কলকাতা, ২১ জুলাই- এলেন, দেখলেন কিন্তু জয় করা তো অনেক দূরের ব্যপার৷ মিশতেই পারলেন না৷ শহিদ দিবসে মঞ্চের সামনে থেকেই বিদায় নিতে হল সারদা কান্ডে জেলফেরত মদন মিত্রকে৷ বলা যায়, ঘাড় ধাক্কা দিয়ে মঞ্চের সামনে থেকে সরিয়ে হল একসময়ের তৃণমূলের বিশ্বস্ত সৈনিককে৷ শহিদ দিবসে দলের কাছে তিনিও কি এখন শহিদ? উঠছে প্রশ্ন৷ ২১ শে জুলাই, শহিদ দিবস৷ সব তৃণমূল নেতা-কর্মীই ধর্মতলায়৷ কর্মীরা রাস্তায়, নেতারা মঞ্চে৷ তিনিও তো নেতা৷ তাই, ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ দিবস মঞ্চে ওঠার জন্যই এসেছিলেন মদন মিত্র৷ ভেবেছিলেন, শহিদ দিবসের উত্তেজনাকে সঙ্গী করে মিশে যাবেন দলের মূল স্রোতে৷ কিন্তু দিদি বাম থুড়ি বিধি বাম৷ স্বপ্ন সত্যি হল না৷ তৃণমূল সূত্রে খবর, তাঁকে মঞ্চে উঠতে দেওয়া হয় নি৷ ঠেলে সরিয়ে দেওয়া হয় একসময়ের বলিষ্ঠ যোদ্ধাকে৷ ধাক্কাধাক্কিতে রীতিমত ক্ষুব্ধ মদন মিত্র বসে পরেন রাস্তায়৷ পরে সাংবাদিকরা ও দলের নিচুতলার কর্মীরা সামনে আছে দেখে নিজেকে সংবরণ করেন বিধ্বস্থ মদন৷ বললেন, শরীরটা একটু খারাপ, তাই আর মঞ্চে উঠলাম না৷ পরক্ষনেই বললেন, আমি রাস্তার লোক, রাস্তাতেই থাকব, মঞ্চে আমার কি কাজ৷ বলার সময়ও মদন মিত্রের আফশোষ ধরা পরছিল চোখে মুখে৷ রাস্তার বসে পরে মদন মিত্র বলেন, তিনি অসুস্থ বোধ করছেন৷ ততক্ষণে সাংবাদিক থেকে দলের কর্মীরা বুঝে গেছেন, এই অসুস্থতার কারণ৷ পরে একটু ধাতস্থ হয়ে মদন মিত্র সাংবাদিকদের বলেন, আজ অভিষেকের অভিষেক হচ্ছে, আগামীদিনে মমতার অভিষেক হবে দিল্লীতে৷ তবে, প্রশ্ন উঠছে দলের কর্মীদের মধ্যেই৷ শহিদ দিবসে কি জীবিত মদন মিত্রকেই শহিদ বানিয়ে দিল দল? দলে কি আর দরকার নেই মদন মিত্রের? সারদা নারদা মামলায় অভিযুক্ত সব নেতাই তো আজ মঞ্চ আলো করে ছিলেন, তাহলে এই সিদ্ধান্ত শুধু মদন মিত্রের জন্যই কেন? নেত্রী কি এতটাই ক্ষুব্ধ তাঁর একসময়ের বিশ্বস্ত ভাইয়ের প্রতি? প্রশ্ন উঠছে দলের কর্মীদের মধ্যে৷ প্রশ্ন কি ওঠে নি স্বয়ং মদন মিত্রের মনেই? যে দলের জন্য একসময় এত কিছু করেছেন, সেই দল তাকে আজ ধর্মতলার মঞ্চের সামনে থেকে সরিয়ে দিল! শহিদ দিবসেই কি দলের দরজা চিরদিনের মত বন্ধ হয়ে গেল মদন মিত্রের সামনে৷ শুক্রবারের বিধ্বস্থ ছবিটা কিন্তু সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে৷ আর/১৭:১৪/২১ জুলাই



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2uha2TK
July 21, 2017 at 11:16PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top