ঢাকা, ১৪ জুলাই- টিম ম্যানেজমেন্ট যখন চিন্তা করে এমন ব্যাটসম্যানকে খেলালে যার কাছ থেকে বোলিং সাপোর্ট পাওয়া যাবে, তখন কম্বিনেশনের কারণে আমি বাইরে থাকি। কথাগুলো বললেন বাংলাদেশের অন্যতম ওপেনার ইমরুল কায়েস। যেন বোলার না হওয়ায় আক্ষেপই ঝরে পড়ে তার কণ্ঠে। আর তখন নিছক মজা করেই তাকে প্রশ্ন করা হয়, তবে কি এবার বোলিংটাও শুরু করে দিবেন? তখন ইমরুলের জবাবটাও হয় যেমন হওয়া দরকার, তা নয়, আমি বোলিংয়ের চেয়ে উইকেটকিপিংই বেশি উপভোগ করি। বলেই হেসে ওঠেন বাংলাদেশের ওপেনিং ব্যাটসম্যান। মজা করে বললেও, ইমরুলের জন্য একটা কঠিন বাস্তবতা। বাংলাদেশ জাতীয় দলে তার অভিষেক ২০০৮ সালে। এরপর কেটে গেছে প্রায় ৯ বছর। এখনও আছেন জাতীয় দলের সঙ্গে। তবে ওয়ানডের প্রথম একাদশে আর নিয়মিত নন এই ওপেনার। টেস্টে নিয়মিত। এক্সট্রা অর্ডিনারি পারফরম্যান্স, কারো ইনজুরি, কন্ডিশন কিংবা পরিস্থিতি বিবেচনা করে একাদশে সুযোগ পান। কখনও কাটাতে হয় ড্রেসিং রুমে বসেই। মাঝে মাঝে দল থেকেও বাদ পড়েন। কেন বার বার বাদ পড়ছেন দল থেকে? দলে সুযোগ হলেও কেন একাদশে নিয়মিত নন? নিজের ব্যাটিংয়ে কি কোন ঘাটতি রয়েছে? এসব প্রশ্ন তো ইমরুলের মাথাতেও ঘুরো খুব, প্রত্যেক ব্যাটসম্যানেরই দুর্বল ও শক্তিশালী জায়গা থাকে। কোনো ব্যাটসম্যানই একটা জায়গাতে শতভাগ শক্তিশালী নয়। সবারই দূর্বল জায়গা থাকে। আমিও চেষ্টা করি যে জায়গায়টায় দুর্বলতা আছে সে জায়গায় কাজ করার। অথচ পারফরম্যান্সের বিচারে কখনোই তাকে ছেঁটে ফেলতে পারেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। নিয়মিত না খেলতে পারায় স্বাভাবিকভাবেই প্রভাব পড়ে তার পারফরম্যান্সে। দলের সেরা পারফরমারদের একজন ছিলেন সবসময়ই। একাদশে জায়গাটা নিশ্চিত হলে খেলতে পারতেন আরও আত্মবিশ্বাস নিয়ে। তবে যখনই সুযোগ পান নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন তিনি। আর এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছেন ইমরুল, শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না। আপনি হঠাৎ করে যদি একটা ম্যাচ খেলেন তখন কাজটা কঠিন হয়ে যায়। তবে পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে এটার সঙ্গে মানিয়ে নেয়া ভালো। মানসিকভাবে আমার মনে হয় এটার জন্য সবাই তৈরি থাকে, ভালো একটা সুযোগ পাবে এবং কাজে লাগাবে। আমার মনে হয় এ জিনিসগুলো ইতিবাচকভাবে চিন্তা করাই ভালো। একটা সুযোগ আসলে সেটাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা। পাশাপাশি ইমরুল মেনে নিয়েছেন বাস্তবতাকেও। বাংলাদেশে জাতীয় দলের ওপেনিং পজিশনে কম্পিটিশন তো খুব কাছ থেকে দেখেন। সে ভাবনা থেকেই বললেন, জাতীয় দলে ওপেনিংয়ের জায়গাটি অনেক চ্যালেঞ্জিং। একটু খারাপ খেললেই ওখান থেকে বাদ পড়তে হয়। যেই সুযোগ পায় সে চেষ্টা করে জায়গাটি ধরে রাখার জন্য। আমিও আট বছর ধরে এ চেষ্টাই করছি। কিছু ম্যাচ ভালো খেলি, কিছু খারাপ করি, আবারও কাম ব্যাক করি। এগুলোর মধ্য দিয়েই চলছে। তারপরও চেষ্টা করছি আরও ভালো করার।



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2upEoVv
July 14, 2017 at 07:55PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top