ঢাকা, ০৭ আগষ্ট- বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের অবিস্মরণীয় নাম সালমান শাহ। ১৯৯৬ সালে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় তার। যদিও তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা যায় তবে অনেকেরই ধারণা ছিল তার স্ত্রী সামিরা ও তার পরিবার মিলে সালমানকে হত্যা করেছে। মাত্র অল্প কিচু দিনেই ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ সুনাম পেয়েছিলেন নায়ক। তবে তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ছিল তার সংসার ও স্ত্রী সামিরা হক। অথচ তারাই তাকে খুন করেছে বলে জানা যায়। আজ ৭ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে প্রবাসী এক বাঙ্গালী রুবি নামের এক মহিলা দাবি করছেন তিনি সালমান হত্যাকান্ডের একমাত্র জীবিত সাক্ষী। তার দাবি অনুযায়ী, সামিরা ও তার পরিবারের লোকেরা মিলেই সালমানকে হত্যা করেছে। তবে এখন বিষয় এটাই যে আসলেও কি সামিরাই এর জন্য দায়ী? সামিরা এখনো কোথায় আছেন? স্বামী ও অভিনেতা সালমানের মৃত্যুর পর সামিরা আড়ালে চলে যান। দিত্বীয় বিয়ে কর শুরু করেন নতুন সংসার এবং দেশ ছেড়ে চলে যান থাইল্যান্ড, এখন তিনি সেখানকার প্রবাসী। সামিরা সালমানের মৃত্যুর কয়েক বছর পর ব্যবসায়ী মুস্তাক ওয়াইজকে বিয়ে করেন। থাইল্যান্ডে সামিরার নতুন সংসারে একটি ছেলে ও দুটি মেয়ে। থাইল্যান্ডে সামিরার ছোট দুই বোন ফাহরিয়া হক ও হুনায়জা শেখ তাদের স্বামী সন্তান নিয়ে বাস করেন। তিনি বাংলাদেশে তেমন আসেন না বললেই চলে। দেশে এসে শুধু নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সালমানের মা নীলা চৌধুরী সালমানের মৃত্যুর জন্য সামিরাকে দায়ী করে একটি হত্যা মামলা করেছিলেন। যার দরুন সালমানের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ নেই সামিরার। মাত্র ২১ বছর বয়সে মা নীলা চৌধুরীর বান্ধবীর মেয়ে সামিরাকে বিয়ে করেন সালমান শাহ্। সামিরার বাবা জাতীয় দলের প্রাক্তন উইকেটকিপার-অধিনায়ক শফিকুল হক হীরা এবং মা থাইল্যান্ডের নাগরিক চট্টগ্রামের বিউটি পার্লার ব্যবসায়ী লুসি। সামিরার বাবা জানিয়েছিলেন, সালমানের মৃত্যুতে সামিরা ভেঙে পড়েন। সবাই নায়ক হারানোর ব্যথায় কেঁদেছিল। আর আমার মেয়ে কেঁদেছিল বিধবা হওয়ার যন্ত্রণায়। সেই কষ্ট কেউ বোঝার আগেই তাকে নিয়ে নানা রকম অপবাদ ছড়ানো হয়। সবার দোয়ায় সামিরা এখন ভালো আছে। স্বামী-সন্তান নিয়ে তার সুখের সংসার। তিনি জানিয়েছিলেন, সালমানের মৃত্যুদিনে সামিরা কারো সঙ্গে কথা বলে না। নিজের মতো করে থাকেন। মানতে পারেন না সালমানের সাবেক স্ত্রী শব্দটিও। তবে গত বছর সালমান শাহ হত্যা মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। সালমান শাহ মৃত্যুর ২১ বছর একজন নিজেকে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে দাবি করে নিজেকে সালমান শাহ মৃত্যুর সর্বশেষ প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেন রুবি। আজ সোমবার রুবি নিজেই এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সব তথ্য ফাঁস করেন। তাঁর স্বামী চীনা নাগরিক, সাংহাই রেস্টুরেন্টের মালিক জন চেন রুবির ভাই রুমিকে দিয়ে সালমানকে খুন করিয়েছেন। পরে রুমিকেও পরে খুন করা হয়। সালমান হত্যা মামলার সর্বশেষ প্রত্যক্ষদর্শী রুবিকেও খুন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান রুবি নিজে। ভিডিওতে রুবি জানান নিজের ও নিজের সন্তানের ওপর মৃত্যুর ছায়া নেমে আসার পর অবশেষে স্বীকার করলেন রুবি। এমনকি নীলা চৌধুরীর কাছেও সাহায্য চাইছেন তিনি। তাকেও হত্যা করার চেষ্টা চলছে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলেও জানান রুবি। অন্যদিকে রুবির ভিডিওর পুর সালমান শাহের মা নীলাও এক্ষেত্রে ন্যায়বিচার কামনা করে সবার সহযোগিতা চেয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। আর/১০:১৪/০৭ আগষ্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2vcZ6qV
August 08, 2017 at 04:59AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন