ঢাকা, ২৯ আগস্ট- মডেল ও অভিনেতা সাখাওয়াত হোসেন নিরব। বিলবোর্ড মডেল হয়ে মিডিয়ায় যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি। একসময় টিভি নাটকে অভিনয় শুরু করেন। সেখান থেকেই ডাক পান চলচ্চিত্রে। ২০০৯ সালে শাহীন সুমন পরিচালিত মন যেখানে হৃদয় সেখানে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নায়ক হিসেবে অভিষেক হয়। বিজ্ঞাপন করে পরিচিতি পেলেও নাটক বা ঢাকাই চলচ্চিত্রে এখনো শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে পারেননি। তবে এরই মধ্যে অভিনয় করে ফেলেছেন বলিউডের একটি চলচ্চিত্রে। বলিউডে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে নিরব অভিনীত শয়তান চলচ্চিত্রটি। এতে নায়িকা, অর্থাৎ নিরবের স্ত্রীর ভূমিকায় আছেন ভারতীয় অভিনেত্রী কবিতা রাধেশ্যাম। মনোবিজ্ঞানী চরিত্রে দেখা যাবে পাকিস্তানি অভিনেত্রী মীরা খানকে। এ ছাড়া অভিনয় করেছেন আমিতা নানজিয়া, আসিফ বাসরা, ইতি আচারিয়া, শিশুশিল্পী বেবি তাসমিয়া। শয়তান চলচ্চিত্রের গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ফয়সাল সাইফ আর পরিচালক সামির খান। সবকিছু ঠিকই ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই জানা গেল, ছবির প্রযোজক ও পরিচালক ফয়সাল সাইফ নায়ক নিরবের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন এবং এ জন্য তিনি এরই মধ্যে আইনি পদক্ষেপও নিয়েছেন। সম্প্রতি ফয়সাল সাইফ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নীলেশ সিং রাওয়ের মাধ্যমে নিরবের পূর্ব কাফরুলের বাসার ঠিকানায় লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। তা ছাড়া তিনি ভারত ও বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন চলচ্চিত্রবিষয়ক সংগঠনের কাছে প্রতারণার অভিযোগে ই-মেইল করেছেন এবং মামলা করারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রতারণা প্রসঙ্গে বলিউডের প্রযোজক ও পরিচালক ফয়সাল সাইফ বলেন, নিরব আমাদের বলেছিলেন যে তিনি বাংলাদেশে শাকিব খানের চেয়েও বড় সুপারস্টার। তিনি আমাদের প্রস্তাব দিয়েছিলেন শয়তান চলচ্চিত্রটিকে তিনি নিজের খরচে বাংলা ডাবিং করে বাংলাদেশে মুক্তি দেবেন। লাভের অর্ধেক তাঁর। কিন্তু ছবি শেষ হওয়ার পর আর কোনো যোগাযোগ করেননি নিরব। এমনকি আমাদের ফোনও ধরেননি তিনি। ফয়সাল অভিযোগ করে আরো বলেন, শুটিংয়ে নিরবের আচরণ ছিল একেবারেই অপেশাদার। তাঁকে দুই মাস আগে স্ক্রিপ্ট দেওয়া হলেও তিনি কোনোরকম প্রস্তুতি ছাড়াই লোকেশনে আসেন। শুটিং সেটে তিনি সারাক্ষণ ব্যস্ত ছিলেন সেলফি তোলায় আর ফেসবুকে আপলোড দেওয়ায়। ফয়সাল সাইফ বলেন, নিরবের এমন কর্মকাণ্ডে হতাশ হয়েছি। এতে বাংলাদেশের অন্য তারকাদের সম্পর্কেও এখানকার নির্মাতাদের ভুল ধারণা তৈরি হবে। তাঁর কারণে আমাদের প্রায় ৫০ লাখ রুপি ক্ষতি হয়েছে। এদিকে, বলিউডের নির্মাতার সঙ্গে প্রতারণার বিষয়ে অভিনেতা নিরবকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা ঠিক যে ওই নির্মাতার সঙ্গে আমার এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু আসলে চলচ্চিত্রটি এ মুহূর্তে বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়। এর কারণ হিসেবে নিরব বলেন, যখন চুক্তি হয়েছিল, তখন যৌথ প্রযোজনার ছবিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল না। বর্তমানে দেশে যৌথ প্রযোজনার ছবিতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় এখন আর বাংলাদেশে এই ছবি মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়। যৌথ প্রযোজনার কোনো নিয়মেই চলচ্চিত্রটি বানানো হয়নি এবং নিষেধাজ্ঞা যদি এ মুহূর্তে নাও থাকত, তাহলে কীভাবে বাংলাদেশে এই ছবি মুক্তি পেত? এমন প্রশ্নের জবাবে নীরবই থেকেছেন নিরব। তবে শুটিং সেটে অপেশাদারি আচরণ ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে বলিউডের ছবিতে অভিনয় করেছেনপরিচালকের এমন অভিযোগের জবাবে নিরব বলেন, পরিচালককে কোনো অসত্য তথ্য দেওয়া হয়নি । তা ছাড়া আমি বাংলাদেশে কেমন অভিনেতা, তা সবাই জানে। এখানে বাড়িয়ে বা ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে কিছু বলার কিছু নেই। আর আমি উনার পাঠানো কোনো লিগ্যাল নোটিশও পাইনি। এর আগে নিরব মালয়েশিয়ার এক প্রযোজকের সঙ্গেও এমন প্রতারণা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও তখন ওই মালয়েশিয়ার প্রযোজক বাংলাদেশি কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। তাই খবর প্রকাশ হয়নি। এখনো সেই ছবি ওই প্রযোজক মুক্তি দিতে পারেননি। এমএ/ ০১:৪৪/ ২৯ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2vzXJQS
August 29, 2017 at 07:44PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন