড়িয়েছে। এখন দেখার বিষয় মুশফিকের অপমানের বিষয়টি কতদূর গড়ায়।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2ulnyXv
July 16, 2017 at 02:11AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন