কুয়ালালামপুর, ১৩ জুলাই- বিভিন্ন দেশের ৩৩ হাজারের বেশি মানুষকে মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয় বাড়ি (সেকেন্ড হোম) গড়ার অনুমতি দিয়েছে দেশটি। যার ফলে বাংলাদেশের ৩৫৪৬ নাগরিক দেশটিতে দ্বিতীয় বাড়ি গড়ার এই সুবিধাটি পেয়েছে। ২০০২ সালে মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম (এমএম২এইচ) নামে এই কর্মসূচি চালুর ১২৬টি দেশের নাগরিকদের দেয়া এই সুবিধার মধ্যে সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। এখন পর্যন্ত তিন হাজার ৫৪৬ জন বাংলাদেশি সেখানে এই সুবিধা পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের খবরে বলা হয়েছে, কুয়ালালামপুরে এমএম২এইচ জাতীয় কর্মশালায় দেশটির পর্যটন ও সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী নাজরি আজিজ নিজেদের মাটিতে বিদেশিদের বসবাসের এই সুবিধার বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি জানান, এই কর্মসূচি চালুর পর থেকে ভালো সাড়া পড়েছে। এ পর্যন্ত ১২৬টি দেশের ৩৩ হাজার ৩০০ মানুষ এই সুবিধা পেয়েছেন। নাজরি জানান, সেকেন্ড হোম কর্মসূচির শুরুর পর থেক নাগরিকত্ব পাওয়া মানুষরা স্থাবর সুবিধা ও রাজস্ব হিসাবে মোট এক হাজার ২৮০ কোটি মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত দেশটির অর্থনীতিতে যোগ করেছেন। খবরে বলা হয়েছে, এই কর্মসূচির অংশীদার হিসেবে শীর্ষে রয়েছে চীন, দেশটির ৮ হাজার ৭১৪ জন এই সুবিধা পেয়েছে। এরপরেই আছে জাপানের অবস্থান। দেশটির ৪ হাজার ২২৫ জন মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়ার অনুমতি পেয়েছেন। এরপরের অবস্থানেই রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ৩ হাজার ৫৪৬ জন, যুক্তরাজ্যের ২ হাজার ৪১২, ইরানের ১ হাজার ৩৩৬, সিঙ্গাপুর ১ হাজার ২৯৫ জন, তাইওয়ানের ১ হাজার ২০৮ জন, দক্ষিণ কোরিয়ার ১ হাজার ২৬৬ জন, পাকিস্তানের ৯৭৩ জন ও ভারতের ৮৯০ জন মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়ার অনুমতি পেয়েছেন। উল্লেখ, এক লাখ ডলার জমা দেওয়াসহ বিশেষ কিছু শর্ত পূর্ণ করে যে কোনো দেশের নাগরিকরা মালয়েশিয়ায় দীর্ঘমেয়াদে বসবাসের সুযোগ পান। প্রাথমিকভাবে ১০ বছরমেয়াদী এই সোস্যাল ভিসা নবায়নযোগ্য। আর/১৭:১৪/১৩ জুলাই



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2tLXL9O
July 14, 2017 at 12:33AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top