নিজস্ব প্রতিনিধি:: ঈদুল আযহার আর মাত্র কয়েকদিন বাকী। তবে সিলেটের গোয়াইনঘাটে এখনো জমে উঠেনি পশুর হাট। পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং উপজেলার দুটি কোয়ারিরে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় কারণে কোরবানির হাটে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের হাদারপার বাজার, ফতেপুর ইউনিয়নে ফতেপুর বাজার, পূর্ব জাফলং ইউনিয়নে রাধানগর বাজার, পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নে গোয়াইনঘাট বাজার, ডৌবাড়ী ইউনিয়নে হাকুর বাজার, নিহাইন বাজার, ডৌবাড়ী বাজার, আলীরগাঁও ইউনিয়নে কোওর বাজার ও লাফনাউট বাজার, তোয়াকুল ইউনিয়নে তোয়াকুল বাজার, নন্দিরগাঁও ইউনিয়নে মসজিদের বাজার সহ ১১টি ছোট বড় বাজারে বসেছে পশুর হাট। এসব বাজারে দেশির পাশাপাশি বিদেশী গরুও উঠেছে। ছাগল, ভেড়া, মহিষ সহ ছোট কোরবানির পশুও লক্ষ করা যাচ্ছে।
উপজেলার সবকটি পশুর হাটে খবর নিয়ে জানা যায় যে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এই সময়ে এখনও জমে উঠেনি পশুর হাট। উপজেলার সর্ববৃহৎ রাধানগর বাজারের ইজারাদার (অংশিদার) সাইদুর রহমান জানান, এখনও পশুর হাট জমে উঠেনি। তবে সাধারণ হাটে যে পরিমাণ পশু বিক্রি হত তা অব্যাহত রয়েছে। ঈদ আরো ঘনিয়ে এলে কোরবানির হাট জমে উঠবে বলে আশা বিক্রেতাদের।
এদিকে গোয়াইনঘাটে পশুর হাট সমূহে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। পকেটমার, ছিনতাই, চাঁদাবাজ, ডাকাতি প্রতিরোধ এবং জাল টাকা সনাক্ত করণে জালনোট সনাক্তকারী মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে। উপজেলা ১১টি পশুর হাটে ১জন অফিসার, ৩জন ফোর্স সহ সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও সাদা পোষাকেও পুলিশের বিশেষ টহলদল থাকবে বলে জানিয়েছেন গোয়াইনঘাট থানার সেকেন্ড অফিসার এস.আই বদিউজ্জামান।
গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার পাল জানান, গোয়াইনঘাটে আলাদা পশুর হাট নেই। তবে যেকটি বাজার ইজারা নেয়া হয়েছে, সেখানেই পশুর হাট বসানো হয়েছে। কোরবানির পশুর হাটে বিকিকিনি এবং সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারে প্রশাসন তরফ থেকে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2iAUk26
August 27, 2017 at 10:44PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন