ঢাকা::
সরকারি কাজে স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সীমিত সম্পদের সদ্ব্যবহার এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে চতুর্থবারের মত সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি-এপিএ করতে যাচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৫১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সাথে এপিএ চুক্তি হবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবরা এ চুক্তিতে সই করবেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি থাকবেন।
আজ বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
জিয়াউল আলম বলেন, আগামী এক বছর মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো কী কাজ করবে তার একটি অঙ্গীকারনামা যেটাকে আমরা এপিএ বা বার্ষিক কর্মসম্পাদক চুক্তি বলি। সেই অঙ্গীকারনামাটি আগামীকাল স্বাক্ষরিত হবে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সিনিয়র সচিব ও সচিবরা সই করবেন। পরে তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর কো হবে।
তিনি বলেন, রূপকল্প ২০২১, এসডিজি ২০৩০, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং সরকারের সার্বিক উন্নয়ন-অগ্রাধিকারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের এপিএ প্রণয়ন করা হয়েছে। এবার এপিএ’র আওতা উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। অর্থবছর শেষ হওয়ার পর চুক্তিতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকৃত অর্জন মূল্যায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের মূল্যায়নে লক্ষ্যমাত্রার ৯০ ভাগের উপরে অর্জন করেছে ২৩টি মন্ত্রণালয়, আর ৪১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ৮০ ভাগের উপরে অর্জন করেছে। বাকি সাতটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ৮০ ভাগের নিচে। অর্থাৎ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ গড়ে ৮৮ দশমিক শূন্য আট শতাংশ এপিএ বাস্তবায়ন করেছে। আমি মনে করি অনেকটা ভালো রেজাল্ট।
তিনি বলেন, প্রথম এপিএ চুক্তির ক্ষেত্রে অনেক কিছু মূল্যায়ন সুযোগ ছিল না। তবে দ্বিতীয়টা আমরা মনোযোগ দিয়ে মূল্যায়নের চেষ্টা করেছি। বর্তমানটা আমরা আরো উন্নত করার চেষ্টা করব।
জিয়াউল আলম বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদক চুক্তির ডকুমেন্টটি তৈরি করতে আমাদের দীর্ঘ ছয় মাস কাজ করতে হয়েছে। বিশেষ করে ডকুমেন্টটি তৈরির জন্য বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করতে হয়েছে। ডকুমেন্টটিকে মানসম্মত করতে দেশে-বিদেশে কিছু আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করেছি, ওয়ার্কশপ করেছি। বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। ডকুমেন্টটির খসড়া ১৪টি পর্যালোচনা সভার মাধ্যমে আমরা চূড়ান্ত করেছি।
তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার ইউনিট এপিএ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে ৫১টি মন্ত্রণালয়, বিভাগসহ আওতাধীন অধিদপ্তর, দফতর, সংস্থার এবং মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়গুলোকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এজন্য তিনটি পৃথক নীতিমালা জারি করা হয়েছে। এসব নীতিমালার আলোকে এপিএর খসড়া যথাযথভাবে প্রণীত হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে এ সংক্রান্ত কারিগরি কমিটির সদস্যদের নিয়ে ১৪টি পর্যালোচনা সভা হয়েছে। এসব সভার সুপারিশ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে ওইসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মন্ত্রী এপিএর খসড়া অনুমোদন করেছেন।
সচিব জিয়াউল আলম বলেন, এপিএতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কৌশলগত উদ্দেশ্য এবং এসব উদ্দেশ্য অর্জনে গৃহীত কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়, অর্থবছরে শেষে যার মূল্যায়ন করা হয়। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সাথে প্রথমবারের মতো এপিএ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের পাশাপাশি এসবের অধীন দফতর ও সংস্থাগুলোর সাথেও এই চুক্তি হয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর, সংস্থা ছাড়াও বিভাগীয়, আঞ্চলিক ও জেলা পর্যায়ের দফতরগুলোর সাথে এপিএ করা হয়। এবার এর আওতা উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কার্যালয় পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
from ঢাকা – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2upht9A
July 05, 2017 at 06:31PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন