নগর ট্রাফিকের চাদাঁবাজিতে অতিষ্ট গাড়ি চালকগণ-দেখার যেন কেউ নেই

সিলেট প্রতিনিধি ঃ সিলেটে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ গাড়ি চালকগণ। সিএনজি চালিত গাড়ি থেকে শুরু করে ভারী যান চালকরাও রেহাই পাচ্ছে না অসাধু ট্রাফিক পুলিশদের হাত থেকে। নগরীর বিভিন্ন ট্রাফিক পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান ভোক্তভোগীরা।
এদিকে নগরীতে প্রতিদিন লেগে থাকে অসহনীয় যানজট। দীর্ঘ যানজটের কারণে দূভোর্গ পোহাতে হয় নগরবাসীকে।্ এই যানজটের অন্যতম কারণ দিনের বেলায় নগরীর প্রধান সড়ক দিয়ে ট্্রাক চলাচল। একাধিক সুত্র জানিয়েছে, নগরীর প্রতিটি স্ট্রেন্ড থেকে নগর ট্্রাফিকের এই দুই সার্জেন্টকে ঘুষ দিতে হয়। আর এই ঘুষের টাকায় এদের বিলাসী জিবন যাপন। এক সময় সার্জেন্ট হানিফের নুন আনতে পানতা ফুরায় অবস্থা ছিল মাত্র দুই বছরে গাড়ি নগরীর বটেশরে আলীশান বাড়ির মালিক তিনি। এ যেন আলা উদ্দিনের আশ্চর্য প্রদিপ। সার্জেন্ট শাওন দক্ষিন সুরমার প্রতিটি স্টেন্ডসহ সকল অবৈধ গাড়ির হর্তা কর্তা। তাকে টাকা দিলে সব টিক হয়ে যায় তিনি যেন অস্টিপাথর। অটোরিক্শা সিএনজি চালক মো ঃ মজনু মিয়া জানান, আমরা ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজিতে অসহায় হয়ে পড়েছি। তাদের কথামত উৎকোচ না দিলে কারণে-অকারণে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। আমাদের দুঃখ কেউ দেখে না। নগর ট্রাফিকের একাধিক সার্জেন্ট ও টিএসআইদের অত্যাচার থেকে মুক্তি ও আইনাননুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ কমিশনার বরাবরে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করেছেন অটোরিক্শা (সিএনজি) চালকগণ। কিন্তু তারপর কোন ফল হচ্ছে না। তাছাড়া ট্রাফিক পুলিশের প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে নগর ট্রাফিকের সার্জেন্ট হানিফ ও সার্জেন্ট আবু বক্কর শাওনের বিরুদ্ধে রয়েছে শত অভিযোগ । একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ব্যেও বহাল তবিয়্যতে রয়েছেন তারা। নগরীর প্রতিটি অবৈধ স্ট্রেন্ড হতে চাদাঁ আদায় ও ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ থাকলেও অজানা কারণে তাদের বিরোদ্দে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। সার্জেন্ট হানিফ শিবগঞ্জ হতে বটেশর পর্যন্ত প্রতিটি স্টেন্ডে নাম্বার বিহীন অটোরিক্সার টটোকেনের টাকা আদায় করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। একাদিক সার্জেন্ট বলেন নগর ট্রাফিকের পুরাতন সকল সার্জেন্টদের বদলী করা হলেও নানা ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে উনারা রয়েছেন সিলেট নগর ট্রাফিকে। কথা প্রসঙ্গে অটোরিকশা ড্রাইভার শ্রমিক সংঘের সভাপতি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রতিদিন কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশদের বড় অংকের টাকা উৎকোচ দিতে হয়। নতুবা স্ট্যান্ডে অটোরিকশা দাঁড়াতে দেন না তারা। ভারী যান (ট্রাক) চালক আব্দুল আলী জানান, ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি ইদানীং বৃদ্ধি পেয়েছে। সারাদিন শহরের বাইরে ট্রাক রেখে সন্ধ্যার পরে নগরীতে ঢুকার সাথে সাথে ট্রাফিক পুলিশকে পয়েন্টে পয়েন্টে উৎকোচ দিতে হয়। নতুবা খালি গাড়ি হলে রিকুইজিশন আর মালবাহী হলে অভার লোড বলে মামলার ভয় দেখায়। তখন আমাদের বাধ্য হয়ে প্রতিটি পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশকে উৎকোচ দিয়ে চলতে হয়।
এছাড়া নাম্বারবিহীন গাড়ি নিয়ে ট্রাফিক পুলিশ শুরু করেছে নানা তেলেসমাতি। গাড়ি আটকের পর রেকারম্যান থেকে শুরু করে পুলিশ লাইনের গেইটম্যান পর্যন্ত পদে পদে উৎকোচ দিতে হয়। শুধু তাই নয়, নাম্বার বিহীন সিএনজি আটকের পর ৪/৫ দিন পুলিশ লাইনে গাড়ি আটক থাকে। এতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় সিএনজি ড্রাইভারদের। কারণ এই সিএজিই ড্রাইভারের একমাত্র আয়ের পথ।
একাধিক ট্রাফিক পুলিশ নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আমাদের কিছু করার নেই। অফিসারদের খুশি রাখতে আমাদের বাধ্য হয়ে উৎকোচ গ্রহণ করতে হয়। যানবাহন দরপাকড় না করলে শোকজ করা হয় তাইবাধ্য হয়েই এসব করতে হয়। এ ব্যাপারে উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) তোফায়েল আহমদ সাথে আলাপকালে তিনি জানান, এ ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2hFJRSw

August 08, 2017 at 04:41PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top