নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট সিটি কর্পোরশেনের নগরীর ৯নং ওয়ার্ডের বাগবাড়ী এলাকার মৃত জগন্দ চন্দ্র দাসের পুত্র সিলেটের বিয়ানীবাজার শাখার যমুনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক সজল কান্তি দাস ব্যাংকের এক পরিচালকের আত্মীয়ের প্ররোচনায় আত্মহত্যা করেছেন,এই অকাল মৃত্যুতে থামছে না পরিবারের কান্না। বৃহস্পতিবার দুপুরের নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় স্ত্রী অনামিকা দাস লিপি সহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের বুক ফাটা কান্না ও আহাজারী। তাদের দাবী সজল আত্মহত্যা করতে পারে না তাকে হত্যা করা হয়েছে
সিলেট নগরীল বাগবাড়ীস্থ নিহত সজল‘র বাসায় সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ কালে জানা গেছে, গত(৩১ জুলাই)বিয়ানীবাজারের ভাড়া বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ নিহতের বাসা থেকে চার পাতার একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে, যেখানে তিনি তার মৃত্যুর কারণ লিখে গেছেন বলে দাবি পুলিশের। নিহতের রেখে যাওয়া চিরকুটের উদ্ধৃতি দিয়ে সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আলী আহমেদ সেলিম ও কামরুন্নাহার স্বপ্না দম্পতি যমুনা ব্যাংকের ডাইরেক্টরের আত্মীয়ের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে যমুনা ব্যাংক লিমিটেড, বিয়ানীবাজার শাখা হতে বিপুল অংকের ঋণ গ্রহণ করে ঋণের টাকা ফেরত প্রদানে অস্বীকার করেন। “উক্ত ব্যক্তিদ্বয় ঋণ গ্রহণের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করে এবং উক্ত ঋণ গ্রহণের বিষয়টি কারো নিকট জানালে ভিকটিমের সন্তানদের ক্ষতিসাধন করবে নতুবা ভিকটিমকে আত্মহত্যা করার জন্য বলে।”তাই সজল কান্তি দাস আত্মহত্যা করেন। সজল কান্তিকে হারিয়ে পরিবারের লোকজন চরম ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। তাঁর হঠাৎ অকাল মৃত্যুতে পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে।পরিবারের লোক জনের দাবী আত্মহত্যা নয় তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত সজল‘র স্ত্রী অনামিকা দাস লিপি কান্না জড়িত অবস্থায় আহাজারি করে বলেন, আমার দুই সন্তান মেয়ে সৌমি দাস (১২) ও ছেলে রিচিক দাস (৪) কে নিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখছি। তাঁর প্রশ্ন কে দিবে তাদের ভরণ পোষণ, কে দিবে তাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চয়তা। অনামিকা দাস লিপি এখন পাগল প্রায় এক অসহায় নারী। তিনি দাবী করে বলেন, আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে আমি থাদের সঠিক বিচার চাই।
এঘটনায় নিহতের ভাই সুজিত দাস বাদী হয়ে আলী আহমেদ সেলিম ও কামরুন্নাহার স্বপ্না দম্পতিকে আসামী করে লিখিত এজাহার দায়ের করলে বিয়ানীবাজার থানার মামলা নং-০১, তারিখ-০১/০৮/২০১৭খ্রিঃ, ধারা-৩০৬ পেনাল কোড রুজু হয়। মামলার পর বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় আসামী আলী আহমেদ সেলিম ও কামরুন্নাহার স্বপ্না দম্পতিকে সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকা হতে গ্রেপ্তার করেছে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2waLhHS
August 03, 2017 at 09:34PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.