রোম, ১৫ জুলাই- ইতালিতে কৃষি, হোটেল ও পর্যটন খাতে মৌসুমি কাজের জন্য সিজনাল ভিসায় এখন আর যেতে পারেনা বাংলাদেশিরা। গত চার বছর ধরেই ইতালির সিজনাল ভিসার কালো তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের নাম। দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের ঘোষণা অনুযায়ী চলতি বছরে সিজনাল ভিসায় মোট ১৭ হাজার শ্রমিক নেবে ইতালি। কিন্তু প্রসারিত এই শ্রমিকের তালিকায় এবারও নেই কোন বাংলাদেশির নাম। পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, গত চার বছরের আগে বাংলাদেশিদের বড় একটা অংশ সিজোনাল ভিসায় ইতালি গেছে। পরবর্তীতে বিভিন্ন অপরাধ কর্মের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় দেশটিতে নষ্ট হয়েছে বাংলাদেশি কর্মেীদের ভাবমূর্তি। সাথে সাথে ব্ল্যাক লিস্টেড বা কালো তালিকাভুক্ত হয়েছে সিজোনাল ভিসায় বাংলাদেশের নাম। রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এই সমস্যা সমাধানে একাধিকবার কূটনৈতিক আলোচনা করেছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে এর কোনো সমাধান ইতিবাচক সুরাহা হয়নি। ফলে প্রতি বছর ইতালিতে সিজনাল ভিসায় কাজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাজার হাজার বাংলাদেশি। বিশ্লেষকদের মতেও, সিজনাল ভিসা বন্ধ হওয়ার পেছনে বাংলাদেশিদের অপরাধমূলক কর্মকান্ড দায়ী। কারণ এসব ভিসায় ইতালি যাওয়ার পর তারা আর ইউরোপের মোহ ত্যাগ করে দেশে ফিরতে চায় না। উল্লেখ্য, কৃষি, হোটেল ও পর্যটন খাতে ছয় মাস ইতালিতে বৈধভাবে কাজ করতে বিভিন্ন দেশ থেকে সিজোনাল ভিসার মাধ্যমে কর্মী নেয় ইতালি। এরপর নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হলে আইন অনুযায়ী ওই শ্রমিককে নিজ দেশে ফিরে যেতে হয়। এই নিয়ম পালন করে কোনো শ্রমিক আসা যাওয়ার মধ্যে থাকলে তিনবারের পর পূর্ণাঙ্গ বৈধ হওয়ার সুযোগ পায়। ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশি অনিক জানান, সিজনাল ভিসায় ইতালি গিয়ে বেশ কিছু বাংলাদেশি নিয়মের ব্যতিক্রম করেছে। তারা এই ভিসার সুযোগ নিয়ে দেশে না ফিরে ইউরোপের অন্যান্য দেশে পালিয়ে গেছে। আর এই অভিযোগেই মূলত বাংলাদেশকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে দেশটির সরকার। অনুসন্ধানে দেখা যায়, সিজনাল ভিসার নাম করে অনেকেই ইউরোপে পাড়ি জমাতো। এরপর সেখানে থেকে আর দেশে ফেরত আসেনি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই ইতালি সরকার সিজনাল ভিসায় বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশিদের কোটা। জানা গেছে, ২০১৭ সালের সিজনাল ভিসায় যাওয়া কর্মীদের জন্য নতুন আইন হচ্ছে ইতালিতে। নতুন আইনে যে সব শ্রমিক ২০১৬ সালে ইতালিতে প্রবেশ করে নিজ দেশে ফেরত যায়নি তারা আর আগের মালিকের অধীনে কাজ করতে পারবেন না। পাশাপাশি গত বছর ছয় মাসের চুক্তি শেষে যারা নিজ দেশে ফেরত যাননি, তাদের ব্যাখ্যা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট দেশের স্বরাষ্ট্র ও শ্রম মন্ত্রণালয়কে। অন্যদিকে, ইতালিতে অর্থনৈতিক মন্দা চলাকালে সরকার কেন বাইরে থেকে শ্রমিক আনার ঘোষণা দিয়েছে তা নিয়েও চলছে জোর সমালোচনা। তবে পরিস্থিতি যাইহোক, সিজনাল ভিসায় আবারো ইতালিতে যাওয়ার সুযোগ পাবে বাংলাদেশের কর্মীরা এটাই সবার প্রত্যাশা। আর/১২:১৪/১৬ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2uvbCmo
July 16, 2017 at 06:25AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন