মুখে কালো কাপড় বাঁধা দুষ্কৃতীদের থেকে বাঁচিয়ে দিল বাইসন

জলপাইগুড়ি ১১ জুলাইঃ বুনোরাও বাঁচিয়ে দেয়। এভাবেই ঘটনাটাকে ভাবছেন বনকর্মীরা।

নিঝুম রাতে ঘন জঙ্গলের মধ্যে একটা বনবাংলো। সেখানে পাহারা দিচ্ছিলেন কয়েকজন বনকর্মী। হঠাৎই বাংলোর সামনে থাকা চেকপোস্টের দরজায়  সজোরে লাথি মারল কয়েকজন। চাপা স্বরে হুমকি এল—দরজা খোল, নাহলে কুপিয়ে মারব।

ঠিক এমনই হাড়হিম ঘটনা ঘটেছে সোমবার রাতে উত্তরবঙ্গের নামজাদা বনবাংলো চাপড়ামারিতে। ঘটনার কথা পুলিশ চেপে যেতে চাইলেও আতঙ্কিত বনকর্মীরা। কয়েকজন জানিয়েছেন, কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে এসেছিল জনা তিনেক যুবক। দরজা বন্ধ করে ভিতরে থাকা জনা তিনেক বনকর্মী তখন মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছিলেন মোবাইলে পুলিশকে ফোন করার। হঠাত্ই দৌড়ে পালায় হানাদাররা। একটা ম্যাটাডোরে উঠে মুহূর্তে হাওয়া। দরজা ফাঁক করে বনকর্মীরা দেখেন বাংলোর চত্বরে চলে এসেছে একটা বিশাল বাইসন। তাকে দেখেই পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। অন্যদিন বাইসন এলে ইষ্টনাম জপলেও এদিন বাইসনকে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ দিয়েছেন তিন বনকর্মী।

বিপদ কাটতেই সকলের মনে এখন অনেক প্রশ্ন। মুখে কালো কাপড় বেঁধে কারা এসেছিল ?  চাপড়ামারির বনবাংলো পেরিয়ে জলঢাকার দিকে একটু এগোলেই কুমাই—মোর্চার শক্ত ঘাঁটি।  তাদের সাম্প্রতিক আন্দোলনে একের পর এক হামলা হয়েছে সরকারি সংস্থাও। তাই এখানেও প্রাথমিক সন্দেহ তাদের দিকেই। খুনিয়া মোড়ে পুলিশ চৌকির  পাহারাদার কর্মীরাও বলছেন, একটা ম্যাটাডোর এসেছিল রাত ১টা নাগাদ। ফাঁকা ম্যাটাডোর দেখে পুলিশ আটকায়নি। তাতেই ছিল ওই যুবকরা। কারণ ম্যাটাডোরটি আর ফিরে যায়নি খুনিয়ার দিকে। সম্ভবত কুমাই-ঝালংয়ের দিকে পাহাড়ের কোনও গোপন আস্তানায় চলে গিয়েছে।

সে যাই হোক, সংরক্ষিত চাপড়ামারির পাহারাদার বনকর্মীদের আতঙ্কে ঘুম নেই। জঙ্গি হোক বা মোর্চা, বাইসন তো বারবার তাদের হাত থেকে বনকর্মীদের বাঁচাবে না।

গোরুমারা নর্থ-এর রেঞ্জার সমীরণ শিকদার বলেন, আমরা বিষয়টা পুলিশকে জানিয়েছি। চাপড়ামারির দিকে বিশেষ নজর রাখতে অনুরোধ করেছি।



from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal http://ift.tt/2tDnYad

July 11, 2017 at 05:02PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top