নিজস্ব প্রতিবেদক ● ঈদে ঘরমুখো যানবাহনের চাপ বাড়ার আগেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শুরু হয়েছে মহা-ভোগান্তি। বিভিন্ন অনিয়মের কারণে এ সড়কে প্রতিদিন দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকে। রোজার ঈদে দেশের অন্য সব মহাসড়কের চেয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের যাত্রীদের ঈদযাত্রায় কম দুর্ভোগ পোজাতে হয়েছে। কিন্তু আসন্ন ঈদুল আজাহার চাপ মহাসড়কে পড়ার আগেই ভোগান্তি শুরু হয়েছে। কুমিল্লা থেকে ঢাকার দূরত্ব ৮৫ কিলোমিটার। হিসাব মতে দেড় থেকে ২ ঘণ্টায় ঢাকা পৌঁছানোর কথা, কিন্তু সেখানে সড়কেই বসে থাকতে হচ্ছে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা।
বৃহস্পতিবারও হাসড়কের কুমিল্লার গৌরীপুর থেকে দাউদকান্দি মেঘনা-গোমতি সেতু পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশে তীব্র যানজট রয়েছে।
এছাড়া মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া অংশের মেঘনা সেতু থেকে মদনপুর পর্যন্ত প্রায় ২৮ কিলোমিটার অংশে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভোগান্তির শেষ নেই মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ এ দুই অংশে।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে মেঘনা-গোমতি সেতুর ওপর চারটি ট্রাক বিকল হয়ে পড়ায় ওইদিন ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে ট্রাকগুলো সরিয়ে নেওয়া হলেও গাড়ির চাপ থাকার কারণে যানজট কমেনি। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া যানজট বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
তবে মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ারবাজার বিশ্বরোড থেকে ফেনী সীমান্তের মোহাম্মদ আলী পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটার অংশে যানজট নেই বলে জানা যায়। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, দাউদকান্দি টোল প্লাজায় স্কেলে ব্যাপক অনিয়মের কারণে এ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
মালবাহী ট্রাক চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দাউদকান্দি টোল প্লাজায় টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান ওভারলোড গাড়ি নিয়ন্ত্রণের জন্য স্কেল বসানোর ফলে টোল আদায়ে চালকরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। এ সেতু দিয়ে যে পরিমাণ মালামাল বহনের অনুমতি রয়েছে, সে পরিমাণ মালবাহী পরিবহন নিলেও টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান দুই হাজার টাকা জরিমানা আদায় করছে।
চালকদের সঙ্গে টোলের টাকা নিয়ে প্রতিনিয়তই ঝামেলা হচ্ছে। ফলে মহাসড়কে মালবোঝাই যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হচ্ছে, সঙ্গে যোগ হচ্ছে যাত্রীবাহী পরিবহনও। আর সেই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সাধারণ যাত্রী ও চালকরা।
ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় যানজটে আটকে থাকা কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী রয়েল পরিবহনের যাত্রী শাহ ইমরান বাংলানিউজকে বলেন, সকাল সাড়ে ৭টায় কুমিল্লার জাঙ্গালিয়া থেকে রওনা হয়েছি। দুই ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছার কথা থাকলেও সাড়ে ১০টায় দাউদকান্দি টোল প্লাজাও অতিক্রম করতে পারিনি।
এদিকে দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, একদিকে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ অন্যদিকে টোল আদায়ে ধীর গতির কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। অতিরিক্ত ওভারলোড স্কেল মেশিন বসানোর আগে যেখানে প্রতি মিনিটে ২০-৩০টি পরিবহন টোল দিয়ে পার হতো। এখন এটি বসানোর ফলে প্রতি মিনিটে একটি গাড়িও পার হতে পারছে না। তাই ঈদ যতো ঘনিয়ে আসছে যানজট ততো তীব্র হচ্ছে।
যানজট স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে দাউদকান্দি টোল প্লাজায় টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তা মেজর (অব.) জিয়াউর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
The post ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মহা-ভোগান্তি! appeared first on Comillar Barta.
from Comillar Barta http://ift.tt/2v8ifeV
August 24, 2017 at 03:40PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন