কলকাতা, ০৩ আগষ্ট- অবশেষে ফ্ল্যাট, আবাসন নিয়ে কঠোর আইন প্রণয়ন করতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷ বিধানসভার আসন্ন অধিবেশনে এ জন্য দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল হাউজিং ইন্ডাস্ট্রি রেগুলেশন বিল ২০১৭ পেশ করতে চলেছেন আবাসনমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ বুধবার বিধানসভায় কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সরকারের তরফে এই বিল পেশ করার কথা ঘোষণা করা হয়৷ পরে আবাসন মন্ত্রী বলেন, ফ্ল্যাট মালিকদের অধিকার সুরক্ষিত করতেই এই আইন তৈরি করা হচ্ছে৷ আমরা আশা করছি, ফ্ল্যাট কেনাবেচায় যত ধরনের অনিয়ম হয়ে থাকে তার সবই নির্মূল হবে এই আইনে৷ নবান্ন সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে প্রতি বছর সরকারি ভাবে প্রায় আঠারো লাখ জমি-বাড়ি বিক্রি হয়৷ অর্থাত্ এই আঠারো লাখ দলিলের জন্য সরকার রাজস্ব পেয়ে থাকে, গত আর্থিক বছরে যার পরিমাণ ছিল সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা৷ সরকারি সূত্রের বক্তব্য, আঠারো লাখ দলিলের ১৫ লাখই ফ্ল্যাট কেনাবেচা সংক্রান্ত৷ চিকিত্সায় গাফিলতি, বিলে প্রতারণার ঘটনার পাশাপাশি ফ্ল্যাট কিনে ঠকে যাওয়ার ঘটনাও ক্রমবর্ধমান৷ তাই ফ্ল্যাট, আবাসন নিয়ে আইন করে মধ্য ও উচ্চবিত্তের আর একটি জরুরি চাহিদা পূরণ করতে চলেছেন তিনি৷ নির্মাণ সংস্থাগুলির সর্বভারতীয় সংগঠন ক্রেডাই সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে৷ অসাধু প্রোমোটারদের শায়েস্তা করার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকার নবছরের চেষ্টায় গত বছর বিশেষ আইন চালু করে৷ রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছিল, ওই আইনের বদলে নিজস্ব আইন তৈরি করে নিতে৷ এই ব্যাপারে রাজনৈতিক রং নির্বিশেষে একাধিক রাজ্যের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিল কেন্দ্র৷ শোভন বলেন, কেন্দ্রের আইনের ভাল দিকগুলি আমরা গ্রহণ করেছি৷ তবে আমাদের আইনে রাজ্যের বাস্তব পরিস্থিতির কথা মাথায় রাখা হয়েছে৷ মেয়রের কথায় স্পষ্ট, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার নানা প্রশ্নে জেহাদ ঘোষণা করলেও জনস্বার্থবাহী পদক্ষেপগুলির বিরোধিতা করছে না৷ কী থাকবে প্রস্তাবিত আইনে? সরকারি সূত্রে খবর, প্রত্যেক নির্মাণকারী সংস্থাকে রিয়্যাল এস্টেট অ্যাপেলেট সংস্থার নাম নথিভুক্ত করতে হবে৷ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা তা না-করলে প্রকল্প খরচের ১০ শতাংশ অর্থ জরিমানা করা হবে৷ টাকা নিয়ে ফ্ল্যাট না-দেওয়ার অভিযোগের পাহাড় জমেছে ক্রেতা সুরক্ষা-সহ সমস্ত আদালতে৷ প্রস্তাবিত আইনের বলা হয়েছে, ফ্ল্যাট বাবদ ক্রেতার কাছ থেকে নেওয়া অর্থ একটি পৃথক তহবিলে জমা রাখতে হবে প্রোমোটার সংস্থাকে৷ ফ্ল্যাট নিয়ে বিরোধ হলে টাকা ফেরাতে হবে সুদ সমেত৷ ফ্ল্যাট হস্তান্তরের পর নির্মাণজনিত কোনও ত্রুটি ধরা পড়লে নিখরচায় তা সারিয়ে দিতে হবে প্রোমোটিং সংস্থাকেই৷ ফ্ল্যাট বুকিংয়ের পর ক্রেতার লিখিত অনুমতি ছাড়া নকশা বদল করা যাবে না৷ শুধু ছোটো ও মাঝারি প্রোমোটিং সংস্থাই নয়, সরকারের লক্ষ কর্পোরেট কোম্পানিগুলিও৷ স্বভাবতই সর্বভারতীয় আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই নতুন আইন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ আর/১৭:১৪/০৩ আগষ্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2vsvt5a
August 04, 2017 at 12:36AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন