ঢাকা, ১১ জুলাই- জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের সাথে আজ থেকে ২৫ বছর আগে পরিণয়ে আবদ্ধ হন মিতু। তবে মিতু কণ্ঠশিল্পী আসিফের পড়েন নি, পড়েছিলেঞ্জ ক্রিকেটার আসিফের প্রেম। আসিফ দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলতেন। আর তাই মেয়ে ক্রিকেট ভক্ত হিসেবে আসিফের জন্য জন্ম নিল প্রণয়। আসিফ-মিতুর দাম্পত্য জীবনের শুরুটা মোটেও সুখকর ছিল না। নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছিলেন তারা। সেগুলো অতিক্রম করে আজ তারা বিবাহবার্ষিকীর রজতজয়ন্তী পালন করছেন। কেমন ছিল শুরুটা? স্ত্রী বেগম সালমা আসিফের মুখ থেকেই শুনুন। সামাজিক জীবনের নারী-পুরুষের বৈধ সম্পর্কের নাম। যাতে স্বামী-স্ত্রীতে পারিবারিক জীবন যাত্রা করে । যা পর্যায়ক্রমে পরিবার বড় হতে থাকে-স্বামী-স্ত্রী,পিতা-মাতা,ছেলে-মেয়ে। সেখানে সবাই একসময় যৌথ কিংবা একক পরিবার গড়ে তোলে এবং তার দায়িত্ব নিয়ে বসত গড়ে এই প্রকৃতির নিয়ম। তাতে সময়ে সময়ে ভাল-মন্দ, ঝগড়া-বিবাদের পরিবেশের সৃষ্টি হয়ে । যা থেকে বড় ছোট সবাই নিজের জীবনের শিক্ষা গ্রহণ করে বেড়ায়। আমাদের পুরুষশাসিত সমাজে নারীর কোনও সহজ মূলায়ণ নেই বলেই চলে। থাকবে কি করে ! এই পুরুষরাই যে একে অপরকে ছোট করে। বলে থাকেন এই যে তুমি/তুই বউয়ের কথা শুনে বেড়াও তবে তো এইতবে সেই কত না ভাষা। আসল কথা -পুরুষ ছাড়া নারীরা যেমন অচল,নারী ছাড়া পুরুষরাও অচল। মহান সৃষ্টিকর্তাই এই ভাবে তৈরি করেছেন । তাহলে আমরা কেনইবা আমরা আমিই আমিই করে বেড়াই। মিতু লিখেছেন, দিন যায়, মাস যায়, বছর যায় ঘুরে ফিরে আমার একেকটি বছর পার হয়ে যায় । আমাদের চলা সেই ৮২ থেকে । আমাকে তিনি জানেন ,চেনেন শুধু বাকি বুঝতে । চেনা জানাটা স্বাভাবিক খেলার মাঠের একমাত্র মেয়ে দর্শক বলে কথা। সবারই প্রায় আদরভালোবাসার পাত্রী। আর সেই জানা- বোঝাটা হলো- ০০/০১/১৯৯০। কত কিছুই না সাজিয়ে রেখেছিলেন, বলবে কি বলবে না ,কিভাবে বলবেন আর কত কিই না। কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনার জন্মের কারণেই ৩মাস কারা দিবসের মূল ঘটনায় মোড় নিল ০৭/০৭/১৯৯২ । সারা রাত যুদ্ধের পর ০৮/০৭/১৯৯২ বিকাল ৫টায় বেড়িয়ে গেলাম উদ্দেশ্যবিহীন পথে। অজানা ভবিষ্যৎ, অজানা পরিস্থিতি, তখনকার বয়স-সময় অনুযায়ী যা ভালো মনে হয়েছে তাই করেছি । ৮তারিখ থেকে ১০ তারিখ রাত ১০ পর্যন্ত কত কি যে হলো আর নাই বলি। তবে হ্যাঁ , কাছে দূরের সবাই কম বেশি সেই রাতে পর থেকে গায়ক আসিফ আকবর পর্যন্ত অনেকেই জানেন ,আর সঙ্গীত শিল্পী আসিফ আকবর এর সব কিছু সবার দেখা ও জানা। অজানা বলতে কিছুই নেই । ধন্যবাদ আমার সেই আসিফকে পরিস্থিতি সামলে নেয়া ও আমাকে সুন্দর পরিবারে সদস্য করার জন্যে। এখনকার এই আসিফ শুধু আমার না এই আসিফ সারা বাংলাদেশিদের । মিতু বলেন, আমাদের এত দিনের জীবনের খুব একটা খারাপ সময় আসেনি । যা এসেছে সামলে নেয়ার মতো আল্লাহ সাহায্যও করেছেন,গত ৩/৪ বছরের কিছু বিষাক্ত মানুষ/বিষয় নিয়ম ভাঙ্গার চেষ্টায় মশগুল। সৃষ্টিকর্তাই আগের মতো সাহায্য করবেন আর যদি সময় নীতি ভঙ্গ করে তবে তা হবে স্বাদবিহীন ,গন্ধবিহীন, মায়া মমতা বিহীন, ভালোবাসা আনন্দ বিহীন। সবই স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা বুঝে নিবেন। আমার দিক থেকে এ পর্যন্ত আমি ব্যক্তি হিসেবে কারো সাথে কোনও প্রকার অসচেতনতা, অন্যায়,অপরাধের সাথে জড়িত নই। যাহা করিব ভালই করিব এই লক্ষেই বিদ্ধমান। সব সিদ্ধান্তই সময়ের। সময়কে আমি অনেক ভালোবাসি। কেননা সৃষ্টিকর্তা আমাকে কখনই ঠকাননি, যা চেয়েছি তাই পেয়েছি । যেটা খারাপ সেটা নিশ্চয় কোন অবচেতন মনে চেয়েছি তাই পেয়েছি। মিতু বলেন, এক সাথে আছি ২৫বছর। কেউ ভালো বলুক আর না ই বলুক, কেউ ভালোবাসুক আর না ই ভালোবাসুক থাকতে চাই আমৃত্যু। দুঃখ গুলো হোক শুধু,শুধুই আমার,একান্ত আমার । কোন কষ্ট যেন তোমায় না স্পর্স করে ,করে শুধুই আমায়। আর পৃথিবী সমস্ত আনন্দ,সুখ,ভালোবাসা হোক শুধুই তোমার আসিফ, শুধুই তোমার । আনন্দঘন মূহুর্তে ভরে থাকুক তোমার একান্ত তোমার সময়। মিতু শুধু তোমারই শুধু তোমারই।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2t6neHq
July 11, 2017 at 07:29AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন