নয়া দিল্লী, ১৩ জুলাই- নানা নাটকীয়তার পর ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে যোগদান করেছেন ক্রিকেট লিজেন্ড রবি শাস্ত্রী। এক শ্রেণির ক্রিকেটার থাকেন যাদের নারী ভক্তের সংখ্যা থাকে অসংখ্য। যৌবনে শাস্ত্রী ছিলেন সেরকমই একজন ক্রিকেটার। যার আবেদন এখনও উপেক্ষা করতে পারেন না নারীরা। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে নারী ভক্তদের কাছে শাস্ত্রীর জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী। একটা মজার গল্প প্রচলিত রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটে। শোনা যায়, সন্দীপ পাটিলের সঙ্গে ভারতীয় দলের কোনও ক্রিকেটারই রুম শেয়ার করতে চাইতেন না। কারণটা আর কিছুই নয়। পাটিলেরও প্রচুর নারী ভক্ত ছিল। সেই কারণেই ভারতীয় ক্রিকেটাররা পাটিলের সঙ্গে রুম শেযার করতেই চাইতেন না। একবার শাস্ত্রী ও পাটিল একই রুমে ছিলেন। সেই সময়ের ভারতীয় ক্রিকেটাররা তখন অন্য দৃশ্য দেখেছিলেন। মনে মনে বেশ মজাও পেয়েছিলেন। সকালে উঠেই ক্রিকেটাররা আবিষ্কার করেন, ঘরের বাইরে বসে রয়েছেন পাটিল। কারণ জিজ্ঞাসা করাতে পাটিল নাকি বলেছিলেন, শাস্ত্রীর নারী ভক্তের সংখ্যা এতটাই যে রুমে জায়গা হয়নি পাটিলের। বাধ্য হয়ে রুমের বাইরে চলে আসতে হয় পাটিলকে। সেই শাস্ত্রীর সঙ্গে অমৃতা সিংয়ের সম্পর্কের কথা ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের সর্বত্র। দুজনকে বহু জায়গায় ডেট করতেও দেখা যায়। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন শাস্ত্রী ও অমৃতার বিয়ে হবে। সবাই যা ধরে নেয়, তা সব সময়ে হয় না। শাস্ত্রী ও অমৃতার প্রেম পূর্ণতা পায়নি। সময়ের স্রোতে দুজনকে আলাদা হয়ে যেতে হয়েছিল। পুরনো প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শাস্ত্রী ও অমৃতাকে একাধিকবার একসঙ্গে দেখে ফেলেছিলেন ফটোসাংবাদিকরা। এক বার নিউইয়র্কের এক রেস্তোরাঁয় শাস্ত্রী ও অমৃতাকে একসঙ্গে দেখে ফেলেন এক সাংবাদিক। তাকে দেখামাত্রই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান সুর্দশন শাস্ত্রী। লজ্জায় মুখ ঢেকে ফেলেন অমৃতা। সেই অমৃতার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায় শাস্ত্রীর। তার পিছনে একাধিক কারণ থাকতেই পারে। কেন টিকল না শাস্ত্রী ও অমৃতার সম্পর্ক? শাস্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, আমি চাইনি আমার স্ত্রী অভিনেত্রী হোক। ঘর নিয়ে থাকবে আমার স্ত্রী এটাই আমি চাই। শাস্ত্রীর এমন জোরালো ইচ্ছা মেনে নিতে পারেননি অমৃতা। তিনি বলেছিলেন, এই মুহূর্তে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে আমি ব্যস্ত। ক্যারিয়ারকে বিসর্জন দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হবে না। দু বছর পরে আমি ফুলটাইম মা এবং স্ত্রী হতে পারব বলেই মনে করি। অর্থাৎ দুজনের মত মেলেনি। বনিবনা না হওয়ায় সরে যাওয়াই শ্রেয় বলে মনে করেন শাস্ত্রী ও অমৃতা। তার সম্পর্ক শেষ হওয়ার পরে অমৃতা বাঁধা পড়ে যান বয়সে ছোট সাইফ আলি খানের সঙ্গে। পরে তাদের দাম্পত্য জীবনেও বিচ্ছেদ আসে। অমৃতার সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে ২০১২ সালে সাঈফ বিয়ে করেন বলিউড স্টার কারিনা কাপুরকে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, একই বছর অর্থাৎ ২০১২ সালেই স্ত্রী ঋতুর সঙ্গেও বিচ্ছেদ হয়ে যায় রবি শাস্ত্রীর! আর/১০:১৪/১৩ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2unxLTC
July 14, 2017 at 05:45AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন