মোস্তাফিজ যাও, বোলিং করো। কোচের নির্দেশ পেয়ে বাঁ হাতে বল তুলে নেয় পাঁচ বছর বয়সী পেসার। ছোট রানআপে বোলিং করে দেখায়। বোলারের নাম কি আসলেই মোস্তাফিজ? ডিসকভারি ক্রিকেট একাডেমির কোচ শাহজাহান হোসেন হাসেন, না, ওর নাম নাফিউল হক খান। বোলিং স্টাইল একেবারে মোস্তাফিজের মতো বলে আমরা এই নামে ডাকি। নাফিউল সাত মাস হলো ধানমন্ডির ডিসকভারি ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি হয়েছে। ঢাকা শহরে এমন অনেক খুদে ক্রিকেটার স্বপ্ন নিয়ে আসে ক্রিকেট শিখতে। বাংলাদেশ দলের সাফল্যে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। রাজধানীতে ব্যক্তি উদ্যোগে বেড়েছে একাডেমির সংখ্যা। ঢাকা আর ঢাকার বাইরে মিলিয়ে প্রায় তিন শ একাডেমি আছে এখন। বাড়ছে খুদে ক্রিকেটারদের সংখ্যা। গত মৌসুমে দেশজুড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তিনটি বয়সভিত্তিক খেলোয়াড় বাছাইয়ে প্রাথমিক ধাপে (স্বাস্থ্যপরীক্ষা) অংশ নিয়েছিল প্রায় ৩০ হাজার। যাদের সবার বয়স ১৪ থেকে ১৮ বছর। এই ক্রিকেটারদের একটা বড় অংশ যুক্ত থাকে বিভিন্ন ক্রিকেট একাডেমিতে। ঠিকমতো তদারকি করা হলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের অগ্রযাত্রায় এই একাডেমিগুলো তাই রাখতে পারে বড় ভূমিকা। রাজধানীতেই এক শ একাডেমি ঢাকা শহরে গড়ে ওঠা ক্রিকেটারদের এই প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলোর কোনো একক অভিভাবক সংস্থা নেই। নেই রাজধানীতে একাডেমির সুনির্দিষ্ট হিসাবও। ২০১৬-১৭ মৌসুমে বিসিবি ঢাকা মহানগরে অনূর্ধ্ব-১৪ প্রতিভা অন্বেষণে যে কর্মসূচি চালিয়েছে, তাতে অংশ নিয়েছে ৬৯টি একাডেমি। বিসিবির ধারণা, সব মিলিয়ে ঢাকায় এমন একাডেমির সংখ্যা এক শর কাছাকাছি। বিসিবির বিভাগীয় কোচদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকার বাইরে একাডেমির সংখ্যা দুই শর মতো। সে হিসাবে সারা দেশে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা ক্রিকেট প্রশিক্ষণকেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় তিন শ। এগুলোয় নিয়মিত-অনিয়মিত প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি হবে বলেই মনে করা হয়। আর সরকারি উদ্যোগে ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) তো আছেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা এখনো এই বিকেএসপি। যে কয়েকজন কোচের হাত ধরে ঢাকায় প্রাইভেট একাডেমির যাত্রা শুরু, তাঁদের অন্যতম ও জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় ওয়াহিদুল গণি। মোহাম্মদ আশরাফুলের আবিষ্কারক হিসেবে খ্যাতি পাওয়া ওয়াহিদুল জানালেন, ঢাকায় একাডেমি চালু হয়েছে নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে। তখন একাডেমি ছিল চার-পাঁচটি। গত ১০ বছরে প্রাইভেট একাডেমির সংখ্যা বহুগুণে বেড়েছে। ক্রিকেটারের মর্যাদা বেড়েছে ক্রিকেট একাডেমিগুলোর এই রমরমার পেছনে আছে ক্রিকেটে জাতীয় দলের সাফল্য, যেটির শুরু ১৯৯৭ সালে। বাংলাদেশ আইসিসি ট্রফি জেতার পর থেকে জাতীয় দলের ধারাবাহিক অগ্রযাত্রার পথ বেয়ে ক্রিকেটের প্রতি বেড়েছে মানুষের আগ্রহ। একাডেমির সংখ্যা বাড়তে শুরু করে এরপরই। সামাজিক-অর্থনৈতিকভাবে ক্রিকেটারদের অবস্থান এখন মর্যাদাপূর্ণ। বিসিবির ন্যাশনাল গেম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার নাজমুল আবেদীন বলেছেন, সামাজিকভাবে ক্রিকেটের অবস্থান এখন অনেক শক্ত। ছেলেমেয়ে ভালো পর্যায়ে ক্রিকেট খেললে অভিভাবকেরা সেটা বলতে গর্ব করেন। শিশু-কিশোর আর তাদের অভিভাবকদের আগ্রহের সঙ্গে বাড়ছে একাডেমির সংখ্যাও। গত মৌসুমে সারা বাংলাদেশে বিসিবির বয়সভিত্তিক বাছাইয়ে অংশ নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে ৩০ হাজারের মতো খেলোয়াড়। স্বাস্থ্যপরীক্ষার ধাপ পেরিয়েছিল ১০ হাজার। ধাপে ধাপে নানা প্রক্রিয়ায় এখন বয়সভিত্তিক জাতীয় দলে (অনূর্ধ্ব-১৫, ১৭ ও ১৯) সুযোগ পেয়েছে ৮২ জন। বাছাই করা এসব খেলোয়াড়ের ১০ শতাংশও যদি ধীরে ধীরে নিজেকে সব ধাপে প্রমাণ করে জাতীয় দল পর্যন্ত উঠে আসে, সেটিকেই বড় পাওয়া মনে করছে বিসিবি। বাংলাদেশের ক্রিকেটে প্রতিভার মূল উৎস এখনো বয়সভিত্তিক ক্রিকেট। সেটিকে আরও আকর্ষণীয় করার তাই বিকল্প নেই বলে মনে করেন অনেকে। জাতীয় দলের বাইরের ক্রিকেটাররাও এখন বেশ ভালো আয় করেন। বিপিএল, ঢাকাভিত্তিক প্রিমিয়ার লিগের আর্থিক প্রণোদনা বেশ ভালো। এর পাশাপাশি জাতীয় ক্রিকেট লিগও আছে, যেখানে ১২০ জনের মতো ক্রিকেটার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার সুযোগ পান। ফলে জাতীয় দলের স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া কঠিন জেনেও এই লড়াইয়ে নামতে অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের উৎসাহিতই করছেন। খরচ নামমাত্র একাডেমিতে সাধারণত ৮ থেকে ২০ বছর বয়সী খেলোয়াড়েরা অনুশীলন করে। অধিকাংশ ছেলে। মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। কিন্তু সেটি মোট খেলোয়াড়ের ৫ শতাংশের বেশি হবে না। একাডেমিগুলোয় ভর্তি হতে সাধারণত খরচ হয় ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা। মাসে দিতে হয় ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। দরিদ্র পরিবার থেকে আসা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের ধরে রাখতে বিশেষ ছাড় দেয় অনেকে। বুড়িগঙ্গার ওপারে কেরানীগঞ্জের বেয়ারা ক্রিকেট একাডেমির প্রধান কোচ আরিফ হাসান বলেন, ৩০০ খেলোয়াড়ের মধ্যে ১৫০ জনের বেতন আমরা পাই না। তাদের দেওয়ার সামর্থ্যও নেই। তবে বলে দিই, ঢাকার লিগে সুযোগ পেলে সেখানে যা আয় করবে তার ১০ শতাংশ একাডেমিতে দান করবে। অধিকাংশ একাডেমি খেলোয়াড়দের টাকাতেই চলে। আবার কোনোটির নিজস্ব স্পনসর আছে। অভিভাবক ও দাতাদের অনুদান পায় কিছু কিছু একাডেমি। ক্রিকেট মধ্যবিত্তের অন্য খেলার তুলনায় ক্রিকেট বেশ ব্যয়বহুল হলেও ঢাকা শহরে এ খেলার সঙ্গে জড়িয়ে বেশির ভাগ মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নবিত্ত পরিবার। এমনকি গুলশানের মতো অভিজাত এলাকার একাডেমিতেও অধিকাংশ খেলোয়াড় আসে মধ্যবিত্ত বা নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে। গুলশান ইয়ুথ ক্রিকেট একাডেমির কোচ আলী হায়দার শেখ বললেন, অনূর্ধ্ব-১৫ পর্যন্ত উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলেরা থাকে। ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণি থেকে তারা ব্যস্ত হয়ে পড়ে লেখাপড়ায়। ওয়াহিদুল গণি মনে করেন, দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে আগের চেয়ে আর্থিক সুবিধা বাড়ায় খেলাটার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেদের। তা ছাড়া জাতীয় দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটার বিভিন্ন মফস্বল শহর থেকে উঠে এসেছেন। ফলে ঢাকার বাইরের পরিবারগুলোর মধ্যেও সন্তানদের মধ্যে ক্রিকেট নিয়ে উৎসাহ দেওয়ার পরিবেশ গড়ে উঠেছে। অথচ সাকিব-মাশরাফিদেরও শৈশবে ক্রিকেট খেলার কারণে বাবার পিটুনি খেতে হয়েছে। এখন সেই ছবি বদলাচ্ছে। একাডেমির অবদান ক্রিকেট-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একাডেমি ক্রিকেটের যাত্রা জোরেশোরে শুরু হয়েছে মাত্র ১০ বছর হলো। এখনই এর ফল আশা করাটা অন্যায়। তবে এই সময়ে জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটারদের মধ্যে একটা বড় অংশ বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলের, যাঁরা স্থানীয় পর্যায়ের একাডেমি বা ক্লাব ক্রিকেটে শুরুটা করেছিলেন। ঢাকার বাইরে সর্বোচ্চ ২৫টি একাডেমি আছে খুলনা শহরে। সেখানে ক্রিকেট-সংস্কৃতিটা যে ভালো, তা জাতীয় দলের দিকে তাকালে বোঝা যায়। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ দলের সাতজন ছিলেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলেরমাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, ইমরুল কায়েস, রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজ। অবশ্য জাতীয় দলে ক্রিকেটার সরবরাহে বিকেএসপির অবদানও উল্লেখ করতে হবে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ স্কোয়াডে থাকা তিনজন বিকেএসপির ছাত্রসাকিব, মুশফিকুর রহিম ও সৌম্য সরকার। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ দলে খেলা ১৩৮ খেলোয়াড়ের মধ্যে ২৫ জন এসেছেন বিকেএসপি থেকে। ঢাকা শহরের একাডেমি থেকে আসা ক্রিকেটারদের মধ্যে কতজন ঘরোয়া ক্রিকেটের বিভিন্ন পর্যায়ে খেলছেন সেটির তালিকা করা কঠিন হলেও জাতীয় দলে কতজন খেলছেন, সেটি জানা সহজ। একাডেমি থেকে আসা এ মুহূর্তে জাতীয় দলে খেলছেন মাত্র একজনতাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ দলের বাইরে থাকা শাহরিয়ার নাফীস, মেহরাব জুনিয়র, আরাফাত সানি, মার্শাল আইয়ুব, ইলিয়াস সানিরাও এসেছেন ঢাকার বিভিন্ন একাডেমি থেকে। রাজধানীর একাডেমি থেকে উঠে আসা জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন মোহাম্মদ আশরাফুল, মোহাম্মদ শরিফ, আনোয়ার হোসেন ও বিকাশ রঞ্জন। ঢাকায় যে পরিমাণ একাডেমি সে তুলনায় জাতীয় দলে খেলোয়াড় সরবরাহ কম। শুধু জাতীয় দল কেন, বিসিবির বয়সভিত্তিক দলগুলোয়ও সংখ্যাটা খুব বেশি নয়। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে (অনূর্ধ্ব-১৫, ১৭ ও ১৯) ঢাকা মহানগর থেকে প্রতিবছর গড়ে ১০-১৫ জন খেলোয়াড় পেয়ে থাকে বিসিবি। এবার সংখ্যাটা ১১ (৮২ জনের মধ্যে)। মূল সংকট মাঠ জাতীয় কিংবা বয়সভিত্তিক দলে ঢাকা মহানগরের খেলোয়াড় তুলনামূলক কম হওয়ার ব্যাখ্যায় বিসিবির ন্যাশনাল গেম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার নাজমুল আবেদীন বললেন, মাঠ নেই। ভালো অনুশীলনের সুযোগ নেই ঢাকা শহরে। একজন ভালো বোলারের যেখানে নতুন বলে এক-দুই ঘণ্টা নেটে বোলিং করার কথা, সে হয়তো পুরোনো বলে ১০-১৫ মিনিট বোলিংয়ের সুযোগ পাচ্ছে। মফস্বলে এই সমস্যাটা নেই। সেখানে ঢাকার তুলনায় খেলোয়াড়ের সংখ্যাও কম। পর্যাপ্ত মাঠ আছে, চাইলে মফস্বলের খেলোয়াড়েরা অনেক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারে। ঢাকা শহরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গড়ে ওঠা একাডেমির বেশির ভাগের মান ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আছে প্রশ্ন। মূল সংকট হচ্ছে মাঠ। নাজমুল আবেদীন বললেন, একজন খেলোয়াড় পরীক্ষাগারে বেড়ে উঠতে পারে না। শুধু নেট করলে চলবে না, তাকে মাঠে খেলতে হবে। ম্যাচ কম খেলে বলে আমাদের খেলোয়াড়দের শুরুতে প্রায়োগিক জ্ঞানও কম থাকে। খেলোয়াড় অনুপাতে অনেক একাডেমিতে প্রশিক্ষকের সংখ্যাও কম। যে কোচরা শেখাচ্ছেন তাঁদের অনেকের মান ও যোগ্যতা নিয়েও আছে প্রশ্ন। বেশির ভাগ একাডেমিতে নেই উন্নত ক্রিকেট সরঞ্জাম। অনেকে এটিকে স্রেফ ব্যবসার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছেন, এমন অভিযোগও শোনা গেল। অঙ্কুর ক্রিকেটার্স থেকে উঠে আসা জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফীস বললেন, যাঁরা একাডেমি করছেন তাঁদের আত্মনিবেদন কিংবা লেগে থাকার মানসিকতা থাকতে হবে। আমাদের সময় কোচদের মধ্যে বাণিজ্যিক মানসিকতা কম ছিল। ওয়াহিদুল তুলে ধরেছেন আরও একটি সমস্যা, খেলোয়াড়দের কাছ থেকে কত টাকা নিচ্ছে, কেমন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেএসব দেখার কেউ নেই। একধরনের একাডেমি শুধু বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এসেছে। একটা সময় তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটের বাছাইয়ে অংশ নিতে পারত রাজধানীর একাডেমিগুলো। যেটি এখন সবাই পারে না। কয়েকটি একাডেমির পরিচালক ও কোচের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটের বাছাইয়ে এন্ট্রি ফি ছিল ৫০০ টাকা। ২০০০ সালে সেটি বেড়ে দাঁড়ায় ২৫ হাজার টাকা। ছয়-সাত বছর ধরে যেটি ৫ লাখ টাকায় পৌঁছেছে। এত টাকা দিয়ে অধিকাংশ একাডেমির পক্ষে সম্ভব নয় এই বাছাইয়ে অংশ নেওয়া। অভিযোগ উঠেছে, নির্দিষ্ট কিছু ক্লাবকে সুবিধা দিতে নাকি এন্ট্রি ফি বাড়ানো হয়েছে। যদিও বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী এড়িয়ে যেতে চাইলেন বিষয়টি। তিনি বললেন, এন্ট্রি ফির কথা যদি বলেন, যখন অংশগ্রহণ বেড়ে যায় তখন মান ধরে রাখা যায় না। কিন্তু একাডেমিগুলো তদারকি করবে কে? সেখানকার কোচদের যোগ্যতা পরীক্ষা করার দায় কার? বিসিবি বলছে, প্রতিভা অন্বেষণসহ নানা পদক্ষেপ নিলেও তাদের পক্ষে এই বিপুলসংখ্যক একাডেমি দেখভাল করা সম্ভব নয়। নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলছেন, পাড়া-মহল্লায় গড়ে ওঠা প্রাইভেট একাডেমির সঙ্গে বোর্ডের সম্পৃক্ততা খুঁজে পাচ্ছেন কীভাবে? আমাদের প্রতিযোগিতায় কতটা মানসম্মত খেলোয়াড় আসছে, সেটা আমরা দেখব। কিন্তু পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে সবাইকে দেখভালের সুযোগ নেই। প্রতিভা অন্বেষণে বিসিবির নিজস্ব উদ্যোগ আছে। ৬৪ জেলায় ৬২ জন কোচ নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। বিভাগীয় পর্যায়ে আছেন ১২ জন কোচ। এ ছাড়া বয়সভিত্তিক নানা টুর্নামেন্টের আয়োজন চলছে। বিসিবির এই উদ্যোগের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে একাডেমিগুলো। দুটিকে একই মোহনায় মিলিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব বিসিবিরই নেওয়া উচিত বলে মনে করেন অনেকে।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2eVNdQi
July 29, 2017 at 04:58PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন