টোকিও, ২৩ আগষ্ট- ঐতিহাসিকভাবে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিদ্যমান। এ ছাড়া জাপানে কর্মক্ষম লোকবল দিন দিন কমছে অথচ বাংলাদেশে জনবলের অভাব নেই। তাই জাপান বাংলাদেশ থেকে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ জনবল নিয়োগ করতে পারে। গতকাল (২২ আগষ্ট) মঙ্গলবার জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেটরো) প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের জনসম্পদ শীর্ষক সেমিনারে এমন আশা প্রকাশ করেছেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। জাপানের বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এই সেমিনারে সহ আয়োজক হিসেবে জেটরো, জাপান ইনফরমেশন টেকনোলজি সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন (জিসা) ও কম্পিউটার সফটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন অব জাপান (সিএসজি) সহযোগিতা করে। জাপানের নামকরা প্রায় এক শর বেশি তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানির প্রতিনিধিরা এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের বর্তমান ধাবমান অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরে রাবাব ফাতিমা বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-আধুনিক বাংলাদেশ হিসেবে গড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। তথ্যপ্রযুক্তি সেই লক্ষ্য পূরণের অন্যতম হাতিয়ার। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে অনেক মেধাবী ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ অনেক জনবল রয়েছে যাদের জাপানি কোম্পানির চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ প্রদান করে জাপানে নিয়োগ নিশ্চিত করতে পারলে, তা দুই দেশের জন্যই কল্যাণকর হবে। সেমিনারে বক্তারা বলেন, এ ক্ষেত্রে মিয়াজাকি-বাংলাদেশ আইটি কোঅপারেশন মডেল দুই দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এই মডেলের মাধ্যমে জাপানি বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষকেরা বাংলাদেশের এক শর বেশি প্রকৌশলীকে জাপানে কাজ করার উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করবে এবং পরবর্তীতে তাদের জাপানে নিয়োগ করা হবে। ফলে দুই দেশই লাভবান হবে। বাংলাদেশের জন্য বিদেশে জনবল নিয়োগের আরেকটি দ্বার উন্মুক্ত হবে। সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা তাদের আলোচনায় এই মডেলকে খুব উপযোগী ও লাভজনক হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বাংলাদেশে জেটরোর সাবেক রিপ্রেজেনটেটিভ কিই কায়ানো, কুয়াল্কম সিডিএমএ টেকনোলজির সিনিয়র ডাইরেক্টর এহসানুল ইসলাম, ওয়ার্কস অ্যাপ্লিকেশন কোম্পানির শিগেও ইয়াশিতা, হিদিয়েকু শিমিজু ও সৌরভ সরকার এবং লিঙ্কস্টাফ কোম্পানির ইয়াসুয়াকি সুগিতা ও তাজুল ইসলাম সকলের কাছে তাদের প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন। পরে উন্মুক্ত আলোচনা ও প্রশ্ন উত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর হাসান আরিফের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে সেমিনার শেষ হয়। আর/১৭:১৪/২৩ আগষ্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2vnRZZo
August 24, 2017 at 12:55AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন