নয়াদিল্লী, ২৪ জুলাই- দেশের জার্সি গায়ে চাপিয়েও যথাযোগ্য স্বীকৃতি এতদিন মেলেনি। তবে রবিবার লর্ডসের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইটা অনেক কিছু পালটে দিল। ট্রফি জয়ের স্বপ্নপূরণের মাঝে ইংল্যান্ড নামক কাঁটা সারাজীবনের জন্য থেকে গেলেও বাস্তবটা অনেকটা সুন্দর হয়ে গেল হরমনপ্রীতদের কাছে। হাজার প্রতিকূলতা পেরিয়ে ফাইনালে পৌঁছনোর স্বীকৃতি মিলল অবশেষে। যে পাঞ্জাব পুলিশ এককালে হরমনপ্রীতকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছিল, এদিন নিজে থেকেই তাঁর জন্য চাকরি ঘোষণা করল তারা। আর এই ছবিটাই যেন স্পষ্ট করে দিল, বাইশ গজে নটা রান না এলেও, জীবনের কঠিন পরিশ্রমের দাম অবশেষে পেলেন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটাররা। কয়েক বছর আগের কথা। হরমনপ্রীতের পরিবারের সদস্যরা আজও সেদিনের কথা ভুলতে পারেননি। তখন নিয়মিত ভারতীয় দলে খেলছেন তিনি। চাকরির খুব দরকার। নয়তো খেলা চালানো বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। যোগাযোগ করা হয় পাঞ্জাব পুলিশের সঙ্গে। চাকরি চাইতে গেলে পুলিশের এক আধিকারিক তাঁদের জানিয়েছিলেন, মেয়ে হরভজন সিং নয় যে তাঁকে ডিএসপি-র পদে চাকরি দিতে হবে। চাকরির আবেদন নাকচই করা হয়েছিল। এমনকী ইনস্পেক্টরের পদও দেওয়া হয়নি তাঁকে। সে সময় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু শেষমেশ তা সম্ভব হয়নি। পরে শচীন তেণ্ডুলকরের সুপারিশেই পশ্চিম রেলওয়েতে চাকরি পেয়েছিলেন হরমনপ্রীত। বিশ্বকাপের বাইশ গজে ইতিহাস গড়েছেন পাঞ্জাব দি কুড়ি। আর তাই চোখ খুলেছে রাজ্যে সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং জানিয়ে দিলেন, পাঞ্জাব পুলিশে তাঁর চাকরি পাকা। পাশাপাশি সরকারের তরফে পাঁচ লক্ষ টাকাও ঘোষণা করা হয়েছে। এখন শুধুই তাঁর ঘরে ফেরার অপেক্ষা। হরমনপ্রীতের বাড়িতেও উৎসবের মেজাজ। হারের জন্য চাপা দুঃখ থাকলেও মেয়ের পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি বাবা। একই খুশির হাওয়া চাকদহের ঝুলন গোস্বামীর বাড়িতেও। শচীন তেণ্ডুলকর থেকে গৌতম গম্ভীর, সকলেরই চোখ ছিল আজকের ম্যাচের দিকে। ট্রফি আসেনি ঠিকই। কিন্তু দেশের সেরা তারকাদের থেকে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের শুভেচ্ছা কুড়িয়ে নিতে সফল হয়েছেন মিতালিরা।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2tu9bfz
July 25, 2017 at 12:18AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন