চট্টগ্রামের ন্যায় সিলেটেও লেবার কোর্ট স্থাপন করা হবে -অর্থমন্ত্রী।

সুরমা টাইমস ডেস্ক::

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এমপি বলেছেন, সিলেটে বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দেশী ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসতে হবে। স্পেশাল ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠায় সিলেটের ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের আগ্রহ ও উদ্দীপনা এটি বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। তিনি চট্টগ্রামের ন্যায় সিলেটেও লেবার কোর্ট স্থাপন করা হবে বলে জানান।

তিনি শুক্রবার দুপুরে সিলেট চেম্বারে এক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন। চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় তিনি আরো বলেন, সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সিলেটে বড়ধরণের শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে না। প্রবাসীরা বিনিয়োগে আগ্রহী রয়েছেন। সিলেট চেম্বার তাদের জন্য সহযোগিতা করবেন।

বিনিয়োগ প্রসারের ক্ষেত্রে যতধরণের প্রতিবন্ধকতা আছে সেগুলো দূর করতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ব্যবসায়ীদের সবধরণের সহযোগিতা দিতে আন্তরিক রয়েছে। দেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগ বাড়লে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা আরো তরান্বিত হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, মেঘালয়সহ ভারতের সেভেন সিস্টারস এর সাথে সিলেটের সংযোগ থাকায় এখানে ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে এবং দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রসারিত হবে। দু’দেশের সরকারের মধ্যে এমন সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান আছে।

তিনি আগামীতে সিলেট চেম্বারের উদ্যোগে বাণিজ্যমেলা, এনআরবি উইক ইত্যাদি আয়োজনে সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান। এছাড়াও তিনি সিলেট চেম্বারের জন্য বড় পরিসরে একটি আধুনিক ভবন নির্মাণের ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, বর্তমান সরকার অত্যন্ত ব্যবসা-বান্ধব। মাননীয় অর্থমন্ত্রী সিলেটের ব্যবসায়ীদের সুবিধা-অসুবিধার প্রতি সর্বদা সচেষ্ট। তিনি সম্প্রতি সিলেট চেম্বারের আবেদনের প্রেক্ষিতে চুনাপাথর ও বোল্ডার পাথর আমদানির ক্ষেত্রে বর্ধিত আমদানি শুল্ক হ্রাস করায় অর্থমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এছাড়াও তিনি ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের জন্য একটি ব্যবসা-বাণিজ্য বান্ধব বাজেট প্রণয়ন করায় অর্থমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. রাহাত আনোয়ার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. লুৎফুর রহমান, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিজিত চৌধুরী, কানাডা আওয়ামীলীগ সভাপতি মুহাম্মদ সারোয়ার হোসেন, সিলেট ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমেদ সেলিম, এসডিএফ এর পরিচালক সৈয়দ এফতার হোসেন পিয়ার, সিলেট চেম্বারের সহ-সভাপতি মো. এমদাদ হোসেন, পরিচালক মো. হিজকিল গুলজার, জিয়াউল হক, মাসুদ আহমদ চৌধুরী, মো. সাহিদুর রহমান, নুরুল ইসলাম, মুশফিক জায়গীরদার, আমিরুজ্জামান চৌধুরী, এহতেশামুল হক চৌধুরী, মুকির হোসেন চৌধুরী, আব্দুর রহমান, ফালাহ্ উদ্দিন আলী আহমদ, মো. আব্দুর রহমান (জামিল), হুমায়ুন আহমেদ, মো. মুজিবুর রহমান মিন্টু, আবুল ফজল মুহাম্মদ মুকিম প্রমুখ।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2tQNuKm

July 07, 2017 at 09:47PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top