এই ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত রাজনীতি, নবাব ও বস টু ছবির মধ্যে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির সংখ্যায় এখন পর্যন্ত অনেকটাই এগিয়ে বস টু। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেও মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। সবমিলে এ ছবির কলাকুশলীরা এখন রঙিন পর্দায় চড়ে এ রাজ্য ও রাজ্য দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। বাংলাদেশের অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াও আছেন সে যাত্রার অগ্রগামী হয়ে। নিজের অভিনীত ছবি কেমন চলছে, কেমনভাবে নিচ্ছে দর্শক, তা নিজ চোখে দেখতে এ মুহূর্তে তিনি ভারতের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহ চষে বেড়াচ্ছেন। বস টু ছবি আর চলচ্চিত্রের সাম্প্রতিক বিষয়াদি নিয়ে বললেন নানা কথা শুরুতেই জানতে চাই আপনার অভিনীত বস টু ছবি নিয়ে বাংলাদেশ ও কলকাতার বাইরে ভারতের বেঙ্গালুরু, চেন্নাইয়ের মতো বড় বড় শহরে বস টু মুক্তি পেয়েছে। নানা প্রান্তের প্রেক্ষাগৃহে আমার অভিনীত ছবি মুক্তি পাওয়ায় ভীষণ উত্তেজিতবোধ করছি। একই সঙ্গে এটা আমার জন্য গর্বেরও। অন্য দুই ছবির সঙ্গে এ ছবির লড়াই নিয়ে বলুন লড়াই তো থাকবেই। লড়াই না থাকলে তো কোনো মজা নেই। আর ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে কোনো লাভ নেই। অনেকগুলো ছবি একসঙ্গে মুক্তি পাবে, লড়াই করবে সেটাই স্বাভাবিক। আসলে প্রতিটি ছবিরই নিজস্ব মেরিট আছে, এটিই সবচেয়ে বড় কথা। সে হিসেবে নবাব ও রাজনীতি ছবির সঙ্গে বস টু ভালোই চলছে বলে মনে হয়। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সাম্প্রতিক গতিবিধি বেশ সংকটজনক অবস্থায়। এ রকম একটা পরিস্থিতিতে আপনার অভিনীত একটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। বিষয়টিকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন? নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেই চলচ্চিত্র এগিয়ে চলছে এটা যেমন ঠিক। তেমনিভাবে এটাও ঠিক, সব সংকটেরই একটা সমাধান আছে। দেখুন, ইন্ডাস্ট্রির লোকজনের মধ্যে যতই বিভেদ থাকুক না কেন, দর্শক কিন্তু ঠিকই প্রেক্ষাগৃহে যাচ্ছেন, ছবি দেখছেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে ভালো লেগেছে, আমি শুনেছি, দীর্ঘদিন ধরে যারা প্রেক্ষাগৃহে যাননি, তারাও নাকি এবার ঈদে ছবি দেখতে হলে গিয়েছেন। একটা অভিযোগ বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, যৌথ প্রযোজনার ছবি বাংলাদেশের নিজস্ব চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিকে শেষ করে দেবে। অন্যদিকে আপনার অভিনীত বেশির ভাগ ছবিই আবার যৌথ প্রযোজনার। তো কী মনে হচ্ছে, আসলেই কি সংকটের মুখে পড়বে দেশের ছবি? দেখুন, যৌথ প্রযোজনার ছবির মাধ্যমে আমরা সংস্কৃতির আদান-প্রদান করি। অনেকেই বলতে পারেন, যৌথ প্রযোজনার ছবির মাধ্যমে বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু সর্বশেষ উদাহরণ কিন্তু তা বলে না, যৌথ প্রযোজনার না হয়েও রাজনীতি ছবি কিন্তু খুব ভালো চলছে। এমনকি প্রেক্ষাগৃহ থেকে বিদেশী ছবিও নামানো হয়েছে এই ছবি চালানোর জন্য। তাহলে এটা কেন হলো বলুন? নিশ্চয়ই ছবির ভেতর এমন কিছু বিষয় আছে, যে কারণে ছবি চলছে। একটি গানের কারণে শুরুতেই বিতর্কের মুখে পড়েছিল বস টু। আপনার কি মনে হয়, প্রেক্ষাগৃহে ছবিটির ওপর তার কোনো প্রভাব পড়েছে? আমার মনে হয়, বিতর্ক ওঠার পর গানটি নিয়ে মানুষজন আরো বেশি কৌতূহলী হয়ে উঠেছে। আবারো বলতে চাই, প্রতিটি সিনেমা তার নিজস্ব মেরিট নিয়ে আসে। কোনো গান বা আলাদা কোনো দৃশ্য পুরো ছবির জন্য বেশি কিছু বয়ে আনে না। এ ছবির ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটছে। ছবিটির নামে নাকি একটি ভিডিও গেম তৈরি করা হয়েছে। এমনটি কেন? হ্যাঁ, বস টু ছবির নামে একটি ভিডিও গেম নির্মিত হয়েছে। ছবির একটি বিশেষ দৃশ্য আছে, যেখানে আমি ও জিৎ একসঙ্গে গাড়ি রেস করি, সেটির অনুকরণেই এটি বানানো হয়েছে। যাহোক, তরুণদের সঙ্গে সিনেমার সংযোগ ঘটাতেই এমন আয়োজন। শুরুতেই বলেছি, আপনার অভিনীত বেশির ভাগ ছবিই যৌথ প্রযোজনার। সেক্ষেত্রে শুধু বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয়ের ব্যাপারে আপনার ক্যারিয়ারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন কি? সবসময়ই আমি একটা কথাই বলে আসছি আমি একজন শিল্পী, এর বাইরে আর কিছু নই। আমার কোনো ক্ষমতা নেই, একটা ছবিকে হিট বা ফ্লপ করার জন্য। কারণ আমি সিনেমা বানাই না, আমি সিনেমার অংশ। আমি শুধু আমার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করি কাজটা ভালো করে করার। সেটা যৌথ প্রযোজনার ছবি হোক বা বাইরের হোক। যে কারণে তেমন কোনো আশঙ্কাবোধ করছি না।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2spnQIt
July 06, 2017 at 02:40AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন