ঢাকা, ২৪ জুলাই- বাংলা নাটকের অভিনেত্রী জয়া আহসান রূপালী পর্দায় আসার পর থেকেই তুমুলভাবে জনপ্রিয়। বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও জনপ্রিয়তার তুঙ্গে তিনি। মিষ্টি চেহারার পাশাপাশি অভিনয় দক্ষতায় তিনি অন্য সবাইকে ছাড়িয়ে জয় করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। ২০১৫ সালের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার তিনি গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে। আর এই অনুষ্ঠানে এই অভিনেত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন সরকার প্রধান। সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০১৫ সালের জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় জয়ার প্রশংসা ঝরে পড়ে তার বক্তব্যে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশেষ করে জয়াকে ধন্যবাদ জানাই সে একটা পুরস্কার পেয়েছে। কলকাতায় সেখানে না গিয়ে সে বাংলাদেশে থেকে গেল, আমি বলবো বিদেশে একটা পুরুস্কার পাওয়া অনেক বড় কথা। কিন্তু দেশের প্রতি ভালোবাসা টান রয়েছে এটা সে প্রমাণ করলো। তাকে আমি বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাই। জয়ার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ব্যাচেলর চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। পরে দীর্ঘ ৬ বছর পর নুরুল আলম আতিক পরিচালিত ডুবসাঁতার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০১১ সালে তানিম নূর পরিচালিত ফিরে এসো বেহুলা এবং নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত গেরিলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। গেরিলায় বিলকিস বানু চরিত্রে অভিনয় করে তিনি ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-এ জুরিদের বিচারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন। একই বছর প্রদত্ত মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এ সমালোচকদের বিচারে শ্রেষ্ঠ নারী চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৩ সালে প্রদত্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-এ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া ২০১৪ সালে প্রদত্ত বাচসাস পুরস্কার-এ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন। গেরিলা চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর থেকে তিনি নিয়মিত বাংলাদেশ ও ভারতের কলকাতার চলচ্চিত্রে কাজ করা শুরু করেন। ২০১২ সালে রেদওয়ান রনি পরিচালিত চোরাবালিতে একজন সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেন। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন কলকাতার ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০১৩ সালে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এ তারকা জরিপে শ্রেষ্ঠ নারী চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি টানা দ্বিতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। জয়া আহসান ২০১৩ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসব থেকে নিমন্ত্রণ পান। এই বছর তিনি অভিনয় করেন কলকাতার অরিন্দম শীল পরিচালিত আবর্ত ছায়াছবিতে। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন আবীর চ্যাটার্জি। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস ইস্ট-এ শ্রেষ্ঠ নবীন অভিনেত্রী হিসেবে মনোনয়ন পান। একই বছর বাংলাদেশের সাফি উদ্দিন সাফি পরিচালিত রোমান্টিক ছায়াছবি পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনিতে অভিনয় করেন। এতে প্রথমবারের মত বিপরীতে অভিনয় করেন শাকিব খান। ছবিটি ঈদুল আযহায় মুক্তি পায় এবং ব্যবসাসফল হয়। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি ২০১৪ সালে প্রদত্ত মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এ টানা দ্বিতীয়বারের মত তারকা জরিপে শ্রেষ্ঠ নারী চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালে অভিনয় করেন বাংলাদেশের অনিমেষ আইচ পরিচালিত সাইকো-থ্রিলার জিরো ডিগ্রীতে। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন মাহফুজ আহমেদ। চলচ্চিত্রটি ব্যবসাসফল না হলেও জয়ার অভিনয় প্রশংসিত হয় এবং তিনি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এ সমালোচকদের বিচারে শ্রেষ্ঠ নারী চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী বিভাগে মনোনীত হন। আর এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্যই তিনি ২০১৫ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে মনোনীত হন। একই বছর কলকাতার ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী পরিচালিত একটি বাঙালি ভূতের গপ্পো ও সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত ১৯৪৭ সালের দেশবিভাগ নিয়ে নির্মিত রাজকাহিনীতে অভিনয় করেন। রাজকাহিনী চলচ্চিত্রে যৌবনাশ্রিত ও আপত্তিকর দৃশ্যে অভিনয় করে তিনি সমালোচিত হয়েছেন। রাজকাহিনী ছায়াছবিতে অভিনয়ের জন্য ১৬তম টেলি সিনে পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৬ সালে মুক্তি পায় সাফি উদ্দিন সাফি পরিচালিত পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনি ২। এটি ২০১৩ সালে মুক্তি পায় পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনির সিক্যুয়াল। এই বছর আরো অভিনয় করেছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রচিত জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র শবর দাশগুপ্তর ওপর লেখা উপন্যাসের ভিত্তিতে অরিন্দম শীল পরিচালিত ঈগলের চোখ-এ। আর/১০:১৪/২৪ জুলাই



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2eInIlj
July 25, 2017 at 05:13AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top