কলকাতা, ১৯ আগস্ট- কলকাতার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া বাংলাদেশি রোগীদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। গত কয়েক মাসে কলকাতার শীর্ষ ছয় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীর হিসাব এ কথাই বলছে। হাসপাতালগুলোতে ভর্তিসহ নানা ধরনের জটিল প্রক্রিয়ার কারণেই এমন হচ্ছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। বলা হয়, চিকিৎসাসেবা নিতে যাওয়া রোগীদের অবহেলা ও অতিরিক্ত বিলের কারণেই বাংলাদেশি রোগীদের সংখ্যা গত কয়েক মাসে কমে গেছে বলে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত কয়েক বছরে কলকাতার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা বাংলাদেশি রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক মাস থেকে এই সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। ঢাকুরিয়া, মুকুন্দপুর ও সল্টলেকে আমরি হাসপাতালের তিনটি শাখায় প্রতি মাসে প্রায় আড়াই হাজার বাংলাদেশি রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে যেতেন। চলতি বছরের মার্চ থেকে এই সংখ্যা ১৫ শতাংশ কমে গেছে। আমরি হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী (সিইও) রূপক বড়ুয়া বলেন, গত ফেব্রুয়ারি থেকে কলকাতার হাসপাতালগুলো সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারণাই এর জন্য দায়ী। বাংলাদেশের রোগীরা হয়তো এখন কলকাতা ছেড়ে দিল্লি বা দক্ষিণের প্রদেশগুলোর দিকে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্যসেবা-ব্যবস্থা বিশ্বাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। রোগীদের এই বিশ্বাস একবার ভেঙে গেলে তা ফিরিয়ে আনা খুব কঠিন। প্রতিবেদনে বলা হয়, রুবি জেনারেল হাসপাতালে গত মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত বহির্বিভাগে ও ভর্তি হওয়া বাংলাদেশি রোগী সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে। এই হাসপাতালে মাসে ৪৫০ জন বাংলাদেশি রোগী চিকিৎসাসেবা নিতেন। এই সংখ্যা কমে গত জুনে ২০-এ নেমে এসেছে। রুবি জেনারেল হাসপাতালের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) শুভাশীষ দত্ত বলেন, গত ফেব্রুয়ারি থেকেই কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালগুলো সমালোচনার মুখে পড়ে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নোট বাতিলের খবর দেখেও বাংলাদেশি রোগীরা প্রভাবিত হয়েছেন। আমরা রোগীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব। শুভাশীষ দত্ত বলেন, এর জন্য ভিসানীতির কড়াকড়িও একটা বিষয়। হাসপাতালে ভর্তির জন্য চিকিৎসা ভিসা বাধ্যতামূলক করায় বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা কমছে। তবে তাঁরা এখন চেন্নাই, বেঙ্গালুরু ও দিল্লিতে যাচ্ছেন। কলকাতার চেয়ে সেখানকার হাসপাতালগুলোর ভাবমূর্তি বেশ ভালো। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দক্ষিণ কলকাতার দুটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রতি মাসে প্রায় ৭০০ বাংলাদেশি রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে আসতেন। গত পাঁচ মাসে তা ৫ শতাংশ কমে এসেছে। অ্যাপোলো হাসপাতালে প্রতি মাসে সাড়ে ছয় হাজার রোগী এলেও তা কমে গেছে। এ ছাড়া কলকাতার আরএন ঠাকুর ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সেসের (আরটিআইআইসিএস) রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2wZIvWv
August 19, 2017 at 04:58PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন