নিজস্ব প্রতিবেদক ● গত বুধবার সন্ধায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত জানার পর কুমিল্লা দক্ষিনাঞ্চলের লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে কয়েক হাজার গবাদী পশু মোটাতাজাকরন শেষে কোরবানীর হাটে তুলতে প্রস্তুতি নিয়েছেন এলাকার গৃহস্থ, খামারী ও ব্যবসায়ীরা।
কোরবানী ঈদের আর মাত্র ৫/৬ দিন বাকী। গত কয়েকদিনের বৈরী আবহাওয়া ও গ্রামীন অর্থনীতি মন্দার কবলে পড়ে এলাকার জনজীবন যেন অনেকটাই থমকে গেছে। তারপরও আসন্ন কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে গবাদীপশু বেচাকেনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সকল পেশার মানুষ। চলমান বর্ষাকালের শেষ মূহূর্তের শীতের আগমনী বার্তায় এ অঞ্চলের বেশীর ভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা থাকে। ফলে সবুজ ঘাস পাওয়া যায় না। তার উপর গো-খাদ্যোর মূল্য বৃদ্ধি ও সংকট তীব্রভাবে দেখা দেয়। পশু মোটাতাজাকরনে এলাকার ফার্মেসী, পশুখাদ্য দোকান, সার-কীটনাশকের দোকানে বেচাকেনার ছড়াছড়ি চলছে।
এছাড়া ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তের প্রায় অর্ধশতাধিক চোরা পথ দিয়ে আসা গরু গুলো এখন এ অঞ্চলের হাট-বাজার গুলোতে বেচাকেনার অপেক্ষায় গত বছর কোরবানী ঈদে মোটা তাজাকরন গরু কোরবানীর হাটে তুলে লোকসান হওয়ায় এবার প্রায় ৮/১০ লাখ লোকের অধ্যুষিত জেলা দক্ষিনাঞ্চলের ২টি উপজেলায় গবাদীপশু লালন-পালন প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক গবাদী পশুর খামার। এমনকি কমেছে গবাদী পশু পালনে খামারীর সংখ্যাও। বিভিন্ন হাটে এখনও গরু ভাল ভাবে বেচাকেনা শুরু হয়নি। তবে দাম আগের মতই স্থিতিশীল।
এ দিকে কুমিল্লার ভারত সীমান্ত অঞ্চল হিসাবে জেলার দক্ষিনাঞ্চলের লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ভারতীয় পণ্যের পাশাপাশি চোরাপথে গরু আমদানীর ট্রানজিট রুট হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। উপজেলাগুলোর শহরেই নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলের নিভূত পল্লী গাঁয়ে ও চোরা পথে আসা বিভিন্ন ভারতীয় পন্যের পাশাপাশি গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগী ও বিভিন্ন প্রজাতির ডিম পাওয়া যাচ্ছে। ফলে দেশীয় খামারীরা তাদের গরুর বাজার মূল্য নিয়ে অনেকটাই শংকিত।
এ অঞ্চলে ভীন দেশীয় চোরা পথে আসা গরু আমদানীর ফলে সরকারও বছরে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এলাকার চিহ্নিত গরু ব্যবসায়ীদের একটি চক্র চোরাচালানের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধী সেন্টিকেট সীমান্ত অঞ্চলের সড়ক ও নৌ পথে দিয়ে প্রতিনিয়ত ভারতীয় রোগাক্রান্ত ও দূর্বল গরু হাটবাজারে নিয়ে আসছে।
এ ব্যাপারে লাকসাম উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের একাধিক সূত্র জানায়, আসন্ন কোরবানী ঈদে এলাকার বিভিন্ন হাটবাজারে এ সব গরু স্থানীয় এজেন্টদের মাধ্যমে বেচাকেনা করে থাকেন বড় বড় গরু ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে স্থানীয় প্রশাসন গরু বাজার গুলোতে শান্তিপূর্ন ও নিরাপত্তা বিধানে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার্থে সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছে। যাতে দেশী-বিদেশী গরু ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে গবাদীপশু বেচাকেনা করতে পারে।
The post লাকসামে ভারতীয় গরুতে হাট-বাজার সয়লাব appeared first on Comillar Barta.
from Comillar Barta http://ift.tt/2vzRwDG
August 27, 2017 at 07:59PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন