নিজস্ব প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর রেলওয়ে মসজিদের ইমাম কাম শাহজালাল এবতেদায়ী হাফিজিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কর্তৃক একটি শিশু বলাৎকারের অভিযোগে গত ১৫ জুলাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন শিশুছাত্রটির বাবা। থানায় অভিযোগের ১২ দিন পরও থানার ওসি অভিযোগটিকে মামলা হিসাবে গ্রহণ করেননি।
এদিকে অভিযুক্ত ইমামকে রক্ষায় প্রভাবশালী একটি মহল টালবাহানা শুরু করেছে। গত ০৭ জুলাই ফজরের নামাজের পর বলাৎকারের এ ঘটনাটি ঘটলে ছাত্রের বাবা গত ১৫ জুলাই কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ সেটি গ্রহণ করেনি। অবশেষে গত ২৭ জুলাই মৌলভীবাজার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ৩নং আমলী আদালতে মামলা (নং-১৫৪) দায়ের করেন তিনি।
সূত্র জানায়, শমশেরনগর ইউপি’র ভাদাইরদেউল গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য মো: সাদেকুজ্জামানের ছেলে শমশেরনগর রেলওয়ে বাইতুন নূর মসজিদ সংলগ্ন শাহজালাল এবতেদায়ী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় আরবি শিক্ষায় পড়াশুনা করছিলো। গত ০৭ জুলাই ফজরের নামাজের পর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও রেলওয়ে স্টেশন বাইতুন নূর জামে মসজিদের ইমাম হাফিজ মিছবাহ উদ্দীন এ শিশুটিকে তার শয়নকক্ষে ডেকে নিয়ে তার শরীর ম্যাসেজ করানোর নামে কক্ষের দরজা বন্ধ করে শিশুটিকে বলাৎকার করেন। এরপর তিনি শিশুটির হাতে নগদ ৪০ টাকা ধরিয়ে হুমকি দিয়ে বলেন, এই ঘটনা কাউকে জানালে জ্বীন দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলা হবে।
এই ভয়ে প্রথমে কয়েকদিন শিশুটি কাউকে কিছু না জানিয়ে মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেয়। ছেলের মাদ্রাসা যাওয়া বন্ধ দেখে ছেলে ও তার সাথীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনা শুনে পিতা মো: সাদেকুজ্জামান হতবম্ভ হয়ে যান। এরপর তিনি শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদকে অবহিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি জানান। এরপর তাদের পরামর্শেই তিনি গত ১৫ জুলাই থানায় অভিযুক্ত ইমাম হাফিজ মিছবাহ উদ্দীনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগকারী অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য মো: সাদেকুজ্জামান জানান, থানা থেকে অভিযোগপত্রটি শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা পরিদর্শক সৈয়দ নাসির উদ্দিনের কাছে পাঠানো হয়। পরিদর্শক সৈয়দ নাসির উদ্দিন নির্যাতিত শিশু ও ঘটনার স্বাক্ষী অন্যান্য শিশুদের বক্তব্য গ্রহণ করলেও গত ১১ দিন ধরে অভিযোগটিকে মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি থানা পুলিশ। উল্টো অভিযুক্ত ইমাম ভালো মানুষ দাবি করে মসজিদ কমিটি ও একটি প্রভাবশালী মহল অভিযোগকারীর ওপর চাপ সৃষ্টি করছে বলে শিশুটির পিতা অভিযোগ করেন। তিনি আরও জানান, কমলগঞ্জ থানার ওসি বদরুল হাসান বিষয়টি ঘরোয়া বৈঠকে নিষ্পত্তির জন্য তাকে চাপ দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুল হক অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে নিয়মিত মামলা নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2tMyN7P
July 30, 2017 at 12:06AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন