দুদলই বিশ্বকাপ আয়োজন করার স্বাদ পেয়েছে একবার করে। অথচ লাতিন আমেরিকার পাওয়ার হাউজ আর্জেন্টিনা এবং উরুগুয়ে- এই দুই দেশই দুবার করে মোট চারবার বিশ্বকাপ ঘরে তুলে নিয়েছে। ১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজন করার পর আর উরুগুয়ের মাটিতে বিশ্বকাপের খেলা হয়নি। আর্জেন্টিনা ১৯৭৮ সালে ছিল বিশ্বকাপের আয়োজক। সেবারই তারা প্রথম বিশ্বজয় করতে পেরেছিল। এবার আর্জেন্টিনা এবং উরুগুয়ে- এই দুই দেশ মিলে যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ আয়োজন করার জন্য নিলামে অংশ নিতে দুদেশের ফুটবল কর্মকর্তারা নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। এই নিলামে আর্জেন্টিনা-উরুগুয়ের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে চীন এবং আরও কয়েকটি শক্তিশালী রাষ্ট্র। ১৯৩০ সালে প্রথম আয়োজনের ঠিক শতবর্ষ পূর্তিতে আরও একটি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে ইচ্ছুক উরুগুয়ে; কিন্তু এখন একটি বিশ্বকাপ একার পক্ষে অনেক দেশের পক্ষেই আয়োজন করা সম্ভব নয়। কারণ বিশাল ব্যায়। এ কারণেই হয়তো উরুগুয়ে সঙ্গী হিসেবে থাকার জন্য আর্জেন্টিনাকে প্রস্তাব দিয়েছে। শতবর্ষ পূর্তিতে যেন আবার উরুগুয়েই বিশ্বকাপের আয়োজক হতে পারে, এই আবেগের জায়গা থেকেই আর্জেন্টিনা প্রতিবেশি দেশটির সঙ্গী হতে রাজি হয়েছে। আর্জেন্টিনার ক্রীড়া সচিব কার্লোস ম্যাক অ্যালিস্টার বুধবার মিডিয়াকে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, দুদেশের প্রেসিডেন্ট এবং ফুটবল কর্মকর্তারা একসঙ্গে নিলামে অংশ নেয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে। তবে বিশ্বকাপের আয়োজক হতে চাইলেও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর রাজনীতিবীদরা সব সময়ই নানান প্রশ্নের সম্মুখিন হন। স্বচ্ছতার বিষয়েও তাদের দারুণ সতর্ক থাকা লাগে। কারণ, ২০১৪ ব্শ্বিকাপ এবং ২০১৬ অলিম্পিক আয়োজন করার পর ব্রাজিলের অভিজ্ঞতাই সবাইকে ভাবিয়ে তোলে। আর/১৭:১৪/২৭ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2uFf4b8
July 27, 2017 at 11:27PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন