নিউ ইয়র্ক, ০৭ আগষ্ট- নিউইয়র্কের বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকা জ্যাকসন হাইটসের অতি সন্নিকটে ইস্ট এলেমহার্স্টে এক বাংলাদেশী গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। জানা গেছে, নাদিয়া আফরোজ সুমি নামে এই গৃহবধূ পারিবারিক অশান্তি এবং সংসারের টানাপোড়েনের কারণে আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো মাত্র ৩২ বছর। খুলনা সমিতির সভাপতি আসাদুল ইসলাম আসাদ জানান, নাদিয়া আফরোজ সুমির স্বামী খুলনা সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কম্যুনিটির পরিচিত মুখ মাহফুজুর রহমান ১ বছর ৯ মাস আগে হ্যার্টএ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। গত প্রায় ২ বছর ধরে তার চিকিৎসা চলছিলো। বর্তমানে তিনি ফ্ল্যাশিং এর একটি রিহ্যাব সেন্টারে রয়েছেন। সুমির পরিবারে স্বামীই ছিলেন একমাত্র উপার্জনকারী। স্বামীর এই অসুস্থ্যতায় ৫ বছরের একমাত্র পুত্র সন্তান ইবনে শামীম রহমানকে নিয়ে মহাসংকটে পড়েন। এই সংকটে এগিয়ে আসে খুলনা সমিতির কর্মকর্তারা। খুলনা সমিতির উপদেষ্টা ডা. মাসুদুর রহমান, জিয়াউর রহমান লিটু, সভাপতি আসাদুল ইসলাম আসাদ, সাধারণ সম্পাদক মুরারী মহন দাস, শেখ ফারুকুল ইসলাম ও সরকার মুনিরুল ইসলামসহ অনেকেই অসহায় সুমিকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। প্রথম দিকে খুলনা সমিতির পক্ষ থেকে ২ মাসের বাসা ভাড়াও দেয়া হয়। পরে সিটির কাছ থেকে সুযোগ- সুবিধা পাওয়ার পর ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনেকে সহযোগিতা করেন। সিটির অর্থিক অনুদান ও ১ জন মহিলা রুম মেট নিয়ে সুমি কোনভাবে সংসার চালাচ্ছিলেন। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, মাহফুজুর রহমানের আত্মীয়- স্বজনরা এ নিয়ে সুমি সাথে খারাপ ব্যবহার করতেন কিন্তু নানা অপবাদও দিয়েছেন বলে খুলনা সমিতির সভাপতিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন। অপবাদ সইতে না পেরেছে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা সুমি গত ৪ আগস্ট রাত ১০টার দিকে ৭৩-১১, ৩১ এভিনিউ ইস্ট এলেমার্স্টের বাসায় ওড়না দিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যা করার সময় ৫ বছরের আদরের সন্তান ইবনে শামীম রহমানকে বলেছিলেন ৯১১ কল দিয়ে পুলিশ কল করতে। মায়ের কথা অনুযায়ী শামীম রহমান পুলিশকে কল দেয় এবং তার মা অবস্থার কথা জানায়। পুলিশ বাসায় আসার আগেই সুমির মৃত্যু ঘটে। বর্তমান কাউকে বাসায় ঢুকতে দিচ্ছেনা পুলিশ। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এদিকে আসাদুল ইসলাম আসাদ জানান, ঘটনাটি নাদিয়া আফরোজ সুমির মাকে জানানো হয়েছে। তিনি ঢাকায় রয়েছেন। সুমির মায়ের ইচ্ছা অনুযায়ী তার লাশ আগামী ৮ আগস্ট বাংলাদেশে পাঠানো হবে। আগামী ৭ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে সুমির খালা আসছেন। অন্যদিকে সুমির একমাত্র সন্তান এখন খুলনা সমিতির উপদেষ্টা জিয়াউর রহমান লিটুর স্ত্রী হ্যাপি চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে রয়েছে। তার খালা আসার পর ছেলেকে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ নিয়ে বাংলাদেশী কম্যুনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সুমিদের দেশের বাড়ি ঢাকার খিলগাও। আর/১০:১৪/০৭ আগষ্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2wnkrMC
August 08, 2017 at 05:25AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন