ঢাকা, ২০ জুলাই- তারকা দম্পতি তাহসান-মিথিলা প্রথম দেখায় কথা বলেছিলেন মাত্র দশ মিনিট। ওই সময়েই তাহসানের হৃদয় স্পর্শ করেন মিথিলা। সেটা ছিল ২০০৩ সাল। এরপর প্রেম থেকে বিয়ে পর্যন্ত পৌঁছাতে সময় লেগেছে মাত্র তিন বছর। বাবা মা হওয়ার জন্য সময় নিয়েছেন সাত বছর। তাহসান মিথিলার প্রেমের ইতিহাস ট্র্যাজেডির মধ্য দিয়ে শেষ হতে সময় লাগলো ১৪ বছর। ঘটনাটা ২০০৩ সালের দিকের। তখন বিক্রমপুরের ছেলে তাহসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। ছাত্র অবস্থাতেই পরিচিত পেয়েছেন শিল্পী হিসেবে। এখানে সেখানে ব্যান্ড দলের সঙ্গে মঞ্চে গানও গাচ্ছেন। বেশ জনপ্রিয় বলা যায়। সে সময়ই ঢাকার মেয়ে মিথিলার সঙ্গে দেখা হয় হঠাৎ করেই। মিথিলা তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্রী। ২০০৩ সালের একদিন মিথিলার এক বন্ধু তার কাছে বায়না ধরলেন গায়ক তাহসানের বাসায় যাওয়ার জন্য। উদ্দেশ্য ছোট ভাইয়ের জন্য তাহসানের অটোগ্রাফ নেয়া। মিথিলাও তখন একটু আধটু গান গেয়ে থাকেন। তিনি আর্টসেলের ফ্যান আর তাহসান ব্ল্যাক-এ। তাহসানের গান শোনা হয়েছে। তবে ওতো বড় ভক্ত নন যে তার অটোগ্রাফ নিতে হবে। তাও আবার তার বাসায় গিয়ে। তবে শেষ অবধি বন্ধুর বায়না উপেক্ষা করতে না পারায় সোজা গিয়ে উপস্থিত তাহসানের বাসায়। আর্টসেল আর ব্ল্যাক সমর্থকদের মধ্যে তখন ছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। মাওকা পেয়ে গেলেন মিথিলা। তাহসানকে কাছে পেয়ে তাই আচ্ছামতো সমালোচনা করলেন। তবে মিথিলার এ আক্রমণ তখন মনে হয় তাহসান উপভোগ করছিলেন। তার মিটি হাসিতেই সেদিন তার প্রমাণ রেখেছিলেন। কিন্তু প্রথম দেখাতেই যে তাহসান পটে গেছেন তা বুঝতে পারেননি মিথিলা। তাহসান মিথিলার মেয়ে সেদিন মিথিলার সঙ্গে মাত্র বিশ মিনিট কথা হলো তাহসানের। কিন্তু এই দশ মিনিটই যেন তাহসানের জীবনে থমকে গেল। সবচেয়ে মূল্যবান হিসেবে দেখা দিল। প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে যান মিথিলার। পরদিনই সেই প্রেমের কথা মিথিলাকে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। পরিচয়ের পরদিনই চিঠি নিয়ে হাজির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের গেটে। জানতে পারলেন মিথিলাও ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্রী। তার তখন ক্লাস চলছে কলাভবনে। মোবাইল ফোন তখন অনেকটাই সহজলভ্য। ইচ্ছে করেই তাহসান প্রেম নিবেদন করলেন চিঠিতে। ক্লাস শেষ হলে মিথিলার সামনে পড়ে গেলেন। মিথিলাই প্রথম কথা বললেন। কী অবস্থা আপনি এখানে? তাহসান হাঁটতে হাঁটতে কথা বলার প্রস্তাব করলেন। অনেক কথা হলো। একপর্যায়ে সাহস করে মিথিলার হাতে গুঁজে দিলেন সেই প্রেমপত্র। গোটা গোটা অক্ষরে এপিঠ-ওপিঠ ইংরেজিতে লেখা। শুরুটা ছিল- Some call it love at first sight, some call it infatution. I just ignore it. প্রথম প্রেমের চিঠি বারবারই পড়লেন মিথিলা। ভালো লাগা তো হয়েই গেল। সঙ্গে ভালোবাসাটাও। চিঠির উত্তর দিয়েছিলেন ফোনে। যার প্রথম বাক্যটি ছিল এমন- এই এটা কী লিখেছ? যা লিখেছিলেন তাহসান তা তো সেই দশ মিনিটেরই ইতিহাস! আর/১০:১৪/২০ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2ud1FXK
July 21, 2017 at 04:10AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন