নয়াদিল্লি, ১৩ জুলাইঃ গঙ্গা দূষণ রোধ করতে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি) কয়েকটি পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করল বৃহস্পতিবার। এর মধ্যে রয়েছে, হরিদ্বার-উন্নাওয়ের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা গঙ্গায় বর্জ্যপদার্থ ফেললেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ৫০০ মিটারের মধ্যে ফেলা যাবে না কোনও বর্জ্যপদার্থ। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিলেন এনজিটির চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র কুমার সিংহ।
এছাড়া তিনি আরও বলেন, এই গঙ্গার পাড়ের ১০০ মিটারের মধ্যে করা যাবে না কোনো নির্মাণ। এই এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে ‘নো ডেভলপমেন্ট জোন’ হিসেবে।
এদিন আরও বলা হয়েছে, আগামী ২ বছরের মধ্যে গঙ্গার সমস্ত নিকাশি নালা সাফাই থেকে শুরু করে নিকাশি শোধন কেন্দ্র সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। এছাড়া, এনজিটি উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে কানপুরের জাজমৌ থেকে উন্নাওয়ের চর্ম-পার্কে সকল চর্ম কারখানা সরিয়ে নেওয়ার জন্য।
উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, গঙ্গার ঘাটে ও পাড়ে বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করার জন্য।
গঙ্গা সাফাইয়ের কাজকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করেছে গ্রিন প্যানেল। (প্রথম পর্যায়ের প্রথম ভাগ- গৌমুখ থেকে হরিদ্বার, প্রথম পর্যায়ের দ্বিতীয় ভাগ- রহিদ্বার থেকে উন্নাও, দ্বিতীয় পর্যায়- উন্নাও থেকে উত্তরপ্রদেশ সীমান্ত, তৃতীয পর্যায়-উত্তরপ্রদেশ সীমান্ত থেকে ঝাড়খণ্ড সীমান্ত এবং চতুর্থ পর্যায়- ঝাড়খণ্ড থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, গঙ্গা ও যমুনা নদীকে জীবন্তসত্ত্বার মান্যতা দিয়ে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছিল। এই রায় খারিজ করে দেয় সুপ্রিমকোর্ট। এই প্রেক্ষিতে এনজিটির এই নির্দেশিকা খুবই তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal http://ift.tt/2t7lVga
July 13, 2017 at 09:11PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন