ঢাকা, ১৪ জুলাই- চারদিক বরফে ঢাকা। হাড় কাঁপানো ঠান্ডা আবহাওয়া। মাইনাস ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এর মধ্য দিয়ে গাড়িতে প্লেটোরোজা পাহাড়ে উঠি। এরপর সেখানে একটি রোমান্টিক গানের শুটিং হয়। আমি গাউন পরা ছিলাম, শাকিব ব্লেজার পরা। এমন কনকনে ঠান্ডার মধ্যে ঠোঁট মেলাতে হয়েছে, নাচতে হয়েছে, এক্সপ্রেশন দিতে হয়েছে। উফ... কি যে অবস্থা হয়েছিল সেটা আর কীভাবে বোঝাই! সুইজারল্যান্ডে রংবাজ ছবির গানের শুটিং করার অভিজ্ঞতা এভাবেই জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। তিনি বলেন, আমরা সুইজারল্যান্ডের বরফে ঢাকা ওই পাহাড়ে একটি রোমান্টিক গানের শুটিং করেছি। বৈরী পরিবেশে শুটিং করেছি। আর একটা কথা বলি, প্রায় ২০ হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ে উঠে শুটিং করেছি। সেখানে উঠতে একটু উনিশ-বিশ হলেই কিন্তু মুহূর্তে ঘটে যেতে পারত বড় বিপত্তি! সত্যি কথা বলতে আমরা পুরো টিম অনেক কষ্ট করে কাজটি করেছি। তবে দারুণ হয়েছে কাজটি। বুবলী বলেন, এরপর ইতালির মিলান শহরে একটি গানের শুটিং করি দুদিন। এরপর দুটি গানের শুটিং করছি ইন্ডিয়ায়। রংবাজ ছবিটি শাকিব-বুবলী অভিনীত চতুর্থ ছবি। গেল ঈদে মুক্তির কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে জানানো হয় ছবিটি ঈদে মুক্তি পাবে না। কেন মুক্তি পায়নি জানতে চাইলে বুবলী বলছিলেন, রংবাজ বিগ বাজেটের ছবি। তাছাড়া কলকাতার শীর্ষ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস এদেশের লোকাল প্রডাকশনে বিনিয়োগ করেছে। ছবির শুটিং শেষ করে ডাবিং, এডিটিং সবকিছু শেষ হয়েছে ঈদের দুদিন আগে। তখন টিজার, ট্রেলার, গান ছাড়ার সময়ও ছিল না। প্রচারণাও হয়নি সেভাবে। তাই বাধ্য হয়ে নির্মাতা সূত্র থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ছবিটি পরবর্তী ঈদে মুক্তি দেয়ার। বুবলী অভিনীত আরেক ছবি অহংকার মুক্তি পাবে আগামী ঈদে। তার মানে আগামী ঈদেও দুই ছবির নায়িকা হয়ে দেশের সিনেমা হলে হাজির হচ্ছেন বুবলী। অভিষেকের পর বছর ঘুরে ঈদুল আজহায় দুই ছবি মুক্তির বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? বুবলী বলেন, আসলে এটা কাকতালীয়ভাবে মিলে গেছে। অহংকার আগেই মুক্তির কথা ছিল। কিন্তু হয়নি। ছবির সবকিছু রেডি ছিল। এখন দুই ছবির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চাচ্ছে কোরবানি ঈদেই মুক্তি পাক ছবি দুটি। শিগগিরই রংবাজ এবং অহংকার ছবির প্রচারণায় ব্যস্ত হতে যাচ্ছেন বুবলী। তিনি বলেন, একেবারেই দেশীয় ফ্লেভারে দুটি ভিন্ন স্বাদের ছবি নিয়ে আসছি আগামী ঈদে। আমার বিশ্বাস দর্শক আমাকে আবারও গ্রহণ করবেন। রংবাজে আমি যে চরিত্রে অভিনয় করেছি অহংকারে আবার অন্যভাবে চ্যালেঞ্জিং ভাবে কাজ করেছি। কিছুদিন ধরে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে ঢাকাই চিত্রপুরীতে। বিষয়টি নিয়ে তেমনটা না ভাবলেও বুবলীর ভাষ্য ছিল এমন, সবকিছুর ঊর্ধ্বে আমাদের বাংলা চলচ্চিত্র। আমাদের সবার উচিত আমাদের চলচ্চিত্রকে বাঁচানো। কারও সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে কাজ করা উচিত নয়। যেভাবেই হোক একসঙ্গে সবাই মিলে কাজ করা উচিত। এখানে কাউকে বাদ দিয়ে কিছু করা উচিত নয়। তিনি বলেন, দেশের শিল্পীরা যদি বাইরে গিয়ে কাজ করেন সেটা আমাদের জন্য গর্বের। আমাদের শিল্পীরা দেশের বাইরে যারা কাজ করছেন তারা দেশকেই রিপ্রেজেন্ট করছেন। সুতরাং তাদের উৎসাহ দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি। এই ঈদে মুক্তি প্রাপ্ত ছবিগুলো এখনও দেখেননি বুবলী। তিনি বলেন, ঈদের আগে কাজ নিয়ে এতটাই ব্যস্ত ছিলাম যে ছবিগুলো দেখায় সময় হয়ে ওঠেনি। পরিবারকে সময় দিয়েছি। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব সবাইকে নিয়ে সময় কাটিয়েছি। এমনকি ঈদের সময় টিভির সামনে বসা হয়নি।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2ulxxM3
July 14, 2017 at 08:22PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন