<img src="http://ift.tt/2sE1Sku; alt="" width="389" height="250" class="alignnone size-medium wp-image-49687" /
নিজস্ব প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার ইমাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন পরিষদের সদস্যরা। সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে অনাস্থা প্রস্তাবপত্র প্রদান করা হয়েছে। পরিষদের ১৩ সদস্যের মধ্যে ৯ জন সদস্য অনাস্থা প্রস্তাবপত্রে স্বাক্ষর প্রদান করেছেন। এর অনুলিপি সিলেটের জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও রামপাশা ইউপি বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে।
অনাস্থা প্রস্তাবপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার ইমাম উদ্দিন নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ‘রামপাশা ইউপি’র সম্মান হানিকর কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছেন। তিনি (ইমাম) ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্য/সদস্যার বিরুদ্ধ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে পরিষদের সদস্য/সদস্যাদের বিরুদ্ধে নিজে ও প্রতিনিধির মাধ্যমে মিথ্যা মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বর্তমান অর্থ বছরে আমাদের ইউপিতে এলজিএসপির বরাদ্ধকৃত প্রায় ১৫ লাখ টাকা পরিষদকে না জানিয়ে চেয়ারম্যান আত্বসাৎ করেছেন, পরিষদের সদস্য/সদস্যাদের ৫/৬ দিন পূর্বে একত্রে জড়ো করে এমন মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও দুদকে মামলা দায়েরের জন্য সাদা কাগজে পরিষদের সদস্য/সদস্যাদের স্বাক্ষর দিতে বলেন। যার প্রমাণ হিসেবে ২৬ মিনিটের একটি অডিও রেকর্ড অনাস্থা প্রস্তাবপত্রে স্বাক্ষরকারীদের জিম্মায় রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অনাস্থা প্রস্তাবপত্রে আরোও উল্লেখ করা হয়েছে, পরিষদের সদস্য/সদস্যারা সাদা কাগজে স্বাক্ষর না করে বিষয়টি ইউএনও’র কার্যালয় থেকে সত্য-মিথ্যা যাছাই করার কথা জানান। এসময় ইমাম উদ্দিন তাদের উদ্দেশ্যে বলেন তোমরা নতুন নির্বাচিত হয়েছ। তাই এসব ব্যাপারে কিছুই জাননা তোমারা, আমি (ইমাম) ৪/৫ বারের মেম্বার। আমি (ইমাম) সব জেনে এসেছি, যা বলেছি সব সত্য। এভাবে বলে ইমাম উদ্দিন সাদা কাগজে পরিষদের সদস্য/সদস্যাদের স্বাক্ষর নেওয়ার ব্যর্থ চেষ্ঠা করেন। এরপর পরিষদের সদস্য/সদস্যারা ইউএনও’র কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ‘রামপাশা ইউপি’তে চলতি অর্থবছরে এলজিএসপির কোন বরাদ্ধ আসেনি। বিষয়টি জানতে পেরে পরিষদের সদস্য/সদস্যারা ইমাম উদ্দিন মেম্বারকে বিষয়টি অবহিত করেন এবং জনপ্রতিনিধি ও পরিষদের বিরুদ্ধ মিথ্যা অপপ্রচার করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন।
পরিষদের সদস্য/সদস্যাদের নিজের পক্ষে নিতে ব্যর্থ হয়ে ইমাম উদ্দিন মেম্বার উল্টো ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে উপস্থিত জনগণের সামনেই পরিষদের সদস্য/সদস্যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট অভিযোগ ও তথ্য তুলে ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরিষদের সদস্য/সদস্যাদের গালিগালাজ ও চুর-বাটপার বলা ইমাম উদ্দিনে কথাগুলো সেখানে উপস্থিত থাকা একজন জনগণ রেকর্ড (৮মিনিট) করে চারিদিকে ছড়িয়ে দেন। যার রেকর্ডও সংরক্ষিত আছে অনাস্থা প্রস্তাবপত্রে স্বাক্ষরকারীদের জিম্মায়। ইমাম উদ্দিনের এমন কার্যকলাপে পরিষদের সদস্য/সদস্যাদের মধ্যে ভীতির জন্ম হয়েছে ও পরিষদের সম্মান হানিকর কাজে লিপ্ত থাকায় বাধ্য হয়েই তারা (পরিষদের সদস্য/সদস্যারা) ইমাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। পরিষদের সদস্য/সদস্যারা ইমাম উদ্দিনের জোর শাস্তি দাবি করেছেন তাদের দাখিলকৃত অনাস্থা প্রস্তাবে।
রামপাশা ইউপির ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার ইমাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবপত্র পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে এব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2sEcIXu
July 03, 2017 at 06:27PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন