নিজস্ব প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পতনউষার ইউনিয়নে সংস্কারাধীন রাস্তায় ট্রাক্টর চলাচলে আপত্তি দেয়ায় চলন্ত মোটরসাইকেলে সংবাদকর্মীর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে । গুরুতর আহত সাংবাদিককে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টায় শহীদনগর বাজারে এ ঘটানাটি ঘটে। আহত সাংবাদিক ফটিকুল ইসলাম সাপ্তাহিক পূর্বদিক ও দৈনিক দিনকাল এর কমলগঞ্জ প্রতিনিধি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাংবাদিক ফটিকুল ইসলাম ও স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ ও গ্রামবাসীর সহায়তায় শ্রীসূর্য রথটিলার একটি গ্রাম্য কাঁচা রাস্তায় মাটি, বালি ফেলে সংস্কার করা হয়। সংস্কারকৃত এ কাঁচা রাস্তায় কয়েক দিনের জন্য যাতে ট্রাক্টর চলাচল না করে সে জন্য আগে থেকেই চালকদের অনুরোধ করা হয়। গ্রামবাসীর অনুরোধ উপেক্ষা করে একই ইউনিয়নের টিলাগড় গ্রামের ট্রাক্টর চালক কাশেম মিয়া (২৭) এ গ্রামের প্রবাসীর বাড়িতে ইট পরিবহন করেন। পরে আবার ট্রাক্টর দিয়ে বালু পরিবহনকালে গ্রামবাসীরা সবাই মিলে ট্রাক্টরটি থামানোর চেষ্টা করেন। চালক ট্রাক্টর দিয়ে গ্রামবাসীর উপর দিয়ে চালিয়ে যাওয়ার হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনায় রবিবার বিকালে ট্রাক্টর চালক কাশেম মিয়ার সাথে তার সাংবাদিক ফটিকুল ইসলামের সাথে কথা কাটাকাটির জের ধরে ট্রাক্টর চালক ওৎ পেতে বসে থেকে সোমবার দুপুরে সাংবাদিক ফটিকুল ইসলাম চলন্ত মোটরসাইকেলের উপর থাকাবস্হায় একটি কাঁঠের বড় টুকরো দিয়ে হামলা চালায়। হামলায় ফটিকুল ইসলাম আহত হয়ে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনার পর পরই হামলাকারী ট্রাক্টর চালক পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় সাংবাদিক ফটিকুল ইসলামকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পতনউষার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তওফিক আহমদ বাবু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শুধুমাত্র কয়েক দিনের জন্য এ কাঁচা রাস্তায় বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখতে সবাইকে অনুরোধ করেছিল গ্রামবাসী। সে অনুরোধ উপেক্ষা করে ট্র্ক্টার চালক কাশেম মালামাল পরিবহন করে আবার সাংবাদিক ফটিকুল ইসলামের চলন্ত মোটরসাইকেলে হামলা চালিয়েছে। তিনি ঘটনাটি দ্রুত কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কমলগঞ্জ থানার ওসিকে অবহিত করেন। তাছাড়া স্থানীয় ইউপি সদস্যেও জিম্মায় ট্রাক্টরটি রাখা হয়েছে।
অভিযোগ বিষয়ে কাসেম মিয়া বলেন, রোববার গ্রাম্য কাঁচা রাস্তায় ট্রাক্টর দিয়ে ইট বালি পরিবহন তিনি করেননি। তার এক ছোট ভাই করছিলেন। এ নিয়ে সাংবাদিক ফটিকুল ইসলামের দুই ভাইর সাথে প্রথমে তর্কবিতর্ক হয়েছিল তার। পরে সাংবাদিক নিজে এসে তাকে গালিগালাজ করায় ক্ষোভেই গতকাল তিনি নিজে সাংবাদিক ফটিকুল ইসলামের উপর আঘাত করেছেন মাত্র।
এ ব্যাপারে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-সহকারী পরিদর্শক আয়াছ মাহমুদ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি হামলাকারী ট্র্কার চালকের বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করেও তাকে পাননি। তবে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2tzAO7d
July 25, 2017 at 09:42PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন