সুরমা টাইমস ডেস্ক::বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগ নেতা লিটু হত্যা- কলেজ রোড থেকে অস্ত্র উদ্ধার ।। মিষ্টু নামের আরেকজন গ্রেফতার
বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের শ্রেণি কক্ষে গুলিতে নিহত লিটুর ঘাতক অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে কলেজ রোডের সবজির বিক্রেতার চৌকির তলা থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। আটক তিন ছাত্রলীগ নেতাদের স্বীকারোক্তিতে অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নয়াগ্রামের সাহেদের বাড়ি থেকে রাম দা এবং দেলোয়ার হোসেন মিষ্টু নামের অপর এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করে। এই নিয়ে এ ঘটনার সাথে যুক্ত চারজনকে পুলিশ আটক করেছে।
খালেদ আহমদ লিটু’র পিতা খলিলুর রহমান বাদী হয়ে ৭জনের নাম উল্লেখ করে বিয়ানীবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সোমবার রাতে লিটুর দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর বিয়ানীবাজার থানায় তিনি এ মামলাটি দায়ের করেন।
নিজ গ্রুপের নেতাকর্মীর হাতে নিহত লিটুর হত্যাকান্ড ধামাচাপা দিতে জেলা ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের এক মহল পুলিশ প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জেলা ছাত্রলীগ সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে লিটু বহিরাগত সন্ত্রাসী হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এ বিবৃতিতে লিটু নিজের আগ্নেয়াস্ত্রেও ম্যাগাজিনে গুলি লোড করতে গিয়ে নিজের গুলিতে মারা যায় বলে উল্লেখ করে বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান হোসেন।
ঘটনার সময় কলেজে উপস্থিত এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, লিটু নিজের অস্ত্র থেকে বের হওয়া গুলিতে নিহত হলে গুলির আঘাত সরল রেখায় না থেকে নিচ থেকে উপর দিকে থাকতো। লিটু আঘাত ছিল সরল রেখা। যার কাছে অস্ত্র ছিল সে লিটু ডান দিকে কিছুটা আড়াআড়ি অবস্থানে সমান্তরালে ছিল বলেই গুলি সরল রেখায় লিটু ডান চোখের অল্প উপরে আঘাত করে মাথার পেছন দিয়ে বেরিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, শ্রেণি কক্ষে গুলির শব্দ শুনে কলেজে অবস্থানকারি পুলিশ কক্ষে প্রবেশ করে লিটুর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে। এরপর অন্য ছাত্রদের সহযোগিতায় তাকে বিয়ানীবাজার উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। এরপর পুলিশ পুরো শহওে অভিযান চালিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ পাভেল গ্রুপের তিন নেতাকর্মীদের আটক করে। থানা হেফাজতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্তত ৭/৮ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করেছে। এসব নেতাকর্মী শ্রেণি কক্ষের ভেতর ও বাইরে অবস্থান করছিলো। তাদেও দেয়া তথ্য থেকে কলেজ রোড থেকে অস্ত্র উদ্ধার এবং দেলোয়ার হোসেন মিষ্টু নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমান চক্রবর্তী বলেন, গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে। পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালাচ্ছেন। আটককৃতদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, অপরাধী যেই হোক তাকে ছাড় দেয়া হবে না।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2tlIHRz
July 18, 2017 at 02:12PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন