ঢাকা, ০১ আগস্ট- গত ৩০ জুলাই কম্বোডিয়ার নমপেনে ৫৭তম এশিয়া-প্যাসিফিক চলচ্চিত্র উৎসবে তৌকির আহমেদ পরিচালিত অজ্ঞাতনামা সেরা ছবির পুরস্কার পেল। এই ছবি এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে তৌকির আহমেদ কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহসান মাহমুদ নমপেনে আপনার পরিচালিত অজ্ঞাতনামা সেরা ছবির পুরস্কার পেল। এই প্রাপ্তিতে আপনার অনুভূতি কী? অজ্ঞাতনামা রিলিজ হয়েছে এক বছরের বেশি হয়েছে। এই সময়ের মধ্য অজ্ঞাতনামা অনেক উৎসবে গিয়েছে। অনেক শহরে প্রদর্শিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, কসোভো, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, ভারত, কোরিয়া, কম্বোডিয়াসহ নানান দেশে প্রদর্শিত হয়েছে। আনন্দের বিষয় হলো সব জায়গায়ই অজ্ঞাতনামা মানুষকে ভাবিয়েছে, কাঁদিয়েছে বা তাঁদের প্রশংসা পেয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় পুরস্কৃত হয়েছে। আন্তর্জাতিক পুরস্কারের বিষয়টি অবশ্যই অনুপ্রাণিত করে, কেননা একটি ছবি ভিন্ন দেশে ভিন্ন ভাষাভাষী ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষকে নাড়া দেয়, সেটা অবশ্যই আনন্দের। এ ছবিটি অষ্টম বারের মতো পুরস্কৃত হলো। ছবিটি নির্মাণের সময় কি ভেবেছিলেন, এতটা সফলতা পাবে? নির্মাতা তো আসলে পুরস্কারের কথা ভেবে ছবি বানায় না। কিন্তু আবার তাঁর আশা থাকে যে ছবিটি সফল হবে। সে যা বলতে চাইছে, সেটা মানুষের কাছে পৌঁছাবে। সে যে শিল্পটি তৈরি করার চেষ্টা করছে, সেটি মানসম্মত হবে এবং সর্বোপরি মানুষের ভালো লাগবে। আপনার পরিচালিত নতুন ছবি হালদা কবে আসবে দর্শকের সামনে? আমরা হালদা এ বছরই আনব দর্শকের সামনে। দুইটা ঈদের জন্য পিছিয়ে গেছি। ঈদের ছবি নিয়ে ব্যাপক রাজনীতি চলে। তো সেটার মধ্যে আমি যাওয়ার যোগ্যতা রাখি না। অক্টোবর অথবা নভেম্বরে এটা দর্শকের সামনে নিয়ে আসব। জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এটির অগ্রগতি কত দূর? অগ্রগতি বলতে এটার জন্য এখনো কোনো ফান্ড আমরা পাইনি। এ ধরনের কাজে হয়তো ফান্ডিং করাটা উৎসাহব্যঞ্জক হচ্ছে না লগ্নিকারীদের জন্য। এটার জন্য একটু অপেক্ষা করতে হবে মনে হয়। তার আগে আমি অন্য ছবি ভাষা আন্দোলনের পটভূমি নিয়ে ফাগুন হাওয়ায়-এর কাজ শুরু করে দেব। ছোট পর্দায় আপনার অভিনয় কেমন চলছে ? রোজার ঈদে তো ৬-৭টি নাটকে অভিনয় করেছিলাম। একটি নাটক পরিচালনা করেছিলাম। অভিনয়কে সব সময় আলাদা গুরুত্ব দিই। কেননা আমি প্রথমে কাজ তো অভিনেতা হিসেবেই শুরু করেছিলাম। এই পরিচয়টা আমি ভুলতে চাই না। এই ঈদে হয়তো ৩-৪টি নাটকে অভিনয় করব, আর নিজের লেখা তিনটি নাটক পরিচালনা করব। নাটকের দর্শক কমে গেছে। কী পদক্ষেপ নিলে দর্শক বাড়বে বলে মনে করেন? বিজ্ঞাপনকে সহনীয় মাত্রায় আনা না গেলে নাটক দর্শক ফিরে পাবে না। অনেক চ্যানেল বিজ্ঞাপন-বিরতিহীন নাটক দিচ্ছে, এই খবরটা দর্শক রাখছেন না। তার মানে তারা টেলিভিশনবিমুখ হয়েছেন। এ থেকে উত্তরণের জন্য মানসম্মত প্রযোজনা দিতে হবে। তার আগে বিজ্ঞাপন প্রচারের নীতিমালা পরিবর্তন করতে হবে। অন্যথায় আমরা যতই পাবলিসিটি করি না কেন, দর্শক নাটক ইউটিউবে গিয়ে দেখবে। নতুন কিছু লিখছেন কী ? নতুন একটি ছবির জন্য চিত্রনাট্য লিখছি। শুনেছি এ ছবির শুটিং হবে আগামী বছর। এমএ/ ০৯:৪১/ ০১ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2vk5exL
August 02, 2017 at 03:43AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন