ঢাকা, ২৬ আগস্ট- আগের দিন সাকিব আল হাসান বলেছেন তাঁর ৫০তম টেস্ট নিয়ে। কাল বললেন তামিম ইকবাল। দুজন দুই দিন কথা বললেও ঘটনা ঘটবে একই সঙ্গে। মানে তামিম-সাকিব তাঁদের ৫০তম টেস্টটি খেলতে নামবেন একই দিনে। আগামীকাল, ২৭ আগস্ট। ৫০তম টেস্ট নিয়ে কোনো রোমাঞ্চ নেই তামিমের। এটিকে তাঁর কাছে একটি বিশেষ উপলক্ষ ছাড়া আর কিছুই মনে হচ্ছে না। সেই বিশেষ উপলক্ষকে রাঙাতে হবে বিশেষ অর্জনের রঙে। সেটা হতে পারে ঢাকা টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়, অথবা এমন কোনো সাফল্য যেটি লিখে রাখা যায় সোনার হরফে। কাল মিরপুরের সংবাদ সম্মেলনে বলা তামিমের কথা থেকেই পাওয়া যাচ্ছে সেই সূত্র, আমার পারফরম্যান্স বা দলের পারফরম্যান্স দিয়ে এটাকে আরও বিশেষ করা যায় কি না ওই লক্ষ্য থাকছে। আসলেই, ৫০তম টেস্ট একটি মাইলফলক ছাড়া আর কী? ৪৯তম বা ৫১তম-এর সঙ্গে এর পার্থক্য কী যদি না এদিন তামিমের ব্যাট না হাসে! সাকিবের ব্যাট-বল কথা না বলে! টেস্টের ফিফটি নিয়ে আবেগে না ভেসে তামিম মনে করিয়ে দেন বাস্তবতা, এটা ভালো একটি অর্জন যে, আমি আর সাকিব ৫০তম টেস্ট খেলতে যাচ্ছি। কিন্তু দিন শেষে মনে রাখার মতো কোনো পারফরম্যান্স বা ফল যদি না হয়, তখন এটা শুধুই একটা সংখ্যা হয়ে থাকবে। আমি আমার দিক থেকে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। সাকিবও নিশ্চয়ই তাই করবে। যদি ভালো ফল করি বা দলের জন্য ভালো কিছু করতে পারি, তাহলেই এটা আলাদা হবে। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম আর সাকিব আল হাসানেরও বিশ্বাস, এই সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে ২-০-তে হারানো অসম্ভব নয়। তামিমের ঢাকা টেস্টকে আলাদা করে তোলার প্রত্যাশা মিটিয়েই দিয়েই পা রাখা যায় সে স্বপ্নপূরণের পথে। তবে কেউ ছুমন্তর ছু বললেই সিরিজের ফলাফল ২-০ হয়ে যাবে না। তামিমের ব্যাখ্যায় বিষয়টি আরও পরিষ্কার, যে দলই জিতুক, আমি সব সময়ই বলছি প্রতিটি সেশন, প্রতিটি বল লড়াই করতে হবে। যে দল মাঠে ভালোভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবে, তাদেরই জেতার সম্ভাবনা বেশি। আমরা দল হিসেবে চেষ্টা করব যেন দুটি টেস্টই জিতি। তবে সবার মনে রাখা উচিত, ৫ দিনের খেলা ১ ঘণ্টায় শেষ হয়ে যায় না। পাঁচ দিনই খেলতে হয়। সময় নিয়ে প্রতিটি মিনিট করে খেলার শেষে একটা ফল আসে। অস্ট্রেলিয়ার মতো পেশাদার দলের বিপক্ষে ঘড়ির কাঁটা ধরে এগোনোর লড়াইটা আরও বেশি। এই একটা দলের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জটা সব দিক দিয়েই। তবে এবারের সিরিজে বাংলাদেশ যেন অস্ট্রেলিয়ার স্পিন আক্রমণটা নিয়েই বেশি ভাবছে। এই ভাবনা আবার ওদের পেস আক্রমণটাকে আড়ালে ফেলে দিচ্ছে না তো! তামিম তা মানলেন না, আমরা শুধু স্পিন নিয়ে যে চিন্তা করছি তা না। আমরা অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে খেলছি যারা খুব পেশাদার আর দারুণ একটা দল। ওদের সঙ্গে ভালো করতে হলে পেস বলেন, স্পিন বলেন সবই ভালোভাবে সামলাতে হবে। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। এমনিতে মারকাটারি ব্যাটসম্যান তামিম। তবে ২০০৮-এর জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টের দুই ইনিংসেই (৮৮ বলে ৫৩ ও ১২৮ বলে ৮৪) জানিয়ে দিয়েছিলেন, টেস্ট খেলার সামর্থ্য তিনি রাখেন। সাড়ে ৯ বছরে তামিমের নামের পাশে ২২টি ফিফটি ও ৮টি সেঞ্চুরি, যার একটিকে রূপ দিয়েছেন ডাবলে। অথচ যখন প্রথম টেস্টে আসেন, আরও অনেকের মতো তাঁরও মাথায় ছিল না এত দূর আসবেন। আর নিজের ক্যারিয়ারেই তো দেখেছেন, বাংলাদেশ দল ১৩-১৪ মাসেও একটা টেস্ট খেলে না! একসময় তো মনে হচ্ছিল, আমরা যেভাবে টেস্ট খেলছি তাতে ৫০টা টেস্ট খেলতে পারব কি না সন্দেহ। তবে এখন আমাদের খেলা বেড়েছে। টেস্ট বেশি খেলছি। এখন যাদের অভিষেক হবে তাদের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ সহজ হবেবলছিলেন তামিম। টেস্ট বাড়বে বাংলাদেশের। বাড়বে চ্যালেঞ্জও। টেস্ট দল হিসেবে নিজেদের প্রতিনিয়ত প্রমাণের চ্যালেঞ্জ। তবে তামিম আশাবাদীদের দলে, আমার মনে হয়, আগামী দেড় বছর উপযুক্ত সময় যেখানে আমরা নিজেদের একটা ভালো টেস্ট দল হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। এমএ/ ১১:১৮/ ২৬ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2vf4VWl
August 26, 2017 at 05:19PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন