লালমাই পাহাড় এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে বাস

কুমিল্লার বার্তা ডেস্ক ● অবিরাম বর্ষণ ও টিলা কাটার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে কুমিল্লার লালমাই পাহাড় এলাকা। এ অবস্থায় পাহাড়ের পাদদেশ ও গা ঘেঁষে বসবাসকারী ব্যক্তিদের নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে ওই এলাকায় তিন দফা মাইকিং হয়েছে। তবু সেখানকার বাসিন্দারা ঝুঁকি নিয়ে বাড়িতেই অবস্থান করছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রূপালী মণ্ডল গত রোববার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ২৫টি ঘরে গিয়ে মানুষকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার অনুরোধ করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরুড়া উপজেলার চণ্ডীমুড়া থেকে সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়ি এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) পর্যন্ত লালমাই পাহাড় বিস্তৃত। বিস্তীর্ণ ওই এলাকার পাহাড় ও ছোট-বড় টিলার পাদদেশে অনেক আগে থেকেই মানুষের বসতি গড়ে উঠেছে। এখানে শতাধিক পরিবার বসবাস করেন। গত কয়েক বছরে টানা পাহাড় ও টিলা কাটার কারণে লালমাই পাহাড় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। উপরন্তু এবার বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে।

এর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেটে পাহাড়ধসে প্রাণহানিসহ সড়ক যোগাযোগ ভেঙে পড়ায় প্রশাসন সতর্ক হয়ে ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের নির্দেশে লালমাই পাহাড় এলাকার বাসিন্দাদের সেখানে না থাকার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। এ ছাড়া পাহাড়ের পাশে পশুপাখি না রাখার জন্যও বলা হয়। কিন্তু ওই এলাকার বাসিন্দারা প্রশাসনের নির্দেশ মানছেন না।

স্থানীয় বিজয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বলেন, ‘এ এলাকার বাসিন্দারা বহু আগ থেকেই পাহাড়ে বসতি স্থাপন করে। কখনো এখানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেনি। তবু এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হয়েছে।’

সদর দক্ষিণের ইউএনও রূপালী মণ্ডল বলেন, ‘জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্যই ওই এলাকায় গিয়েছিলাম। বর্ষা মৌসুমে অতিবর্ষণ হলে ঝুঁকি বাড়বে। আগে লালমাই পাহাড়ের মাটি শক্ত ছিল। বৃষ্টি হলে পানি গড়িয়ে সমতলে নেমে যেত। এখন পাহাড় ও টিলা কাটার কারণে ঝুঁকি রয়েছে।’ তবে পাহাড়ে বসবাসরত ব্যক্তিরা তাঁকে বলেছেন, তাঁরা বংশপরম্পরায় এখানে আছেন। এখানে কোনো ঝুঁকি নেই।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুমিল্লা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর বলেন, ‘অপরাধীরা লালমাই পাহাড়ের টিলা ধ্বংস করে মাটি বিক্রি করেছে। এখন অতিবর্ষণের কারণে আশপাশের টিলা ধসে নিরপরাধ মানুষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাহাড়ের মানুষ ঝুঁকি নিয়েই সেখানে বসবাস করছে। এ জন্য সবার সতর্ক থাকা দরকার। প্রশাসন যৌক্তিক কারণেই ওই সতর্কবার্তা জারি করেছে।’ তথ্য সুত্রঃ প্রথম আলো

The post লালমাই পাহাড় এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে বাস appeared first on Comillar Barta.



from Comillar Barta http://ift.tt/2t6k0sh

July 13, 2017 at 02:24PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top