নাম তার মাহফুজ আলম। বয়স আনুমানিক ২৭ বছর। শুধু উচ্চ মাধ্যমিক পাস। চিকিৎসা বিজ্ঞানের কোনই ডিগ্রী নেই। তুবুও তিনি চিকিৎসক। নিজের প্রকৃত নাম আড়াল করে নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার জগদিসপুর গ্রামের আবু বাক্কার সিদ্দিক’র ছেলে মাহফুজ চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে হয়ে যান ডা. মাসুদ রানা। নিজেকে ডা: মাসুদ রানা পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নাচোল পৌর এলাকায় ৪টি ক্লিনিকে তিনি চালিয়ে আসছিলেন অপারেশন কার্যক্রম। এই ভুয়া চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় বুধবার এক স্কুল ছাত্রী মারা যাওয়ার ঘটনায় বেরিয়ে এসেছে তার আসল পরিচায়। অবশেষে বৃহস্পতিবার পুলিশের হাতে ধরা খেয়েছে ভুয়া চিকিৎসক ‘ডা. মাসুদ রানা’।
স্থানীয়রা জানায়, মাত্র ৩/৪ মাস আগে নিজকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে নাচোলে এসে নাচোল জননী ক্লিনিকে ‘চিকিৎসক’ হিসেবে যোগ দেয় মাহফুজ আলম। নিজের নাম প্রকৃত পরিচয় গোপন রেখে ডা. মাসুদ রানা হিসেবে জননী ক্লিনিকের পাশাপাশি অন্যান্য ক্লিনিকেও চিকিৎসা করতেন। সোমবার বিকেলে নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের বাইপুর (জাহিদপুর) গ্রামের নাসির উদ্দীনের মেয়ে সপ্তম শ্রেণী শিক্ষার্থী নাহিদা খাতুন (১৪) পেটের পিড়ায় আক্রান্ত হলে তাকে ওই সন্ধ্যায় নাচোল জননী ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। নাহিদার পিতা নাসির উদ্দীন বলেন, ‘ ক্লিনিকে মেয়েকে নিয়ে আসার সেখানে থাকা ডা. মাসুদ রানা আমাদের জানায় যে, রোগির এ্যাপেন্ডিসাইটিস হয়েছে। দ্রুত অপারেশন না করলে নাড়ি বাস্ট হয়ে রোগি মারা যাবে’। তিনি বলেন, ‘ একথা বলার পর ডা. মাসুদ রানা আমাদের অনুমতি নিয়ে দ্রুত আমার মেয়ের অপারেশন শুরু করেন। অপারেশরেন পর নাহিদার কষ্ট আরো বেড়ে যায়। দু’ দিনেই মরামরা অবস্থা হয়ে যায়। আশংকাজনক অবস্থায় বুধবার নাহিদাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন’।
নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, জননী ক্লিনিকে ভুল অপারেশন ও চিকিৎসার ঘটনায় নাহিদা খাতুন (১৪) মারা যাওয়ার ঘটনায় তার পিতা নাসির উদ্দীন নাচোল থানায় বৃহস্পতিবার হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর মাহফুজকে জনীন ক্লিনিক থেকে গ্রেফতার করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ ভুয়া ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় স্কুল পড়–য়া মেয়ের মৃত্যুর এই ঘটনাটি মর্মান্তিক। এটি একটি হত্যাকান্ড। নিজের প্রকৃত পরিচয় গোপন রেখে মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনায় দায়ের হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দ্রুত তার সহযোগিদের বিরুদ্ধেও আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
গ্রেফতার হওয়া মাহফুজ আলমকে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২০-০৭-১৭
স্থানীয়রা জানায়, মাত্র ৩/৪ মাস আগে নিজকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে নাচোলে এসে নাচোল জননী ক্লিনিকে ‘চিকিৎসক’ হিসেবে যোগ দেয় মাহফুজ আলম। নিজের নাম প্রকৃত পরিচয় গোপন রেখে ডা. মাসুদ রানা হিসেবে জননী ক্লিনিকের পাশাপাশি অন্যান্য ক্লিনিকেও চিকিৎসা করতেন। সোমবার বিকেলে নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের বাইপুর (জাহিদপুর) গ্রামের নাসির উদ্দীনের মেয়ে সপ্তম শ্রেণী শিক্ষার্থী নাহিদা খাতুন (১৪) পেটের পিড়ায় আক্রান্ত হলে তাকে ওই সন্ধ্যায় নাচোল জননী ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। নাহিদার পিতা নাসির উদ্দীন বলেন, ‘ ক্লিনিকে মেয়েকে নিয়ে আসার সেখানে থাকা ডা. মাসুদ রানা আমাদের জানায় যে, রোগির এ্যাপেন্ডিসাইটিস হয়েছে। দ্রুত অপারেশন না করলে নাড়ি বাস্ট হয়ে রোগি মারা যাবে’। তিনি বলেন, ‘ একথা বলার পর ডা. মাসুদ রানা আমাদের অনুমতি নিয়ে দ্রুত আমার মেয়ের অপারেশন শুরু করেন। অপারেশরেন পর নাহিদার কষ্ট আরো বেড়ে যায়। দু’ দিনেই মরামরা অবস্থা হয়ে যায়। আশংকাজনক অবস্থায় বুধবার নাহিদাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন’।
নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, জননী ক্লিনিকে ভুল অপারেশন ও চিকিৎসার ঘটনায় নাহিদা খাতুন (১৪) মারা যাওয়ার ঘটনায় তার পিতা নাসির উদ্দীন নাচোল থানায় বৃহস্পতিবার হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর মাহফুজকে জনীন ক্লিনিক থেকে গ্রেফতার করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ ভুয়া ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় স্কুল পড়–য়া মেয়ের মৃত্যুর এই ঘটনাটি মর্মান্তিক। এটি একটি হত্যাকান্ড। নিজের প্রকৃত পরিচয় গোপন রেখে মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনায় দায়ের হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দ্রুত তার সহযোগিদের বিরুদ্ধেও আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
গ্রেফতার হওয়া মাহফুজ আলমকে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২০-০৭-১৭
from Chapainawabganjnews http://ift.tt/2uNMNT1
July 21, 2017 at 02:18AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন