সুনামগঞ্জে বিচারবিভাগকে প্রভাবিত করে সংবাদ প্রকাশ,মামলার প্রস্তুতি !


স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ বিচারবিভাগকে প্রভাবিত করে সংবাদ প্রকাশিত হলেও আদৌ তা কারও দৃষ্টি গোচর হয়নি ? একদিকে আদালতে মামলা বিচারাধীন,অন্যদিকে সংবাদ প্রকাশ । কিন্তু রহস্যজনক হলেও সত্য যে,এসিড মামলার এক ফেরারী আসামি মোজাম্মেল আলম ভূইয়া (আসামি)র বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ আদালতে মামলাটি বিচারাধীন থাকা সত্বেও কিছু কিছু অনলাইন গণমাধ্যমে আদালতকে অবমাননা করে তারা মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। এতে করে বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ প্রভাবিত করা হয়েছে । এবং বিচার বিভাগকে প্রশ্ন বিদ্ধ করা হয়েছে । যেহেতু ঐমামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে সেহেতু বিচার বিভাগকে নিয়ে এরকম কোন সংবাদ প্রকাশিত করা মানে আদালতের বিচারবিভাগ ও বিচারককে অবমূল্যায়ন করা ! এতে বিচারক ওই মামলার রায় ঘোষণা করার আগেই সংবাদের মাধ্যমে উক্ত মামলাটি মিথ্যা,ষড়যন্ত্রমূলক বলে সংবাদ প্রচার করেন সময়ের ডাক সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি । এমনটি সত্যতা বেরিয়ে এসেছে অনূসন্ধানী তদন্ত প্রতিবেদনে ।

জানা যায়,বিগত ১৭নভম্বের ২০১৬ইং-সময় ৮টা২৪মিনিটে এরকম একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে সিলেটের (ডেইলি সময়ের ডাক ডট কম) নামক একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল । অথচ প্রকাশিত ওই সংবাদের শিরোনামটি ছিলো (সুনামগঞ্জে দুই সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের) । রহস্যঘেরা সংবাদে তখন সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি যা উল্লখে করেছিলেন নিম্নে সে সংবাদটি তুলে ধরা হল । পাশাপাশি ওই প্রকাশিত সংবাদে একজন হত্যা মামলার আসামির বক্তব্য নেয়া হয়েছে । এবং সংবাদে যে সকল মামলা নং-উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো বর্তমানে বিচারাধীন আছে কি না সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোন তথ্য প্রকাশ করা হয়নি ? তাছাড়া দৈনিক যুগান্তর তাহিরপুর প্রতিনিধি হাবিব সরোয়ার আজাদকে যুগান্তর অফিস বাতিল করেছে মর্মে উক্ত সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে । কিন্তু আদৌ পর্য্যন্ত হাবিব সরোয়ার আজাদ যুগান্তর পত্রিকায় কর্মরত রয়েছেন । এরকম ভূল তথ্য দিয়ে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের ফলে ওই প্রতিনিধি হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন । এবং আদালত অবমাননা ও ভূল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের কারনে আইসিটি আইনের এখতিয়ারেই পড়ে ওই সংবাদটি । তবে সবচেয়ে বেশি অবমাননা করা হয়েছে বিচারক’কে কারন ওইরকম একটি সংবাদ প্রকাশের পূর্বে ওই আদালতের বিচারকের বক্তব্য নেয়া প্রয়োজন ছিলো । অপরদিকে জাতীয় দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার নাম উল্লেখ করা হয়েছে এতে করে ওই পত্রিকারও মান ক্ষুন্ন হয়েছে। কিন্তু সঠিক তথ্যকে আড়াল করে এই সংবাদটি প্রকাশ করেছেন অনলাইন নিউজপোর্টাল সময়ের ডাক ডট কম পত্রিকার দায়িত্বে থাকা সম্পাদক ও প্রকাশক ।

এব্যাপারে জানতে ডেইলি সময়ের ডাক ডট কম অনলাইন পত্রিকার গাজী মোঃ সাহেদ সম্পাদক ও প্রকাশক’কে একাধিকবার তার মুঠোফোণে কল দিলে মুঠোফোণ রিসিভ হয়নি ।

এদিকে দৈনিক যুগান্তর তাহিরপুর স্টাফ রিপোর্টার হাবিব সরোয়ার আজাদের সাথে মুঠোফোণে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,ঈদের পরে আদালত চালু হওয়ারপর ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন । এসময় তিনি আরো জানান,যে সংবাদটি সময়ের ডাক ডট কম অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত করা হয়েছিলো সেটি তার দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং ওই সংবাদের স্কিনশট ডকুমেন্ট হিসেবে রেখেছেন আদালতে পেশ করার জন্য । এব্যাপারে তিনি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান ।

প্রকাশিত সংবাদটি নিম্নে হুবুহু দেওয়া হল:

সুনামগঞ্জে দুই সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জে দৈনিক যুগান্তর এর তাহিরপুর প্রতিনিধি হাবিব সারোয়ার আজাদ ও তার সহোদর দৈনিক ভোরের কাগজ এর তাহিরপুর প্রতিনিধি সাজ্জাদ হোসেন শাহ বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলাটি দায়ের করেছেন তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগটিয়া গ্রামের বিশিষ্ট বালি ও পাথর ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার। কোর্ট পিটিশন মামলা নং-সি আর ১৮৩/১৬ইং,ধারা-৩৮৫/৩৪।মামলা সূত্র জানাযায়,ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তারের কাছে হাবিব সারোয়ার আজাদ ও সাজ্জাদ হোসেন শাহ ১লক্ষ টাকা চাঁদা চায়। গত ১৭/০৩/১৫ইং তারিখ রাত ৯টায় সীমান্তের শাহ আরেফিন মেলায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধৌলাই খেয়ে সালিশের মাধ্যমে মুসলেখা দিয়ে নিজেকে রক্ষা করে। এঘটনার এক সপ্তাহ পর ২৪/০৩/১৬ইং তারিখে দুপুর ১২টায় বড়ছড়া শুল্কষ্টেশনের মহিলা কয়লা শ্রমিকদের কাছে চাঁদা চাইলে সেখানে আবারও গণধৌলাই খায়। এছাড়া চাঁদাবাজির জন্য ২০০৪সালে চাঁনপুরে ও বাদাঘাট বাজারে আরো ২বার গণধৌলাই খায়। আজাদের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সাংবাদিক রাজু আহমেদ রমজানকে ডেকে নিয়ে বাদাঘাট বাজারে মারধর করে। এরপর রাজু তাহিরপুর থানায় জিডি নং ৬৩১,তারিখ:২০/০৪/১১ইং দায়ের করলে তাকে উল্টো মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে দেয়। এছাড়া বড়ছড়া কয়লা আমদানী কারক সমিতির অর্থ সম্পাদক ব্যবসায়ী কুদ্দুছ মিয়া কাছে চাঁদা চাওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশ দন্ড বিধি আইনের ৩৮৫/৫০০/৫০১/৫০২/১০৯ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে ১১৫/২০১১নং পিটিশন মামলা দায়ের করা হয় আজাদ ও তার ভাই সাজ্জাদের নামে। তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক,ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল হোসেন খাঁ ও উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি,চাঁরাগাঁও কয়লা আমদানী কারক সমিতি সভাপতি জয়ধর আলী আজাদ মিয়ার অবৈধ কর্মকান্ডে বাঁধা দেওয়ায়,তাদের কাছে ৫লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। এঘটনায় চেয়ারম্যানের ছেলে পারুল খাঁ বাদী হয়ে গত ২৯শে জানুয়ারী সুনামগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কোট পিটিশন চাঁদাবাজি মামলা নং-১০/২০১৫ইং ও কয়লা সমিতির সভাপতির ছেলে নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ২২শে জানুয়ারী কোর্ট পিটিশন চাঁদাবাজি মামলা নং-০৮/২০১৫ইং দায়ের করে চাঁদাবাজ আজাদ মিয়ার বিরুদ্ধে। চাঁদাবাজির অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে গত ২৫.০৪.২০১১ইং তারিখে ০৫.৯০৫…০৬.০৩.০৩১.২০১১নং স্মারকে আজাদ ও তার ভাই সাজ্জাদকে তাহিরপুরের ইউএনও মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। ২০০৭ সালের ৬ আগষ্ট স্থানীয় উত্তর বড়দল ইউনিয়নের গুটিলা গ্রামে প্রশাসনের লোকেরা স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঘুষ গ্রহণের দায়ে তাহিরপুর থানার মামলা নং-৩,তারিখ:০৬.০৮.২০০৭ইং,ধারা-১৬২/১১৪ দঃবিঃ এর আসামী সেটেলম্যান্ট অফিসার মোহাম্মদ আলী হোসেনকে হাতে নাতে গ্রেফতার করলে প্রশাসন ও উপস্থিত জনতার সামনে গ্রেফতারকৃত মোহাম্মদ আলী হোসেন জবান বন্দিতে স্বীকার করে যে,আজাদকে প্রতিমাসে ৫ হাজার টাকা হারে নিয়মিত চাঁদা দিত। এসময় আজাদ মিয়া এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। আজাদ ও তার সহযোগীরা আদালতে দন্ড বিধি আইনের ৩৮৫ ও ৫০৬ ধারায় দায়েরকৃত ১৬৩/২০০৭ নং জিআর মামলার আসামী জিয়াউর রহমান জিয়া ও শহিদ মিয়া গংদের দ্বারা সীমান্ত সংলগ্ন লাকমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সংবাদ সংগ্রহ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মোজাম্মেলের উপর হামলা করে। এঘটনায় মোজাম্মেল তাহিরপুর থানায় জিডি নং-৬৯১,তারিখ:২৫/১০/২০১১ইং দায়ের করেন। চাঁদাবাজী,ব্ল্যাকমেইল ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে হাবিব সারোয়ার আজাদ ও তার ভাই সাজ্জাদ হোসেন শাহ এর বিরুদ্ধে তাহিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত কমান্ডার মোহাম্মদ মুজাহিদ উদ্দিন আহম্মদ কর্তৃক গত ০৪/০৫/২০১১ইং জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। ২৪ অক্টোবর ২০১১ইং দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার শেষে পৃষ্টার ৪-৫ কলামে‘‘বিচারকের হাতে ব্যবসায়ী লাঞ্ছিত,পিপির অসৌজন্যমূলক আচরণ’’ শীর্ষক আদালত অবমাননাকর মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে গত ১৬/১০/২০১১ইং সুনামগঞ্জের বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ কর্তৃক যুগান্তর পত্রিকায় প্রতিবাদ প্রেরণ করে। বালিজুরী হাজী এলাহি বক্স উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমানের কাছে ২০হাজার টাকা চাঁদা চাওয়ায়,স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও শিক্ষকবৃন্দ গত ১১এপ্রিল ২০১২ইং তারিখে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানান। রাতের আধাঁরে মোটর সাইকেল চালকের স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মাইটিভির সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়ার উপর হামলা ও লুঠতরাজের ঘটনায় চাঁদাবাজ আজাদ ও সাজ্জাদসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গত ১৩ মে ২০১৩ইং সোমবার আমলগ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাহিরপুর জোনে দন্ডবিধি আইনের ৪২০/৩৮৫/৩৮০/৩২৫/৩২৪/৩০৭ ও ৩৪ ধারায় ৪৪/২০১৩নং পিটিশন মামলাটি দায়ের করা হয়। এই মামলা থেকে বাচাঁর জন্য আজাদ মিয়া তার শিশুপুত্র শিপু সারোয়ারকে আগুন দিয়ে পুড়ে দূর্নীতিবাজ এসআই জামাল উদ্দিকে দিয়ে সাংবাদিক মোজাম্মেলের নামে মিথ্যা এসিড মামলা দায়ের করে। এছাড়া ২০০৪সালে ৭ই নভেম্বর এক শিশুকে বলৎকারের ঘটনায় সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবে আজাদ মিয়ার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই নির্যাতিত শিশুর মা। এঘটনায় আজাদ মিয়াকে তার বাবা তেজ্য করে দিলে সে মদ খেয়ে তার বাবা বদ মিয়াকে মারধর করে। পরে লম্পট আজাদকে থানায় সোপর্দ করে তার বাবা। দীর্ঘদিন জেল খেটে এলাকা ছেড়ে সিলেট গিয়ে রিক্সা চালায় আজাদ মিয়া। এরপর আবার এলাকায় ফিরে এসে নিজে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মেয়ে উত্যক্ত করতে থাকে। সেই সাথে তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তের স্মাগলিং পয়েন্টগুলোতে আধিপত্য বিস্তার করে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি শুরু করে। আজাদ মিয়া র‌্যাব ও বিডিআরদের দ্বারা ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে এলাকার জনপ্রিয় সাবেক চেয়ারম্যান এমএ জাহের আলীকে ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা চাঁদা হাতিয়ে নেয়। তার দ্বারা তথ্য সন্ত্রাসের শিকার হয়ে এমএ জাহের আলী সাহেব হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। এসব অভিযোগে কারণে হাবিব সারোয়ার আজাদকে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধির পদ থেকে বাতিল করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তাতেও ক্ষান্ত হয়নি সে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘বিকাশ ফকির’সহ প্রায় ২০থেকে ২৫টি ফেইক আইডি তৈরি করে অশ্লীল ভাষায় লোকজনকে গালিগালজ করাসহ বিভিন্ন ভাবে লোকজনের সম্মানহানি করছে।
এব্যাপারে বাদাঘাট বাজার বণিক সাধারণ সম্পাদক ও উত্তর বড়দল ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মাসুক মিয়া বলেন,আজাদ ও সাজ্জাদের অত্যচারে সাংবাদিক সমাজসহ এলাকার মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। যাদুকাটা নদীর বালি-পাথর ব্যবসায়ী হাজী রহিম উদ্দিন বলেন,আজাদ ও সাজ্জাদের চাঁদাবাজি ও অত্যাচার থেকে আমরা মুক্তি চাই। উত্তর বড়দল ইউপি সদস্য নোয়াজ আলী বলেন,দুই সহোদরের অত্যাচার দিনদিন বেড়েই চলেছে,তাদের অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন ভাবে লোকজনকে হয়রানী করে।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2uaSs1B

July 01, 2017 at 07:50PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top