নিজস্ব প্রতিনিধি:: গেলো বোরো মৌসুমে অকাল বন্যার তলিয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে ওঠতে না ওঠতেই গত জুন মাসে টানা বর্ষণ আর পাহাড়ী ঢলে হাওরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে পানিবন্ধী হয়ে দুর্ভোগে পড়েন জেলার কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা, রাজনগর ও সদর উপজেলার হাকালুকি, কাউয়াদিঘি, হাইল হাওরসহ হাওর পাড়ের ৩৩ টি ইউনিয়নের ৫০ হাজার পরিবারের প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষ। ঘরবাড়ি ছেড়ে অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন আত্মীয় স্বজনের বাড়ি কিংবা বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে।পরে আবহাওয়া আনুকুলে আসলে ধীর গতিতে পানি কমতে শুরু হলে কিছুটা পানি কমলে অনেকেই বাড়িতে ফিরেন। তবে ত্রাণের জন্য হাহাকার ছিল দুর্গত মানুষের মধ্যে। জেলা ব্যাপি রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। বন্ধ রয়েছিল প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান। ১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এখনও বন্ধ রয়েছে।কিন্তু চলতি মাসের কয়েকদিন থেকে ভারী বর্ষণে আর পাহাড়ী ঢলে আবারো পানি বেড়ে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে হাওর পাড়ের বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট। এতে ফের ভোগান্তিতে পড়েছেন হাওর পাড়ের লক্ষাধিক মানুষ। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিজয় ইন্দ্রীয় সংকর চক্রবর্তী বলেন, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ফের হাওর ও নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। আমরা খোঁজ রাখছি কোথাও ভাঙ্গন দেখা দিলে আমাদের মেরামতের প্রস্তুতি রয়েছে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2wcTBZF
August 29, 2017 at 12:24AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন