কলকাতা, ০৩ জুলাই- সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার যা বলে দিলেন, তাতে খুশি হওয়ারই কথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আসলে নীতীশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্বের উপর। বিরোধীদের কোনও অ্যাজেন্ডা নেই বলেই তিনি জানিয়ে দেন, আমি আগেও বলেছি যে, ২০১৯-এ আমি বিরোধী পক্ষের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীর মুখ নই। আমার সেই যোগ্যতাও নেই। আর এখানেই মমতার জন্য সুবর্ণ সুযোগ। বিরোধী দলগুলির নেতৃ্ত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে কংগ্রেসের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিরোধী দলগুলির নেত্রী হিসেবে উঠে আসার একটি সুযোগ থাকছে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যুর পরে ও উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে অখিলেশ-মায়াবতী ধরাশায়ী হওয়ার পরে আঞ্চলিক নেতাদের মধ্যে নীতীশ কুমার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এখনও বিজেপির রথ প্রতিরোধ করে রেখেছেন নিজেদের রাজ্যে। এর মধ্যে জিএসটি, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো ইস্যুতে এনডিএ-র দিকে নীতীশ ঝুঁকে পড়ায় মমতাই একমাত্র আঞ্চলিক নেত্রী, যিনি এখনও সদর্পে মোদী-বিরোধিতা করে চলেছেন। দিল্লিতে লোকসভা-রাজ্যসভা মিলিয়ে ৪৬ জন সাংসদ নিয়ে তৃণমূলের শক্তিও বিরোধী শিবিরে কম নয়। তবে কংগ্রেসও যে মমতাকে এত সহজে জায়গা ছেড়ে দেবে না, তা রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে ১৭ দলের বিরোধী জোট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন সনিয়া। এখনও পর্যন্ত রাহুল গাঁধীকেই নরেন্দ্র মোদীর বিপক্ষে লড়াতে চাইছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। তবে তালেগোলে যদি বিরোধী জোটের কোনও সুযোগ আসে, তাহলে মমতা হতেই পারেন মোদী-বিরোধী প্রধান মুখ। সেক্ষেত্রে অবশ্য শুধুই মোদী-বিরোধিতা করতে গিয়ে প্রতিক্রিয়ার রাজনীতি করলে যে হবে না, এই সাবধান বাণী নীতিশ শুনিয়ে দিয়েছেন বিরোধী শিবিরের দলগুলিকে। তিনি পটনায় বলেন, শুধু জোট করলেই হবে না। আমাদের বিকল্প অ্যাজেন্ডা তুলে ধরতে হবে মানুষের কাছে।



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2shX1Ww
July 03, 2017 at 08:24PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top