বন্যার মতো দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সুরমা টাইমস ডেস্ক:: বর্ষণে উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে পানি বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বন্যার মতো দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণের লক্ষ্যে গঠিত ‘জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫’ এর প্রতিবেদন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
সাম্প্রতিক বন্যার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসতে পারে। কিন্তু সেই দুর্যোগ মোকাবিলারও আমাদের সব ব্যবস্থা আছে।
“আমরা এমনভাবে এসব ব্যবস্থাপনা করে দিয়েছি যে, আমাদের কার কী করণীয় সকলেই জানেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে সবাই কিন্তু সেই ব্যবস্থাটা নেই, সবসময় পদক্ষেপ নেয়।”
“সেজন্যই কিন্তু এ দুর্যোগগুলো মোকাবেলা করতে পারি। এটা কিন্তু একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি যে এটা পারি।”
তিস্তার পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সুরমা ও কুশিয়ারায়ও পানি বাড়ছে। বর্ষণ অব্যাহত থাকলে এই মাসে বন্যার অবনতি ঘটতে পারে বলে আভাস মিলেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, “ইতোমধ্যে অকাল বন্যা হয়ে গেছে হাওর এলাকায়। এখন সিলেট অঞ্চলে বন্যা চলছে। ওই পানি যখন নেমে আসবে, আমাদের মূল তিনটা নদী দিয়েই সব পানি নামে, তখন কিন্তু ধীরে ধীরে অগাস্ট মাসের শেষের দিকে দক্ষিণাঞ্চল প্লাবিত হবে।
“আমাদের প্রস্তুতি আছে। এখনই যেখানে বন্যা হচ্ছে সেখানে লোক পাঠাচ্ছি। সরকার ও দলের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে।”
শেখ হাসিনা সরকারের প্রস্তুতির বিষয়ে বলেন, “আমাদের তো একটা হিসাব আছে। এই পানি নামতে নামতে কোন পর্যন্ত যাবে। কোন এলাকা প্লাবিত হবে। সেই এলাকায় আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া, সেগুলি আমরা নিয়ে যাচ্ছি।”
১৯৮৮ সালের বন্যায় অনেক মানুষ না খেয়ে মারা গেলেও ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় বাংলাদেশের ইতিহাসের দীর্ঘতম বন্যা ‘খুব ভালভাবে’ মোকাবেলার কথাও বলেন তিনি।উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীল হতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণের লক্ষ্যে গঠিত ‘জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫’ এর প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীকে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি একথাও বলেন।
প্রতিবেদন হম্তান্তর করেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, শ্রম সচিব মিখাইল শিপার ও কমিশনের চেয়ারম্যান এনআই খান।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সবসময় মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করেই আমাদের রাজনীতি। সেটাই আমরা চাই।
“কিন্তু সেই সাথে যারা কাজ করবে, যাদের দায়িত্ব উৎপাদন বাড়ানোর, তাদেরকেতো সেই কাজটা মনযোগ দিয়ে করতে হবে এবং তার মানটাও উন্নত করতে হবে।”
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে এবং প্রতিযোগিতা গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে প্রতিটি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সাড়ে আট বছর আগে তার সরকার বিশ্ব মন্দার মধ্যে দায়িত্ব নিলেও সুষ্ঠু নীতিমালা ও সঠিক পদক্ষেপের কারণে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৪ শতাংশে পৌঁছেছে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ধারাবাহিকতা থাকায় কারণেই ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে এবং উন্নয়নের সুফল জনগণ পাচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত শিল্প প্রতিষ্ঠানে ৬০ হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। তাদের জন্য নতুন বেতন কাঠামোর সুপারিশ করেছে কমিশন।
কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এরমধ্যে যতটুকু বাস্তবায়ন করা সম্ভব ততটুকু আমরা বাস্তবায়ন করব।”



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2sJ7KZy

July 04, 2017 at 11:12PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top