নিজস্ব প্রতিবেদক: কারাগারের ভেতরেও তাদের বিলাসী জীবনযাপন। একাধিক মামলার আসামী হয়েও তারা কারাগারের দাপুটে কয়েদী। কারাগারের ভেতরে থেকেও তারা নিয়ন্ত্রণ করছেন সবকিছু। একটি বিশেষস্থানে থেকে এতকিছু কিভাবে সম্ভব! এনিয়ে সিলেটে চলছে ব্যাপক সমালোচনা।
রাগীব আলী ও ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ফেনুর আর্থিক প্রভাবের কারণে কারাগারের সব অনিয়ম নিয়মে পরিণত হয়েছে। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ছগির মিয়ার বিদায়ী অনুষ্টানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবোত্তর সম্পত্তি আত্মসাৎ মামলায় দণ্ডিত রাগীব আলী।
এছাড়াও বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্টানে উপস্থিত হয়ে বাদ্যযন্ত্র ছাড়া গান পরিবেশন করেন তথ্য প্রযুক্তি মামলাসহ একাধিক মামলায় কারান্তরীণ ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ফেনু।
সম্প্রতি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে এ ঘটনাটি ঘটে।
কারাগার সূত্র জানায়, জেল সুপার ছগির মিয়ার বিদায়ী অনুষ্টানে রাগিব আলী ও ফেনু আর্থিক অনুদানে অনুষ্টিত হয়। অনুষ্টানে রাগিব আলী ও ফেনু দুজনই অথিতির চেয়ারে বসে বেশ উচ্ছল ছিলেন। বিদায় বেলায় তাদের কাছ থেকে ছগির মিয়া উপঢৌকনও গ্রহণ করেন। এ নিয়ে কারাগারসহ সিলেটের বিভিন্ন মহলে চলছে আলোচনার ঝড়।
এ ব্যাপারে নবনিযুক্ত সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল জানান, বিদায়ী অনুষ্টানে আমাকে ডাকা হলে অনুষ্টানে গিয়ে উপস্থিত হই। অনুষ্টানে রাগিব আলীসহ একাধিক মামলার আসামী ফেনুও অতিথি ছিলেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমি মাত্র যোগদান করেছি। এখনও পুরোপুরি দায়িত্ব বুঝে নেইনি। অনুষ্টানে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদেরকে আমি চিনিই না। এমনকি তারা কোন মামলার আসামিও হয়ে থাকলে তা আমার জানা নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারাগারের এক কারারক্ষী জানান, রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাই কারান্তরীণ হওয়ার পর তাদের নিজ টাকায় কারাগারে বিলাসী জীবনের পসরা সাজিয়ে তুলেছেন। এমনকি পরিবারের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাহির থেকেও খাবারও যাচ্ছে। এসবের মূল নেপথ্যে ছিল টাকা।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2vn6CgM
July 20, 2017 at 07:51PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন