কলকাতা, ১৬ জুলাই- পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, কোলকাতায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ যেভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছে তাতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক খারাপ হতে পারে। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সম্প্রতি কোলকাতায় বিক্ষোভ দেখিয়ে শেখ হাসিনার কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এতে বেজায় ক্ষুদ্ধ হয়ে সেদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে শনিবার চিঠি দিয়েছেন মমতা। তিনি মনে করেন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ যেভাবে সে দিন বিক্ষোভ দেখিয়েছিল, তা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে মোটেই মজবুত করবে না। কেন্দ্র যদি সত্যিই ঢাকাকে পাশে পেতে চায়, তা হলে সঙ্ঘ পরিবারের এ হেন জঙ্গিপনা বন্ধ করার ব্যবস্থা করুক। চিঠিতে তিনি প্রশ্ন তোলেন, পরিষদ যে আচরণ করেছে তার পরে কী করে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হবে? বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে গত ১ জুলাই কোলকাতার পার্ক সার্কাসে বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বিক্ষোভ করে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র সৌরীশ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ওই বিক্ষোভে ঢাকার সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক খারাপ হবে বলে তারা মনে করেন না। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটি বলছে, শেখ হাসিনা ভারতবাসীর পছন্দের নেত্রী হলেও যেভাবে তার শাসনামলেও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে তা নিন্দনীয়। বাংলাদেশ সরকার যাতে সে দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন, সেই দাবিতেই বিক্ষোভ হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন অবশ্য মনে করে, কোনো বন্ধু দেশের প্রধানমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো মোটেই ভালো কাজ নয়। যখন এক দিকে চীন এবং অন্য দিকে পাকিস্তান ভারতকে বিব্রত করছে, তখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে এমন আচরণ ঠিক নয়। মমতার অনড় মনোভাবের কারণে তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে দুদেশের মধ্যে টানাপড়েনের মধ্যেও মমতা বারবারই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সুসম্পর্কের কথা বলেছেন। সেক্ষেত্রে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ যেভাবে শেখ হাসিনার কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তা মেনে নিতে পারেননি মমতা। তাছাড়া, ওই ঘটনায় প্রতিবেশি বন্ধু দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হতে পারে বলে মমতা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। প্রসঙ্গত, ভারতের প্রতিবেশি চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক কার্যত তলানিতে এসে পৌঁছেছে। অন্যদিকে, চীন ভারতের প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটিয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের পর সে দেশে চীনা লগ্নি বাড়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। এসব ঘটনায় কার্যত নয়াদিল্লি উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। আর/১০:১৪/১৬ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2v6UWig
July 17, 2017 at 05:04AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন