আমেরিকা ::
যুক্তরাষ্ট্রে বারাক ওবামার চালু করা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা বাতিল করার চেষ্টা করে আবারও ব্যর্থ হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মি. ট্রাম্প এ ব্যবস্থায় যে সংস্কার করতে চেয়েছিলেন, তা পাস করানোর জন্য সিনেটে যে পরিমাণ সমর্থন পাওয়া দরকার ছিল তা পেতে ব্যর্থ হওয়ায় পরিকল্পনাটি আবারো মুখ থুবড়ে পড়েছে।
এর পর এক টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, সব ডেমোক্র্যাট এবং কিছু রিপাবলিকান সিনেটর এ জন্য দায়ী। তিনি ওবামাকেয়ার নামে পরিচিত ওই স্বাস্থ্যসেবার পরিবর্তে নতুন এক ব্যবস্থা তৈরির ব্যাপারে তিনি নিজ দলের পাশাপাশি বিরোধী ডেমোক্র্যাটদেরও সহযোগিতা চেয়েছেন।
তবে পুরনো কাঠামো ভেঙে দিয়ে নতুন ব্যবস্থা চালুর প্রক্রিয়া নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে খোদ রিপাবলিকান দলের ভেতরেই।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অন্যতম একটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল ওবামাকেয়ার বাতিল করা। প্রেসিডেন্ট ওবামার শাসনামলের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান বলে বিবেচিত এই আইনের প্রধান লক্ষ্য ছিল সেদেশের যে ১৫ শতাংশ মানুষের কোনরকম স্বাস্থ্য বীমা নেই, তাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা।
কিন্তু রিপাবলিকানরা গোড়া থেকেই এই আইনের তীব্র বিরোধিতা করেছিল। কারণ তারা মনে করে, এটি যুক্তরাষ্ট্রে নতুন কর্মসংস্থানের পথে প্রধান বাধা, কারণ এই আইনে যে কোন কোম্পানি, যাদের ৫০ জনের বেশি কর্মী আছে, তাদের সব কর্মীর জন্য স্বাস্থ্যবীমা দেয়া বাধ্যতামূলক করেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরদিনই এটি বাতিলের উদ্যোগ নেবেন। কিন্তু তার এই উদ্যোগ এখন কার্যত মুখ থুবড়ে পড়লো।
যে দুজন রিপাবলিকান সেনেটর প্রস্তাবিত ওবামাকেয়ার বাতিল বিলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, তারা হচ্ছেন মাইক লী এবং জেরি মোরান। তারা বলছেন, ওবামাকেয়ার বাতিল করে তার জায়গায় যে নতুন ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বিলে বলা হয়েছে, সেগুলো যথেষ্ট নয়।
এর আগে আরও দুজন রিপাব্লিকান সেনেটর, র্যান্ড পল এবং সুজান কলিন্স জানিয়েছিলেন, তারাও এর বিরুদ্ধে ভোট দেবেন।
ফলে ১০০ সদস্যের সেনেট, যেখানে রিপালিকান সদস্য আছে ৫২ জন, সেখানে এই বিল পাশ হওয়ার আর কোন সম্ভাবনাই নেই।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য এখনই ওবামাকেয়ার বাতিল করে তারপর এর জায়গায় একটি নতুন বিল পাশ করানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে সংবাদদাতারা বলছেন, এই পরিকল্পনা সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম, কারণ ওবামাকেয়ারের আওতায় যে লাখ লাখ আমেরিকান স্বাস্থ্যসেবা পান, তারা এতে করে সংকটে পড়বেন বলে আশংকা আছে।
from যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2tCrONz
July 18, 2017 at 08:45PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন