কলকাতা, ০৪ আগস্ট- পশ্চিমবঙ্গে আরও এক লক্ষ লোকশিল্পীকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকপ্রসার প্রকল্পের আওতায় এর আগে ৮৪ হাজারেরো বেশি শিল্পী এ অনুদান পেতেন। আগামী দূর্গাপুজার আগেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীদের এ প্রকল্পের আওতায় আনার কাজ করছে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর। অবহেলা ও অযত্নে থাকা বাউল, ছৌ নাচ, ভাওয়াইয়া, ঝুমুর, বোলান, চটকা ও গম্ভীরার মতো লোকশিল্প আর শিল্পীদের পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে লোকপ্রসার প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী। জুলাই মাসের শুরুতে পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘায় এক সভায় আরও লোকশিল্পীদের আর্থিক অনুদান দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মমতা। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর এই ঘোষণার পর লোকপ্রসার প্রকল্পের আওতায় আসলেন ১ লক্ষ ৮৪ হাজারেরও বেশি শিল্পী। এই প্রকল্পের আওতায় থাকা ষাটোর্ধ্ব দুঃস্থ ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা শিল্পীরা পাবেন মাসিক পেনশন পান। ৬০ বছর বয়সের নিচে থাকা শিল্পীদের জন্য রয়েছে রিটেনার ফি। উভয় ক্ষেত্রেই তা মাসিক এক হাজার টাকা। এই মুহূর্তে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ৮৪ হাজারেরও বেশি নথিভুক্ত লোকশিল্পীর মধ্যে ৮৫৯৬ জন পান পেনশন। আর রিটেনার ফি পাওয়া শিল্পীর সংখ্যা এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭৬ হাজার। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও এক লক্ষ শিল্পী আসছেন এই প্রকল্পের আওতায় মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর পেনশন এবং রিটেনার ফি প্রাপকের সংখ্যা একলাফে অনেকটাই বেড়ে যাবে। এ ছাড়া সকল শিল্পীর জন্য থাকছে সরকারি পরিচয়পত্রও। অনুদানের পাশাপাশি এসব শিল্পীদের নিজেদের উপস্থাপনা ও পরিবেশনার সুযোগ করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিমাসে কমপক্ষে চারটি করে সরকারি অনুষ্ঠানে ডাক পাচ্ছেন লোকশিল্পীরা। অনুষ্ঠান পিছু হাজার টাকা করে পান তাঁরা। এই প্রকল্পের আওতায় এমন পরিবারও রয়েছে, যাদের চার-পাঁচজন সদস্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এ ছাড়াও লোকশিল্পের সম্যক প্রচারের লক্ষ্যে দুঃস্থ শিল্পীদের নানারকম বাদ্যযন্ত্র ও সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে সরকারি তরফ থেকে। যার মধ্যে রয়েছে খঞ্জনি, মাদল, ঢোল, ধামসা, কাঁসর, ঢাক, ঢুপকি, একতারা, দোতারা এবং বাঁশির মতো বাদ্যযন্ত্র। সূত্র: বর্তমান
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2vnaEJ6
August 04, 2017 at 07:37PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন