কলকাতা, ২১ আগস্ট- আর কিছু দিনের মধ্যে শহরের যাত্রীরা এবার দুষণহীন বাসে সফর করতে চলেছেন। কারণ বাসগুলো হবে ব্যাটারিচালিত। এ ধরনের বাসে থাকে রিচার্জেবল ব্যাটারি। আর সেই ব্যাটারির বিদ্যুতেই বাস চলে। পরিবহন দপ্তর এটিকেই বলছে ইলেকট্রিক বাস। প্রথম দফায় ২৫টি বাস পরীক্ষামূলকভাবে চলবে কলকাতায়। এ ধরনের বাস সাধারণ বাস থেকে আলাদা হয়। তাই এর রুটগুলো বাছাই করতে বিস্তর হোম ওয়ার্ক করতে হচ্ছে। আগামীতে যেহেতু কলকাতা এবং শহরতলিতে এই বাসগুলো চলবে, তাই পরিষেবা দেওয়ার মূল দায়িত্ব থাকবে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন নিগমের। পরিবহন দপ্তরের এক কর্তা বলেন, গোটা বিশ্বেই পরিবেশ দূষণ ক্রমেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। পরিবেশ দূষণের পেছনে যেসব কারণ থাকে, সেগুলোর অন্যতম হল যানবাহনের ধোঁয়া। সে কারণেই দূষণ রুখতে উন্নত প্রযুক্তির গাড়ির চল বাড়ছে সর্বত্রই। গোটা ভারতে স্টেজ ফোর গাড়ির জনপ্রিয়তা সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে যেতে তৎপরতা বেড়েছে কেন্দ্রীয় প্রশাসনের অন্দরেও। সেদিক থেকে ডিজেল চালিত বাসের পরিবর্তে ইলেকট্রিক বাসের কথা উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। পরিবহন দপ্তর সূত্রের খবর, ইলেকট্রিক বাস সংক্রান্ত ব্যাপারে ইন্ডিয়া স্মার্ট গ্রিড ফোরাম ইতিমধ্যেই তাদের বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। কীভাবে এই বাস চালানো যায়, তার পরিকল্পনা রয়েছে সেই রিপোর্টে। রিপোর্ট খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। সেই মতোই বাস রুটের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, কলকাতার ট্রাম ডিপো থেকে এই বাসের রুট তৈরি করা হবে। কেন এই পরিকল্পনা? দপ্তরের এক সূত্রের বক্তব্য, বিদ্যুৎ চালিত যান চালানোর অভিজ্ঞতা পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন নিগমের রয়েছে। বহু বছর ধরেই কলকাতায় চলছে বিদ্যুৎ চালিত ট্রাম। তাই ট্রাম ডিপোগুলোতে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত কিছু পরিকাঠামো তৈরিই রয়েছে। এখানেই নয়া বাসের ব্যাটারিগু লো চার্জ দেওয়া যেতে পারে। ওই সূত্রের কথায়, ইলেকট্রিক বাসের দাম সাধারণ বাসের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি হলেও এ ধরনের বাস চালানোর খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক কম। তার চেয়েও বড় কথা, এই বাস পরিবেশবান্ধব। এ ধরনের বাস থেকে শব্দও কম হয় এবং খনিজ তেলও লাগে না। সেসব বিবেচনায় এনেই এই বাস চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া ইলেকট্রিক বাস চালানোর জন্য বিদ্যুৎ দপ্তরের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। এর জন্য বিদ্যুতের বিশেষ দাম ধার্য করা যায় কি না, সেটাই আপাতত বিবেচনার মধ্যে আছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে এখন পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়ে থাকে। ইলেকট্রিক বাসের দাম নির্ভর করে ব্যাটারির ক্ষমতার উপরে। একবার চার্জ করার পর কমবেশি দেড়শ কিলোমিটার চলতে পারে বাসটি, এমন বাসের দাম পড়ে প্রায় এক থেকে দেড় কোটি রুপি। এ ধরনের ২৫টি বাস প্রথম দফায় কিনে চালানোর কথা চলছে। তাতে দিনের প্রথম শিফটে চালানোর পর দরকার পড়লে ব্যাটারি ফের চার্জ করে দ্বিতীয় শিফটে বাস চালানো যাবে। পরবর্তীকালে ইলেকট্রিক বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে বলে পরিবহন মহল সূত্রের খবর।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2x4BHqB
August 21, 2017 at 05:22PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন