নিজস্ব প্রতিবেদক ● কুমিল্লার মহানগরীর মুরাদপুর এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের উৎপাতে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। ক্ষতিগ্রস্থরা এসব ঘটনার প্রতিবাদ করলে নানাভাবে হয়রানীর শিকারও হচ্ছে। এঅবস্থায় এলাকার ভূক্তভোগী সাধারন মানুষ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেছে। পাশাপাশি প্রশাসনের হস্তক্ষেপও কামনা করছে।
স্থানীয় বিভিন্ন ভূক্তভোগী মানুষ সুত্রে জানা যায়, কুমিল্লা মহানগরীর ১৪ নং ওয়ার্ড দ্বিতীয় মুরাদপুর। এলাকাটি খুবই ঘনবসতিপূর্ণ। এই এলাকার পাশেই রয়েছে কুমিল্লা ইপিজেড। প্রতিদিন হাজার হাজার শ্রমিক এখানে কাজ করতে আসে। কর্মস্থল কাছাকাছি রাখার চিন্তা করে এই এলাকায় বহু শ্রমিক পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছে। পাশাপাশি এই এলাকা দিয়ে যাতায়াত করে বিপুল সংখ্যক লোক কুমিল্লা মেডিলে কলেজ হাসপাতাল, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন, সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়, বিনোদনের পার্ক ফান টাউন, ইকো পার্ক, কেটিসিসি লিমিটেডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষতিগ্রস্থ একাধিক ইপিজেড’ এ কর্মরত মহিলা শ্রমিক জানান, প্রতিদিনই মুরাদপুর এলাকায় কর্মরত শ্রমিকদের বাসা-বাড়িতে স্থানীয় ও বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী জোর পূর্বক ঢুকে তরুনী, যুবতীসহ গৃহবধূদের কাছ থেকে পরিবার পরিজনের নানা বিষয়ে প্রশ্ন করে। কখনো কখনো কাবিন দেখানোর জন্যও চাপ প্রয়োগ করে।
এছাড়া তরুনী, যুবতীদের নানাভাবে ইভটিজিং, শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। প্রতিবাদ করলে মারধোরসহ হয়রানীর হুমকী দেয়। এঅবস্থায় দুরের ভাড়াটিয়া শ্রমিকরা মুখ বুজেঁ তাদের অত্যাচার সহ্য করছে।
স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসীদের সাথে বহিরাগতরা শ্রমিকদের মাস শেষে বেতন পাওয়ার সময়টাকেই বেছে নেয়। সুত্র আরো জানান, শ্রমিকরা কাজের জন্য মাস শেষে বাড়ি যেতে না পারায় তাদের পরিবারের আত্মীয় স্বজনরা টাকার জন্য আসে। আর এই সময়কে সন্ত্রাসীরা মোক্ষম সময় হিসেবে বেছে নেয়। ফলে চরম নৈরাজ্যের মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে এসকল স্বল্প আয়ের শ্রমিকদের।
সম্প্রতি তাদের অত্যাচার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বিষয়টি স্থানীয় সমাজপতিদেরও নজরে আসে। এঅবস্থায় স্থানীয় সচেতন মহল এলাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে প্রশাসনের কাছে গণস্বাক্ষরসহ লিখিত অভিযোগ করার কাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুত্র আরো জানায়, বহিরাগত সন্ত্রাসীরা মুরাদপুর এলাকায় এসে প্রকাশ্য ফেন্সিডিল, ইয়াবা, গাঁজাসহ নেশাজাতীয় ট্যাবলেট, ইনজেকশনও বিক্রি করছে।
স্থানীয় একাধিক ভাড়াটিয়া নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরো জানান, বহিরাগত সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ভাড়াটিয়া বাসা-বাড়ির সামনে রাতভর অপেক্ষমান থেকে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করলেও কেউ কিছু বলতে পারছেনা। নিত্য প্রয়োজনে কোন ভাড়াটিয়া তরুণী, যুবতী নিকটস্থ কোন দোকানে বা অন্য কোন প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যেতেও পারছেনা। আবার কখনো বের হয়ে তাদের সামনে দিয়ে আসা যাওয়ার সময় নানা অশ্লিল মন্তব্য শুনতে হচ্ছে তাদের।
এতে এলাকায় অনেকেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। এখানেও সাধারন মানুষ প্রতিবাদে ব্যর্থ। ফলে যত দ্রত সম্ভব মুরাদপুর এলাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসীদের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সাধারন মানুষ।
The post নগরীর মুরাদপুরে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের উৎপাত চরমে appeared first on Comillar Barta.
from Comillar Barta http://ift.tt/2uZ9zqN
July 24, 2017 at 04:28PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন