কলকাতা, ১৮ জুলাই- মঙ্গলবার দুপুরে করণদিঘির ভাড়িয়াডাঙি গ্রামে নির্যাতিতা আদিবাসীর বাড়িতে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে বিজেপি নেতা কর্মীদের নিয়ে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে শিলিগুড়ি মোড় এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়-সহ বিজেপি নেতা-কর্মীদের আটকাতেই দুই পক্ষের মধ্যে বচসা বাধলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশকর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। উত্তেজনা চরমে পৌঁছনোর পরে বিজেপি-র স্থানীয় নেতৃত্ব ঘটনাস্থল থেকে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেন। এরপরে ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে এসে বিজেপি কর্মীদের নিয়ে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। ৯ জুলাই রায়গঞ্জ শহরের পুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিজেপি-র ডাকা ধর্মঘটের দিন একদল দুষ্কৃতী ৪ জন আদিবাসী মহিলার শ্লীলতাহানী করে বলে অভিযোগ উঠেছিল। এর প্রতিবাদে, বিক্ষোভ দেখাতে ১৪ জুলাই প্রায় ২০ হাজার আদিবাসী রায়গঞ্জ শহরে মিছিল করে বাসস্ট্যান্ড-সহ গোটা শহরে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এই ঘটনার পরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং টানা তিন দিন বনধ্ চলে। ওই নির্যাতিতা আদিবাসীদের মধ্যে ২ জন করণদিঘি থানার ভাড়িয়াডাঙার বাসিন্দা। এই নির্যাতিতাদের সঙ্গে দেখা করতে বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এই দিন শিলিগুড়ি থেকে সড়কপথে রওনা দেন। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ওই গ্রামে ঢোকার মুখেই করণদিঘি থানার আইসি গ্যালফো ওয়াঙডি ভুটিয়া-সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা বিরাট পুলিশ ফোর্স নিয়ে তাদের আটকান। এর পরেই দুই পক্ষের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশের বাধায় শেষ পর্যন্ত তাঁরা ওই গ্রামে ঢুকতে পারেননি। তখন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় রায়গঞ্জের উদ্দ্যেশ্যে রওনা দেন। পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌর জানিয়েছেন, নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হলে আইনশৃঙ্খলার আরও অবনতি হতে পারে বলে পুলিশ তাঁদের আটকেছে। অন্যদিকে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পুলিশ ও প্রশাসনের ব্যর্থতা ঢাকতেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাঁদের। আটকনোর নামে পুলিশ তাঁকে শারীরিভাবে নিগ্রহ করেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। এআর/১৮:৩৫/১৮ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2uvCjqy
July 19, 2017 at 12:39AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন