নিজস্ব প্রতিনিধি; সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের ছাত্রলীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান শিপলুকে হত্যার দায়ে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল, তাহিরপুর থানার তৎকালীন ওসি শরিফ উদ্দিনসহ ৭ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার এই হত্যা মামলার যুক্তিতর্কের ১৭ তম কার্যদিবসে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রণয় কুমার দাস আসামীদের কারাগারে পাঠোনোর আদেশ দেন।
চেয়ারম্যান ও ওসি ছাড়া এ মামলায় কারাগারে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- জুনাব আলী, মেহেদী হাসান উজ্বল, শাহীন মিয়া, শাহজান মিয়া ও রফিকুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ২০ মার্চ রাত ৩ টায় তাহিরপুর উপজেলার ভাটি তাহিরপুর গ্রামে (মামার বাড়ীতে) তাহিরপুর জয়নাল আবেদীন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান শিপলু গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জের বাসিন্দা মো. বদরুজ্জামানের ছেলে ওয়াহিদুজ্জামান শিপলু তাহিরপুর উপজেলার তৎকালীন কৃষক লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলামের ভাগ্নে ২০০২ সালে মামা শফিকুল ইসলামের বাড়ীতে থেকেই উপজেলার জয়নাল আবেদীন কলেজে পড়াশুনা করত। ২০০২ সালের ২০ মার্চ রাত ৩ টায় তৎকালীন উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি, বর্তমানে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামার কামরুল, তৎকালীন উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, বর্তমানে সভাপতি মেহেদী হাসান উজ্জ্বল, বিএনপি নেতা জুনাব আলী, তৎকালীন তাহিরপুর থানার ওসি শরিফ উদ্দিন, এস. আই রফিক, তৎকালীন স্থানীয় ছাত্রদল নেতা শাহীন মিয়া ও শাজাহান মিয়া ভাটি তাহিরপুরের শফিকুল ইসলামের বাড়ীতে যান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শফিকুল ইসলাম বাড়ী থেকে পালিয়ে যান। তবে রাতেই পুলিশ ও ছাত্রদল নেতারা ওয়াহিদুজ্জামান শিপলুকে আটক করেন। পরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় ছাত্রলীগ নেতা শিপলু।
এ ঘটনার পর ২ দিন পর ২৩ মার্চ শিপলু’র মা আমিরুনন্নেছা বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে জুডিসিয়াল রিপোর্ট প্রদান করেন। ২০০৩ সালে মামলাটি জেলা জজ আদালতে স্থানান্তর হয়। জেলা ও দায়রা জজ ২০০৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করেন।
স্বাক্ষী প্রমাণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানীর ১৭ কার্যদিবসের শেষ দিনে রোববার আদালত তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল, তাহিরপুর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী হাসান উজ্জ্বল, বিএনপি নেতা জুনাব আলী, তৎকালীন ওসি শরিফ উদ্দিন, তৎকালীন এস আই রফিক, যুবদল নেতা শাহীন মিয়া ও শাহাজাহান মিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন- অ্যাড. আপ্তাব উদ্দিন ও অ্যাড. জহুর আলী। আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. হুমায়ুন মঞ্জুর চৌধুরী ও ফারুক আহমদ।
পিপি অ্যাড. খায়রুল কবির রুমেন জানান, আগামী ৩১ আগস্ট এই মামলার রায়ের দিন ধার্য্য করা হয়েছে। রায় হওয়া পর্যন্ত আসামীরা কারাগারে থাকবেন বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2wABEVK
August 27, 2017 at 11:17PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন