ঢাকা, ২০ জুলাই- নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১২ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইর্য়কের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এই লেখক। আজ তাকে স্মরণ করে সামাজিক গণমাধ্যমে নিজেদের মতামত ও অনুভূতি ব্যক্ত করছেন অনেকেই। হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে কিছু কথা লিখেছেন বর্তমানের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ও নাট্যনির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীও। ফারুকী নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে যা লিখেছনে, তা বর্ণ বাক্য ও বিরামচিহ্ন পরিবর্তন না করে এখানে দেওয়া হলো: একজন লেখকের লেখা সবারই ভালো লাগতে হবে এমন কোনো কথা নাই। সেটা নিয়ে ভালো- মন্দ আলোচনা সব সময়ই চলতে পারে। সেই আলোচনা একেক কালে একেক রংও ধারণ করতে পারে। কিন্তু হুমায়ুন আহমেদ ইতিহাসে টিকবে না বলে যারা রায় দিয়েছিলেন তাদেরকে বোধ হয় এই রায়ের বাস্তবায়ন দেখতে ম্যালা দিন অপেক্ষা করতে হবে, এবং আদৌ সেই রায় কোনোদিন বাস্তবায়ন হবে কিনা সেই প্রশ্ন তো থাকছেই। ফেসবুকে মানুষ যে ভালোবাসায় হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করছে সেটা দেখেই এই কথাটা মনে হইলো। সেইসব ইতিহাসপ্রেমী সংস্কৃতিরক্ষক ভাই-বোনদের মানতে যতোই কষ্ট হউক হুমায়ুন আহমেদ এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক ফেনোমেনা। হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশে বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ছিলেন একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। তিনি ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই নভেম্বর নেত্রকোণা মহুকুমার কেন্দুয়ার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি বেশ কিছু চলচ্চিত্র পরিচালনা ও চিত্রনাট্য করে গিয়েছেন। তন্মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে- শঙ্খনীল কারাগার, আগুনের পরশমণি, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, শ্যামল ছায়া, নন্দিত নরকেও ঘেটু পুত্র কমলা। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এদিকে মোস্তফা সারয়ার ফারুকী বাংলাদেশি একজন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার এবং নাট্য নির্মাতা। ব্যাচেলর, মেড ইন বাংলাদেশ, থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার, টেলিভিশন, ও পিঁপড়াবিদ্যার মতো বহুল জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলো তারই নির্মিত। তিনি ১৯৭৩ সালের মে মাসের ২ তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন। আর/১২:১৪/২০ জুলাই



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2uDtOcK
July 20, 2017 at 06:45AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top